ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করুন : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩৫৮ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে দেশের সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করি। দেশের প্রতিটি নাগরিককে মানবসম্পদে পরিণত করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি।’
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। তিনি বলেন, এজন্য দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন,আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে কার্যকর মাত্রা প্রদানের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।
‘শতভাগ ভর্তির সুফল ধরে রাখতে আমরা স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু করেছি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় নেই এমন গ্রামেও আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করছি।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ১০০টি উপজেলায় একটি করে কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার ও বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে উল্লেখ করা হয়, সবার জন্য শিক্ষা এবং সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যসমূহ অর্জনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব পাঁচ বছর মেয়াদি গ্লোবাল এডুকেশন ফাস্ট ইনিসিয়েটিভ (জিইএফআই) চালু করেন। এ উদ্যোগের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সারাবিশ্বের ১৪টি দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৫ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করুন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:৪০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে দেশের সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করি। দেশের প্রতিটি নাগরিককে মানবসম্পদে পরিণত করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি।’
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। তিনি বলেন, এজন্য দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন,আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে কার্যকর মাত্রা প্রদানের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।
‘শতভাগ ভর্তির সুফল ধরে রাখতে আমরা স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু করেছি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় নেই এমন গ্রামেও আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করছি।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ১০০টি উপজেলায় একটি করে কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার ও বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে উল্লেখ করা হয়, সবার জন্য শিক্ষা এবং সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্যসমূহ অর্জনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব পাঁচ বছর মেয়াদি গ্লোবাল এডুকেশন ফাস্ট ইনিসিয়েটিভ (জিইএফআই) চালু করেন। এ উদ্যোগের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সারাবিশ্বের ১৪টি দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৫ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।