ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ ‘হলুদ সাংবাদিকতা থেকে পরিত্রাণ চাই’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৪৯৪ বার

মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগের একটিরও সত্যতা প্রমাণ করতে পারলে শুধু এমপি পদ নয়, রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন। তবে তিনি হলুদ সাংবাদিকতা থেকে পরিত্রাণ চান। মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য দিয়ে যেভাবে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে, তা বন্ধ না হলে আগামীতে কেউ রাজনীতি করতে পারবেন না।

আজ সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ চ্যালেঞ্জের কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে একই আলোচনায় অংশ নিয়ে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রাইমারি স্কুলের প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি নিয়োগ প্রদানের দাবি জানান।

সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনে তাঁর নামে যে যত পারো কামাই করো- শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, “পত্রিকাটি ধারাবাহিকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কী? পত্রিকাটিতে প্রতিবাদ পাঠালে এক লাইন প্রতিবাদ ছাপে তো আরও চার লাইন বাড়িয়ে লেখে। আমি এখন কী করবো? তিনি বলেন, “দুটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। আমার এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই চক্রটি এটা করছে। তারা চায় আমি যাতে আমার সম্পদ হারিয়ে আগামীতে নির্বাচন করতে না পারি।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ বলেন, “হলুদ সাংবাদিকতা বলে একটা কথা আছে। এই হলুদ সাংবাদিকতা আর কত দিন চলবে? আমি কার কাছে এর পরিত্রাণ চাইবো?” তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের সংবাদ প্রচার আমার সম্মান, ইজ্জত সবই যাবে। আমার স্ত্রী, কন্যারা দেশের বাইরে থাকে। তারা যদি এ সংবাদ পড়ে তাহলে তাদের মনে কি প্রশ্ন জাগবে? আমার মেয়ে তার জামাইয়ের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। এসব সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অপরদিকে, পয়েন্ট অব অর্ডারে মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সরকারের অনেক অর্জন আছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় দুর্বলতা আছে যা জনগণের সামনে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রাইমারি স্কুলে দেশের প্রায় ২২ হাজার প্যানেলভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন, যাদের চাকরি সরকারিকরণ হয়নি। এর বিরুদ্ধে তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদেরকে চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ দেন। এর বিউদ্ধে আপিল করা হলেও আপিল বিভাগের সর্বোচ্চ বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে রায় দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওইসব শিক্ষকদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ওইসব শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের দাবি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ ‘হলুদ সাংবাদিকতা থেকে পরিত্রাণ চাই’

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগের একটিরও সত্যতা প্রমাণ করতে পারলে শুধু এমপি পদ নয়, রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন। তবে তিনি হলুদ সাংবাদিকতা থেকে পরিত্রাণ চান। মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য দিয়ে যেভাবে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে, তা বন্ধ না হলে আগামীতে কেউ রাজনীতি করতে পারবেন না।

আজ সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ চ্যালেঞ্জের কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে একই আলোচনায় অংশ নিয়ে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রাইমারি স্কুলের প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি নিয়োগ প্রদানের দাবি জানান।

সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনে তাঁর নামে যে যত পারো কামাই করো- শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, “পত্রিকাটি ধারাবাহিকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কী? পত্রিকাটিতে প্রতিবাদ পাঠালে এক লাইন প্রতিবাদ ছাপে তো আরও চার লাইন বাড়িয়ে লেখে। আমি এখন কী করবো? তিনি বলেন, “দুটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। আমার এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই চক্রটি এটা করছে। তারা চায় আমি যাতে আমার সম্পদ হারিয়ে আগামীতে নির্বাচন করতে না পারি।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ বলেন, “হলুদ সাংবাদিকতা বলে একটা কথা আছে। এই হলুদ সাংবাদিকতা আর কত দিন চলবে? আমি কার কাছে এর পরিত্রাণ চাইবো?” তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের সংবাদ প্রচার আমার সম্মান, ইজ্জত সবই যাবে। আমার স্ত্রী, কন্যারা দেশের বাইরে থাকে। তারা যদি এ সংবাদ পড়ে তাহলে তাদের মনে কি প্রশ্ন জাগবে? আমার মেয়ে তার জামাইয়ের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। এসব সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অপরদিকে, পয়েন্ট অব অর্ডারে মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সরকারের অনেক অর্জন আছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় দুর্বলতা আছে যা জনগণের সামনে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রাইমারি স্কুলে দেশের প্রায় ২২ হাজার প্যানেলভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন, যাদের চাকরি সরকারিকরণ হয়নি। এর বিরুদ্ধে তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদেরকে চাকরি সরকারিকরণের নির্দেশ দেন। এর বিউদ্ধে আপিল করা হলেও আপিল বিভাগের সর্বোচ্চ বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে রায় দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওইসব শিক্ষকদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ওইসব শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের দাবি জানান।