ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়াশায় আলুর জমিতে কৃষকরা ব্যস্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৮
  • ২৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রত্যেক বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় রবি মৌসুম। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর এ মৌসুমের অন্যতম ফসল বিভিন্নজাতের আলু। কিন্তু এ মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনেকটাই প্রতিকূলে চলে যায় আলু চাষীদের। অসময়ে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের জমিতে জমে যায় পানি। ধান কাটা ও মাড়াই করতে লেগে যায় বাড়তি সময়। এরপর সেই জমির পানি শুকাতে কেটে যায় আরও সময়। এভাবে কেটে যায় প্রায় এক থেকে দেড় মাস। পেরিয়ে যায় আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়।

আলু লাগানোর শেষ সময় পুরো নভেম্বর পেরোলেও ক্ষান্ত দেননি চাষীরা। সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়েই জমি প্রস্তুত ও আলু লাগানোর কাজ চালিয়ে যান পুরোদস্তর। তবু বগুড়ায় এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমপক্ষে ৮ হাজার হেক্টর কম জমিতে চাষ হয়েছে আলু।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডলের সঙ্গে বাংলানিউজের এ-প্রতিবেদকের আলাপকালে আলু চাষ সম্পর্কে এমনই তথ্য উঠে আসে।

তিনি জানান, চলতি রবি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগের নানা ধরনের তৎপরতার পরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে বেশির ভাগ আলু শিবগঞ্জ উপজেলায় চাষ হয়। পরের স্থানে রয়েছে বগুড়া সদর, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, কাহালু ও গাবতলী উপজেলার নাম। এছাড়া বাকি উপজেলায় কিছু জমিতে আলু চাষ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে চলছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার দাপট।

এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, শৈত্য প্রবাহে আলুর তেমন একটা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কুয়াশা দীর্ঘ মেয়াদী হলে আলুর গাছ লেটব্লাইট রোগে আক্রান্ত হবে। এতে গাছের পাতা লালচে বর্ণ ধারণ করবে। পাতা ও ডগায় পচন ধরে গাছগুলো নষ্ট হবে। তবে এখনও অবধি কোথাও থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য আসেনি বলেও দাবি করেন কৃষি বিভাগের

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কুয়াশায় আলুর জমিতে কৃষকরা ব্যস্ত

আপডেট টাইম : ১০:৫৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রত্যেক বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় রবি মৌসুম। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর এ মৌসুমের অন্যতম ফসল বিভিন্নজাতের আলু। কিন্তু এ মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনেকটাই প্রতিকূলে চলে যায় আলু চাষীদের। অসময়ে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের জমিতে জমে যায় পানি। ধান কাটা ও মাড়াই করতে লেগে যায় বাড়তি সময়। এরপর সেই জমির পানি শুকাতে কেটে যায় আরও সময়। এভাবে কেটে যায় প্রায় এক থেকে দেড় মাস। পেরিয়ে যায় আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়।

আলু লাগানোর শেষ সময় পুরো নভেম্বর পেরোলেও ক্ষান্ত দেননি চাষীরা। সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়েই জমি প্রস্তুত ও আলু লাগানোর কাজ চালিয়ে যান পুরোদস্তর। তবু বগুড়ায় এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমপক্ষে ৮ হাজার হেক্টর কম জমিতে চাষ হয়েছে আলু।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডলের সঙ্গে বাংলানিউজের এ-প্রতিবেদকের আলাপকালে আলু চাষ সম্পর্কে এমনই তথ্য উঠে আসে।

তিনি জানান, চলতি রবি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগের নানা ধরনের তৎপরতার পরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে বেশির ভাগ আলু শিবগঞ্জ উপজেলায় চাষ হয়। পরের স্থানে রয়েছে বগুড়া সদর, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, কাহালু ও গাবতলী উপজেলার নাম। এছাড়া বাকি উপজেলায় কিছু জমিতে আলু চাষ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে চলছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার দাপট।

এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, শৈত্য প্রবাহে আলুর তেমন একটা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কুয়াশা দীর্ঘ মেয়াদী হলে আলুর গাছ লেটব্লাইট রোগে আক্রান্ত হবে। এতে গাছের পাতা লালচে বর্ণ ধারণ করবে। পাতা ও ডগায় পচন ধরে গাছগুলো নষ্ট হবে। তবে এখনও অবধি কোথাও থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য আসেনি বলেও দাবি করেন কৃষি বিভাগের