আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও মন্ত্রিত্ব হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের এবার টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু হয়েছে। এতে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন তার আপন ছোট ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী উপনির্বাচনে অংশ নেবেন এমন তথ্য তার অনুসারীরাই নির্বাচনী মাঠে ছড়িয়েছেন। তবে তিনি কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন তা এখনও পরিস্কার নয়।
একাধিক সূত্রমতে, কাদের সিদ্দিকীর নিজ দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকেই উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। সে জন্য তার দলের ১৪ দলীয় জোটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও এ ব্যাপারে নমনীয় বলে সূত্রমতে জানা গেছে। তবে সার্বিক বিষয়টি নির্ভর করছে জোট নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর।
১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্যও ছিলেন। ১৯৯৬ সংসদের শেষ দিকে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার মনোমালিন্য দেখা দেয়। সে সময় তিনি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সে সময় উপনির্বাচনে তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করে গামছা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। সে নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রয়াত শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে পরাজিত হন। পরে শওকত মোমেন শাজাহানের মৃত্যুর পর ওই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলেও তিনি আইনি জটিলতায় তা পারেননি। সেই থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত আছেন। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট গঠন করা হলেও তাতে তিনি যোগ দেননি। আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলেও থাকেননি।
তবে অতি সম্প্রতি কাদের সিদ্দিকী শোকের কর্মসূচির অংশ হিসেবে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়েছিলেন। মাজারের পাশে তিনি চাঁদর বিছিয়ে শুয়ে রাত্রিও যাপন করেছেন। ১৬ আগস্ট তিনি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরেও যান। দল থেকে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে একটি শোকের পোস্টারও বের করেন। বর্তমানে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা সরকারের সমালোচনা থেকেও বিরত রয়েছেন। সূত্র: চ্যানেল আই