হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাড়ি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হলুদঘর গ্রামে। বিগত এক দশকে কৃষি কাজে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। অর্থনৈতিকভাবে আজ তিনি স্বাবলম্বী। মেধা আর কঠোর পরিশ্রম করে একাধারে ধান, সরিষা, আলু, পটল, বেগুন, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে চলেছেন তিনি।
তবে এবার পরিত্যক্ত ভিটে মাটিকেও চাষাবাদ উপযোগী করে তুলেছেন। একই সঙ্গে লেবু আর চায়না বেগুন চাষ করে সফলতার পথে হাঁটছেন তিনি। সপ্তাহে এক সঙ্গে বেগুন আর লেবু বিক্রি পাঁচ/ছয় হাজার টাকা আয় করছেন এই কৃষক। পাশাপাশি ওই জমিতে ১৬টি আম গাছ ও ১০টি নারিকেল গাছ রোপণ করেছেন।
বছর খানেক আগে বাড়ির পাশের ১০ কাঠা জমির জঙ্গল পরিষ্কার করে চায়না-৩ জাতের লেবু গাছের চারা রোপণ করেন। বর্তমানে লেবু গাছে থোকা থোকা ফুল ও ফল এসেছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু লেবু বিক্রি করেছেন। গত চৈত্র মাসে ওই জমিতে প্রথম চায়না বেগুনের চারা রোপণ করেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে বেগুন উত্তোলন শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহে চার/পাঁচ মণ করে বেগুন উত্তোলন হতো তার। বাজার দরও বেশ ভালো ছিল সেসময়। সে সময় প্রতি মণ বেগুন বিক্রি করেছেন ১৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দরে।
কিন্তু ভাদ্র মাসের শেষের দিকে বন্যার পানিতে বেগুন ক্ষেতটি তলিয়ে গিয়ে গাছগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তবে তার আগ পর্যন্ত ওই জমি থেকে প্রায় ২৫/২৬ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। চাষাবাদে খরচ হয়েছিল মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপর আবারও একই জাতের চারা রোপণ করেন। দেড় মাস ধরে বেগুন বিক্রি করছেন। সপ্তাহে চার/পাঁচ মণ করে বেগুন বিক্রি করছেন। প্রথম দিকে মণ প্রতি দুই হাজার টাকা দরে বেগুন বিক্রি হয়েছে। এখন প্রতি মণ বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২ শ’ টাকা থেকে ১৪শ’ টাকায়। নতুন করে চাষ করা এ ক্ষেত থেকে এ পর্যন্ত তার প্রায় ২০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে এ জমি থেকেই