ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়া হবে : মোস্তাফা জব্বার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৪০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেধে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, ‘মুঠোফোনের ভয়েস কলের মূল্যসীমা বেধে দেওয়া হলেও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সীমা নেই।

ফলে যে যার ইচ্ছেমতো দামে ইন্টারনেট বিক্রি করছে। আমি ইন্টারনেটের মূল্যসীমা (উচ্চসীমা ও নিম্নসীমা) বেধে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেব।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কিনে ডাটা বিক্রি করা যাবে না। গ্রাহক যদি ব্যান্ডউইথ কিনতে চায়, তাহলে তাদের সে সুযোগ থাকতে হবে।

ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। এই অধিকার যেন মানুষের কাছে থাকে, আমি সে চেষ্টাই করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাজের জন্য এক বছর যথেষ্ট সময়। এখন থেকেই আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করব।’

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০১৮ সাল সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বছর। এ বছরই সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করবে। তাই জনগণের দৃষ্টি এখন সরকারের দিকেই থাকবে। ফলে আমাদের সেভাবেই কাজ করতে হবে। আবার ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ওই বছর নতুন সরকার বাংলাদেরশের দায়িত্ব নেবে।

বিগত দিনের অর্জনের ওপর ভিত্তি করেই আগামী বছর জনগণ তার রায় দেবে। আইসিটি খাতে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, জানতে চাইলে নবনিযুক্ত এই মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও আইসিটি শিল্প খাতে অবকাঠামো তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

স্কুল পর্যায় থেকে প্রোগ্রামিং শুরু করার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে চাই। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রোগ্রামিং শুরু করার মানে হয় না। প্রোগ্রামিং শুরু করতে হবে স্কুল থেকে। তাহলেই আমরা আগামীতে এই খাতে দক্ষ জনবল পাব।’

এ ছাড়া, টেলিকম খাতের দৃশ্যমান সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের বিরোধ থাকার কোনো কারণ নেই। তবে আইসিটি বিভাগের চলমান ২২টি প্রকল্প বিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেওয়া হবে।’

টেলিফোন শিল্প সংস্থাকেও (টেশিস) ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান হতে দেবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে তোলা হবে।’

ফোনে যখন-তখন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয় এসএমএস আসা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রাণের দাবি এটি। সবাই কমবেশি এ সমস্যায় ভোগেন। এটা দূর করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মতবিনিময় সভায় আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীসহ আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়া হবে : মোস্তাফা জব্বার

আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেধে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, ‘মুঠোফোনের ভয়েস কলের মূল্যসীমা বেধে দেওয়া হলেও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সীমা নেই।

ফলে যে যার ইচ্ছেমতো দামে ইন্টারনেট বিক্রি করছে। আমি ইন্টারনেটের মূল্যসীমা (উচ্চসীমা ও নিম্নসীমা) বেধে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেব।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কিনে ডাটা বিক্রি করা যাবে না। গ্রাহক যদি ব্যান্ডউইথ কিনতে চায়, তাহলে তাদের সে সুযোগ থাকতে হবে।

ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। এই অধিকার যেন মানুষের কাছে থাকে, আমি সে চেষ্টাই করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাজের জন্য এক বছর যথেষ্ট সময়। এখন থেকেই আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করব।’

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০১৮ সাল সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বছর। এ বছরই সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করবে। তাই জনগণের দৃষ্টি এখন সরকারের দিকেই থাকবে। ফলে আমাদের সেভাবেই কাজ করতে হবে। আবার ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ওই বছর নতুন সরকার বাংলাদেরশের দায়িত্ব নেবে।

বিগত দিনের অর্জনের ওপর ভিত্তি করেই আগামী বছর জনগণ তার রায় দেবে। আইসিটি খাতে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, জানতে চাইলে নবনিযুক্ত এই মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও আইসিটি শিল্প খাতে অবকাঠামো তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

স্কুল পর্যায় থেকে প্রোগ্রামিং শুরু করার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে চাই। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রোগ্রামিং শুরু করার মানে হয় না। প্রোগ্রামিং শুরু করতে হবে স্কুল থেকে। তাহলেই আমরা আগামীতে এই খাতে দক্ষ জনবল পাব।’

এ ছাড়া, টেলিকম খাতের দৃশ্যমান সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের বিরোধ থাকার কোনো কারণ নেই। তবে আইসিটি বিভাগের চলমান ২২টি প্রকল্প বিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেওয়া হবে।’

টেলিফোন শিল্প সংস্থাকেও (টেশিস) ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান হতে দেবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে তোলা হবে।’

ফোনে যখন-তখন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয় এসএমএস আসা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রাণের দাবি এটি। সবাই কমবেশি এ সমস্যায় ভোগেন। এটা দূর করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মতবিনিময় সভায় আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীসহ আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।