ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে কৃষি গবেষণায় কালোজিরার নতুন জাত উদ্ভাবন করেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৮
  • ২৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে শুরু হয় কালোজিরার জার্মপ্লাজম সংগ্রহ এবং মূল্যায়ন ও বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রাথমিক ফলন পরীক্ষা, অগ্রবর্তী ফলন পরীক্ষা ও আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ যাচাই বাছাই করে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক “বারি কালোজিরা-১” নামে একটি উচ্চ ফলনশীল জাত চাষাবাদের জন্য উদ্ভাবন করা হয় এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সার, সেচ ও রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়।

জাত উদ্ভাবনের পর কৃষক পর্যায়ে সমপ্রসারণের লক্ষ্যে বিগত বছরগুলোতে বারি কালোজিরা-১ এর মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করা হয় ৭১৫ কেজি এবং বিতরণ করা হয় ১২৮ কেজি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কালোজিরার ৩০টি জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং জার্মপ্লাজমসমূহের বৈশিষ্ট্যায়নসহ ডাইভার্সিটি নির্ণয়ের জন্য ধারাবাহিক গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরজমিন গবেষণা বিভাগের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ সালে টাঙ্গাইল, শেরপুর, বগুড়া, বরেন্দ্র, পটুয়াখালী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোট ২০ বিঘা জমিতে প্রদর্শনী ব্লক স্থাপন করা হয়েছে এবং দেশের ৮টি জেলার ১১টি উপজেলায় ৪২ জন কৃষকের মাধ্যমে ৩২.৮ বিঘা জমিতে বারি কালোজিরা-১ উৎপাদন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে ২০টি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। বারি কালোজিরা-১ জাতটি হেক্টরপ্রতি এর গড় ফলন ০.৮০-১.০ টন। স্থানীয় জাতের তুলনায় এর রোগবালাই খুবই কম।

কালোজিরার নতুন নতুন জেনেটিক মেটারিয়াল সংগ্রহ ও মূল্যায়নের পাশাপাশি সারের পরিমাণ নির্ধারণ, সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা, তেল বের করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে ও কিছু প্রযুক্তি নির্ণয়ের কাজ চলছে। কালোজিরার নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য ২০১৬-১৭ বছরে সম্পাদিত গবেষণার ফলাফলে ইঈ০০৯ এবং ইঈ০১০ জার্মপ্লাজম দু’টিতে বারি কালোজিরা-১ জাতের তুলনায় অধিক ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পরীক্ষাটি আরো ২ বছর সম্পন্ন করার পর নতুন জাত উদ্ভাবন করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের মাটি এবং জলবায়ু কালোজিরা চাষের জন্য উপযোগী। অন্যান্য রবি ফসলের ক্ষেতের চারপাশেও কালোজিরা বপন করা যেতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশে কৃষি গবেষণায় কালোজিরার নতুন জাত উদ্ভাবন করেন

আপডেট টাইম : ০৪:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে শুরু হয় কালোজিরার জার্মপ্লাজম সংগ্রহ এবং মূল্যায়ন ও বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রাথমিক ফলন পরীক্ষা, অগ্রবর্তী ফলন পরীক্ষা ও আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ যাচাই বাছাই করে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক “বারি কালোজিরা-১” নামে একটি উচ্চ ফলনশীল জাত চাষাবাদের জন্য উদ্ভাবন করা হয় এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সার, সেচ ও রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়।

জাত উদ্ভাবনের পর কৃষক পর্যায়ে সমপ্রসারণের লক্ষ্যে বিগত বছরগুলোতে বারি কালোজিরা-১ এর মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করা হয় ৭১৫ কেজি এবং বিতরণ করা হয় ১২৮ কেজি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কালোজিরার ৩০টি জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং জার্মপ্লাজমসমূহের বৈশিষ্ট্যায়নসহ ডাইভার্সিটি নির্ণয়ের জন্য ধারাবাহিক গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরজমিন গবেষণা বিভাগের মাধ্যমে ২০১৭-১৮ সালে টাঙ্গাইল, শেরপুর, বগুড়া, বরেন্দ্র, পটুয়াখালী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোট ২০ বিঘা জমিতে প্রদর্শনী ব্লক স্থাপন করা হয়েছে এবং দেশের ৮টি জেলার ১১টি উপজেলায় ৪২ জন কৃষকের মাধ্যমে ৩২.৮ বিঘা জমিতে বারি কালোজিরা-১ উৎপাদন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে ২০টি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। বারি কালোজিরা-১ জাতটি হেক্টরপ্রতি এর গড় ফলন ০.৮০-১.০ টন। স্থানীয় জাতের তুলনায় এর রোগবালাই খুবই কম।

কালোজিরার নতুন নতুন জেনেটিক মেটারিয়াল সংগ্রহ ও মূল্যায়নের পাশাপাশি সারের পরিমাণ নির্ধারণ, সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা, তেল বের করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে ও কিছু প্রযুক্তি নির্ণয়ের কাজ চলছে। কালোজিরার নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য ২০১৬-১৭ বছরে সম্পাদিত গবেষণার ফলাফলে ইঈ০০৯ এবং ইঈ০১০ জার্মপ্লাজম দু’টিতে বারি কালোজিরা-১ জাতের তুলনায় অধিক ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

পরীক্ষাটি আরো ২ বছর সম্পন্ন করার পর নতুন জাত উদ্ভাবন করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের মাটি এবং জলবায়ু কালোজিরা চাষের জন্য উপযোগী। অন্যান্য রবি ফসলের ক্ষেতের চারপাশেও কালোজিরা বপন করা যেতে পারে।