ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরের পানি নিয়ে চিন্তিত সেলু মেশিন দিয়ে পানি সরানোর উদ্যেগ্য কৃষকেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৯০৩ বার

জাকির হোসাইনঃ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা,অষ্টগ্রাম,মিঠামইনের হাওরের পানি দেরিতে নামায় বোরো আবাদ নিয়ে চিন্তিত জেলার কয়েক লাখ কৃষক। পানি না নামায় বেশির ভাগ স্থানে এখনো তৈরি হয়নি বীজতলা। সময়মতো বোরো আবাদ শুরু না হলে অকাল বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন হাওরের কৃষকেরা।

হাওরের পানি নামার পথে সংস্কার কাজ করলেই দু’একদিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। জেলার সব ক’টি হাওরে এখন বোরো বীজতলা তৈরি জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করার কথা। কিন্তু হাওরের চিত্র ভিন্ন। ধীর গতিতে পানি নামায় হাওরে এখনও পানি রয়ে গেছে। 

ফলে বোরো বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা। ব্রি-২৯ জাতের ধানের বীজতলা তৈরির সময়ও চলে গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, স্লুইচ গেটের পানি নিষ্কাশনের পথে ভরাট হওয়া হাওরের পানি নামছে ধীরগতিতে। তাই হাওরের পানি নিয়ে চিন্তিত কয়েক লাখ কৃষক।

বিলম্বে চাষাবাদ শুরু হলে ধান কাটতে দেরি হবে। তখন অকাল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে জেলার হাওরের একমাত্র ফসল বোরো। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পানির এই উচ্চতার কারণে হাওরের পানি নামছে না, বিলম্ব হচ্ছে বোরোর বীজ বপন। দেখা গেছে, প্রায় সব ক’টি হাওরের পানি নামার পথগুলো পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে।

ফলে ধীরগতিতে নামছে হাওরের পানি। মিঠামইন উপজেলার চারিগ্রামওঢাকীর হাওর পাড়ের গ্রামের কৃষক সাদেক আলী বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য অনেক স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়েছে। অধিকাংশ স্লুইচ গেট বর্তমানে অকেজো। এগুলো কাজে আসছে না। সংস্কার করলে স্লুইচ গেট দিয়ে দ্রুত পানি নামবে।

কৃষকরা বলেন, পানি নিষ্কাশনের পথগুলোর সংস্কার ও অকেজো সু্লইচ গেট সচল করলে এ সমস্যার সমাধান হবে। জরুরি ভিত্তিতে এ কাজগুলো করলে পানি দ্রুত বেগে নেমে যাবে। এতে করে বোরো আবাদ নিয়ে কৃষকের শঙ্কা দূর হবে বলে স্থানীয়রা জানান।এখন আবার গতি বেড়েছে। নদীর পানি নামতে শুরু হয়েছে।

যে সব হাওরে দ্রুত পানি নামতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেখানে দ্রুত গতিতে নামার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্ষাকাল বিলম্ব হওয়ায় হাওরের পানি নামতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে সব হাওর থেকে পানি নেমে যাবে আশা করছি। অনেক স্থানে হাওরের পানি নেমে যাওয়ায় বীজ বপন শুরু করেছেন কৃষকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরের পানি নিয়ে চিন্তিত সেলু মেশিন দিয়ে পানি সরানোর উদ্যেগ্য কৃষকেরা

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

জাকির হোসাইনঃ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা,অষ্টগ্রাম,মিঠামইনের হাওরের পানি দেরিতে নামায় বোরো আবাদ নিয়ে চিন্তিত জেলার কয়েক লাখ কৃষক। পানি না নামায় বেশির ভাগ স্থানে এখনো তৈরি হয়নি বীজতলা। সময়মতো বোরো আবাদ শুরু না হলে অকাল বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন হাওরের কৃষকেরা।

হাওরের পানি নামার পথে সংস্কার কাজ করলেই দু’একদিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। জেলার সব ক’টি হাওরে এখন বোরো বীজতলা তৈরি জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করার কথা। কিন্তু হাওরের চিত্র ভিন্ন। ধীর গতিতে পানি নামায় হাওরে এখনও পানি রয়ে গেছে। 

ফলে বোরো বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা। ব্রি-২৯ জাতের ধানের বীজতলা তৈরির সময়ও চলে গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, স্লুইচ গেটের পানি নিষ্কাশনের পথে ভরাট হওয়া হাওরের পানি নামছে ধীরগতিতে। তাই হাওরের পানি নিয়ে চিন্তিত কয়েক লাখ কৃষক।

বিলম্বে চাষাবাদ শুরু হলে ধান কাটতে দেরি হবে। তখন অকাল বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে জেলার হাওরের একমাত্র ফসল বোরো। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পানির এই উচ্চতার কারণে হাওরের পানি নামছে না, বিলম্ব হচ্ছে বোরোর বীজ বপন। দেখা গেছে, প্রায় সব ক’টি হাওরের পানি নামার পথগুলো পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে।

ফলে ধীরগতিতে নামছে হাওরের পানি। মিঠামইন উপজেলার চারিগ্রামওঢাকীর হাওর পাড়ের গ্রামের কৃষক সাদেক আলী বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য অনেক স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়েছে। অধিকাংশ স্লুইচ গেট বর্তমানে অকেজো। এগুলো কাজে আসছে না। সংস্কার করলে স্লুইচ গেট দিয়ে দ্রুত পানি নামবে।

কৃষকরা বলেন, পানি নিষ্কাশনের পথগুলোর সংস্কার ও অকেজো সু্লইচ গেট সচল করলে এ সমস্যার সমাধান হবে। জরুরি ভিত্তিতে এ কাজগুলো করলে পানি দ্রুত বেগে নেমে যাবে। এতে করে বোরো আবাদ নিয়ে কৃষকের শঙ্কা দূর হবে বলে স্থানীয়রা জানান।এখন আবার গতি বেড়েছে। নদীর পানি নামতে শুরু হয়েছে।

যে সব হাওরে দ্রুত পানি নামতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেখানে দ্রুত গতিতে নামার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্ষাকাল বিলম্ব হওয়ায় হাওরের পানি নামতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে সব হাওর থেকে পানি নেমে যাবে আশা করছি। অনেক স্থানে হাওরের পানি নেমে যাওয়ায় বীজ বপন শুরু করেছেন কৃষকরা।