ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরি ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৬৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর রাণীনগরের নিন্মাঞ্চলে ইরি ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপনের লক্ষে ৯৯০ হেক্টর জমিতে চারা বোপন করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে ইরি-বোরো ধান রোপন। বন্যার পানি নেমে যাবার পর পরই কৃষকরা কোমড় বেঁধে মাঠে নামেন বীজতলা তৈরিতে ।

সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, রোপা-আমন মৌসুমে ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশের ন্যায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমির আবাদী ধান সম্পন্ন নষ্ট হয়ে যায় । এর পর বন্যার পানি নেমে যাবার সাথে সাথে কৃষকরা কোমড় বেধে মাঠে নামেন বীজতলা তৈরি করার জন্য।

ইরি মৌসুমে ১৮ হাজার ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপনের লক্ষে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৯৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ।

কৃষি কর্মকর্তাদের জোড়ালো নজদারী আর কৃষকদের সচেতনতার কারনে রোগ বালায় মুক্ত রয়েছে বীজতলা । ইতি মধ্যে উপজেলার নিন্মাঞ্চলে কৃষকরা ধান রোপন শুরু করেছেন।

উপজেলার মিরাট, হরিশপুর, ধনপাড়া, মেরিয়া,কুনৌজ,বড়খোল,আতাইকুলা,সিম্বা-খাগরামাঠসহ বেশ কয়েকটি মাঠে খুব তোর-জোর করেই ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। উপজেলার খাগড়া গ্রামের কৃষক মজনুর রহমান জানান,গত আমন মৌসুমে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে আতব ধান রোপন করেছিলেন।

সে সময় ভয়াবহ বন্যার কারনে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে । তাই ক্ষতি পুষে নিতে আগাম ধান রোপন শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে তিনি প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপন করছেন। ইতি মধ্যে প্রায় ৪০/৪৫ বিঘা জমিতে ধান রোপন শেষ হয়েছে ।

হরিশপুরের কৃষক আব্দুল আহাদ,ছামছুল আলম,আবুল হোসেন,হামিদ ফারাজি,আতাইকুলার গোলাপ হোসেনসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান,এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে সঠিক পরিচর্জা করার কারনে বীজতলার কোন সমস্যা হয়নি। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে মাঠগুলোতে ধান রোপন শেষ হবে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস,এম গোলাম সারোওয়ার জানান,চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজতলায় রোগ-বালায় দমনের জন্য আলোকফাঁদসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরামর্শ কৃষকরা অনুসরণ করায় ধানের চারাগুলো রোগমুক্ত রয়েছে ।

ইতি মধ্যে প্রায় ৩শত হেক্টর জমিতে ধান রোপস শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে ধাকলে আবাদের লক্ষ মাত্রা পূর্ণ হবে বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইরি ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৪:৩২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর রাণীনগরের নিন্মাঞ্চলে ইরি ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপনের লক্ষে ৯৯০ হেক্টর জমিতে চারা বোপন করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে ইরি-বোরো ধান রোপন। বন্যার পানি নেমে যাবার পর পরই কৃষকরা কোমড় বেঁধে মাঠে নামেন বীজতলা তৈরিতে ।

সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, রোপা-আমন মৌসুমে ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশের ন্যায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমির আবাদী ধান সম্পন্ন নষ্ট হয়ে যায় । এর পর বন্যার পানি নেমে যাবার সাথে সাথে কৃষকরা কোমড় বেধে মাঠে নামেন বীজতলা তৈরি করার জন্য।

ইরি মৌসুমে ১৮ হাজার ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপনের লক্ষে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৯৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ।

কৃষি কর্মকর্তাদের জোড়ালো নজদারী আর কৃষকদের সচেতনতার কারনে রোগ বালায় মুক্ত রয়েছে বীজতলা । ইতি মধ্যে উপজেলার নিন্মাঞ্চলে কৃষকরা ধান রোপন শুরু করেছেন।

উপজেলার মিরাট, হরিশপুর, ধনপাড়া, মেরিয়া,কুনৌজ,বড়খোল,আতাইকুলা,সিম্বা-খাগরামাঠসহ বেশ কয়েকটি মাঠে খুব তোর-জোর করেই ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। উপজেলার খাগড়া গ্রামের কৃষক মজনুর রহমান জানান,গত আমন মৌসুমে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে আতব ধান রোপন করেছিলেন।

সে সময় ভয়াবহ বন্যার কারনে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে । তাই ক্ষতি পুষে নিতে আগাম ধান রোপন শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে তিনি প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপন করছেন। ইতি মধ্যে প্রায় ৪০/৪৫ বিঘা জমিতে ধান রোপন শেষ হয়েছে ।

হরিশপুরের কৃষক আব্দুল আহাদ,ছামছুল আলম,আবুল হোসেন,হামিদ ফারাজি,আতাইকুলার গোলাপ হোসেনসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান,এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে সঠিক পরিচর্জা করার কারনে বীজতলার কোন সমস্যা হয়নি। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে মাঠগুলোতে ধান রোপন শেষ হবে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস,এম গোলাম সারোওয়ার জানান,চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজতলায় রোগ-বালায় দমনের জন্য আলোকফাঁদসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরামর্শ কৃষকরা অনুসরণ করায় ধানের চারাগুলো রোগমুক্ত রয়েছে ।

ইতি মধ্যে প্রায় ৩শত হেক্টর জমিতে ধান রোপস শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে ধাকলে আবাদের লক্ষ মাত্রা পূর্ণ হবে বলে জানান তিনি।