ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌষের শীত সবসময় কৃষকের কাছেই যেন পরাস্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৪০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত দু’দিন ধরে হঠাৎ করেই বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। নেত্রকোনা জেলার মানুষ সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা হলে আগেভাগেই দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন।

কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবেন তাদের স্থবিরতা নেই। হাড়ভাঙা শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোর থেকে মাঠে নেমেছেন গ্রামবাংলার প্রকৃত শিল্পী কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন পরাস্ত!

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বড়বাট্টা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরবেলায় প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যেও ফসল বুনতে কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে কাজ করছেন। শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমরা এসময়ে বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না কারো।

কৃষক রহমত মিয়া বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা। মাঠের পর মাঠ ফসল না বুনলে মানুষ খাবে কি।

বেলা সাড়ে ১১টায় কাপাসাটিয়া এলাকায় মাথায় ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন দুই কৃষক। পথে কথা হয় তাদের সঙ্গে। কোন ধানের চারা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রশ্নের উত্তরে জানা গেলো, বিআর-২৮ ধানের চারা।

মনে হচ্ছে এখনই মাঘের শীত শুরু হয়ে গেছে। বিকেল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতেও টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে ক’দিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ কার্পেট। আর তারপরেই সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পৌষের শীত সবসময় কৃষকের কাছেই যেন পরাস্ত

আপডেট টাইম : ০৪:১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত দু’দিন ধরে হঠাৎ করেই বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। নেত্রকোনা জেলার মানুষ সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা হলে আগেভাগেই দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন।

কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবেন তাদের স্থবিরতা নেই। হাড়ভাঙা শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোর থেকে মাঠে নেমেছেন গ্রামবাংলার প্রকৃত শিল্পী কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন পরাস্ত!

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বড়বাট্টা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরবেলায় প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যেও ফসল বুনতে কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে কাজ করছেন। শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমরা এসময়ে বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না কারো।

কৃষক রহমত মিয়া বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা। মাঠের পর মাঠ ফসল না বুনলে মানুষ খাবে কি।

বেলা সাড়ে ১১টায় কাপাসাটিয়া এলাকায় মাথায় ধানের চারা নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন দুই কৃষক। পথে কথা হয় তাদের সঙ্গে। কোন ধানের চারা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রশ্নের উত্তরে জানা গেলো, বিআর-২৮ ধানের চারা।

মনে হচ্ছে এখনই মাঘের শীত শুরু হয়ে গেছে। বিকেল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতেও টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে ক’দিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ কার্পেট। আর তারপরেই সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক।