ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরে ও নদীপথে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩০৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বর্ষা মওসুমে হাওরপথে ও হেমন্তে নদীপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীরা রয়েছেন চরম শঙ্কিত। বিশাল হাওরপাড়ের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌযান ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এ কারণেই হাওরে ও নদীপথে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের।

জেলার জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধরমপাশা, মধ্যনগর, দিরাই, শাল্লা, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাসহ প্রতিটি উপজেলায় বর্ষাকালে নদীপথে হাওরে যাতায়াতে ও পণ্য পরিবহনে একমাত্র সহজ ব্যবস্থা হিসেবে চলছে ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকা ও কাঠের তৈরি নৌকা। বর্ষা ছাড়াও সারা বছরে জেলার নদীপথে চলে ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি বলগেট নামের নৌকা ও যাত্রীবাহী নৌকা।

বেশি লাভের আশায় অতিরিক্ত মালামাল নেয়া, অদক্ষ চালক, অসাবধানতা, অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই, জোড়াতালি দিয়ে ত্রুটিযুক্ত ট্রলার চলাচলের কারণে বিগত কয়েক বছরে এই পথে ২০টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১৬ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য যাত্রী। তারমধ্যে শিক্ষার্থী ও গরিব অসহায় শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই ২০টি নৌ-দুর্ঘটনা কোনো প্রাকৃতিক কারণে ঘটেনি।

নৌযান চলাচলের নীতিমালা না মানার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ আর উদ্ধার তৎপরতা। জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো যন্ত্রপাতি না থাকায় উদ্ধারকাজও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় না। নদীপথে নৌযান চলাচলে আইন মানা হচ্ছে কি না বিআইডব্লিউটিএ’র দেখার কথা থাকলেও তাদের কার্যক্রম সে রকম জোরালো বলে মনে হয় না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে জুন মাসে জেলার ধরমপাশার শৈলচাপড় হাওরে ট্রলার ডুবে শিশু-নারী ও শিক্ষাথীসহ ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১১ সালে সেপ্টেম্বরের প্রায় শেষের দিকে জামালগঞ্জের দুর্লভপুর গ্রামে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে ট্রলার ডুবে পাঁচ শিশুসহ আট যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। একই বছর জুন মাসে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে এক নির্বাচনী প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

২০ জুলাই সুরমা নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবে মারা যান ছাতক উপজেলার এক ইউপি সদস্য। একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কাঠইর নদীতে বরযাত্রীবাহী নৌকা ডুবে নববধূসহ দুইজনের মৃত্যু হয়। ওই বছরেই ১৮ ডিসেম্বর জামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ধনু নদীতে কামধরপুর গ্রামের বাঁকে পাথরবাহী বলগেট ও যাত্রীবাহী নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে ধরমপাশা উপজেলার সোনা মড়ল হাওরে ট্রলার ডুবে চার যাত্রী মারা যান।

একই বছর ১১ জুন সুনামগঞ্জ সদরের উজান রামনগরে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে একজনের মৃত্যু হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে ট্রলার ডুবে সাতজনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় লক্ষ্মী বাউর দোহালিয়ায় সুরমা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশুসহ ১২ জন মারা যায়। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত পাঠলাই নদীতে খেয়া পারাপারের সময় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে নৌকা ডুবে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই বছরই জুনের মাঝামাঝি তাহিরপুরের পাতারগাঁও সেতুর পাশে নৌকা ডুবে মা-ছেলে-নানীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলার মল্লিকপুরে বালুভর্তি বলগেট নৌকা ডুবে তিনজন প্রাণ হারান। জুলাই মাসেই শেষের দিকে মধ্যনগর থানার গোমাই নদীতে এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়।

জুন মাসের মাঝামাঝি সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর থেকে মোহনপুর আসার পথে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় পানিতে ডুবে মারা যান একজন। আগস্টের শেষে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার সংলগ্নে নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবরের শেষে তাহিরপুরের সীমান্তে পাঠলাই নদীতে নৌকা দিয়ে পারাপারের সময় রাতে এক বিজিবি সদস্য নিহত হন।

নভেম্বরের প্রথমার্ধে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে জেএসসি পরীক্ষার্থীসহ প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির কারণে প্রায় ৪০ জনের মতো আহত হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি ভোরে তাহিরপুরের সীমান্তে রাঙ্গাছড়া নদীতে নৌকার সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি দিরাই চাতল বিলে নৌকা ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন নৌ-দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, তবে নিহতদের সংখ্যা নির্ণয় সম্ভব হয়নি।

হাওরপাড়ের বাসিন্দা ও নৌ-শ্রমিকেরা এই প্রতিবেদককে জানান, সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে ও হাওরপাড়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ করা যাবে না। তবে নৌ চলাচলে যে নীতিমালা আছে তা নৌমালিকেরা যদি মেনে চলেন আর শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করলে দুর্ঘটনার হার কমবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে যেসব প্রাণ ঝরে গেছে, তাদের হারিয়ে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছে দুর্ঘটনাকবলিত পরিবারগুলো। নৌপথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেরিন কোর্ট স্থাপন ও বিআইডব্লিউটিএ’র শাখা স্থাপন আর জনসচেতনতা সৃষ্টি করলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক জানান, হাওর এলাকায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে বিভিন্ন সেমিনার করা প্রয়োজন। আর নৌযানগুলোকে মেরিন আইনের নীতিমালায় চলাচলের ব্যবস্থা করলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরে ও নদীপথে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের

আপডেট টাইম : ১২:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বর্ষা মওসুমে হাওরপথে ও হেমন্তে নদীপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীরা রয়েছেন চরম শঙ্কিত। বিশাল হাওরপাড়ের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌযান ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এ কারণেই হাওরে ও নদীপথে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের।

জেলার জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধরমপাশা, মধ্যনগর, দিরাই, শাল্লা, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাসহ প্রতিটি উপজেলায় বর্ষাকালে নদীপথে হাওরে যাতায়াতে ও পণ্য পরিবহনে একমাত্র সহজ ব্যবস্থা হিসেবে চলছে ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকা ও কাঠের তৈরি নৌকা। বর্ষা ছাড়াও সারা বছরে জেলার নদীপথে চলে ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি বলগেট নামের নৌকা ও যাত্রীবাহী নৌকা।

বেশি লাভের আশায় অতিরিক্ত মালামাল নেয়া, অদক্ষ চালক, অসাবধানতা, অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই, জোড়াতালি দিয়ে ত্রুটিযুক্ত ট্রলার চলাচলের কারণে বিগত কয়েক বছরে এই পথে ২০টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১৬ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য যাত্রী। তারমধ্যে শিক্ষার্থী ও গরিব অসহায় শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই ২০টি নৌ-দুর্ঘটনা কোনো প্রাকৃতিক কারণে ঘটেনি।

নৌযান চলাচলের নীতিমালা না মানার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ আর উদ্ধার তৎপরতা। জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো যন্ত্রপাতি না থাকায় উদ্ধারকাজও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় না। নদীপথে নৌযান চলাচলে আইন মানা হচ্ছে কি না বিআইডব্লিউটিএ’র দেখার কথা থাকলেও তাদের কার্যক্রম সে রকম জোরালো বলে মনে হয় না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে জুন মাসে জেলার ধরমপাশার শৈলচাপড় হাওরে ট্রলার ডুবে শিশু-নারী ও শিক্ষাথীসহ ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১১ সালে সেপ্টেম্বরের প্রায় শেষের দিকে জামালগঞ্জের দুর্লভপুর গ্রামে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে ট্রলার ডুবে পাঁচ শিশুসহ আট যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। একই বছর জুন মাসে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে এক নির্বাচনী প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

২০ জুলাই সুরমা নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবে মারা যান ছাতক উপজেলার এক ইউপি সদস্য। একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কাঠইর নদীতে বরযাত্রীবাহী নৌকা ডুবে নববধূসহ দুইজনের মৃত্যু হয়। ওই বছরেই ১৮ ডিসেম্বর জামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ধনু নদীতে কামধরপুর গ্রামের বাঁকে পাথরবাহী বলগেট ও যাত্রীবাহী নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে ধরমপাশা উপজেলার সোনা মড়ল হাওরে ট্রলার ডুবে চার যাত্রী মারা যান।

একই বছর ১১ জুন সুনামগঞ্জ সদরের উজান রামনগরে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে একজনের মৃত্যু হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে ট্রলার ডুবে সাতজনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় লক্ষ্মী বাউর দোহালিয়ায় সুরমা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশুসহ ১২ জন মারা যায়। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত পাঠলাই নদীতে খেয়া পারাপারের সময় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে নৌকা ডুবে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই বছরই জুনের মাঝামাঝি তাহিরপুরের পাতারগাঁও সেতুর পাশে নৌকা ডুবে মা-ছেলে-নানীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলার মল্লিকপুরে বালুভর্তি বলগেট নৌকা ডুবে তিনজন প্রাণ হারান। জুলাই মাসেই শেষের দিকে মধ্যনগর থানার গোমাই নদীতে এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়।

জুন মাসের মাঝামাঝি সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর থেকে মোহনপুর আসার পথে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় পানিতে ডুবে মারা যান একজন। আগস্টের শেষে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার সংলগ্নে নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবরের শেষে তাহিরপুরের সীমান্তে পাঠলাই নদীতে নৌকা দিয়ে পারাপারের সময় রাতে এক বিজিবি সদস্য নিহত হন।

নভেম্বরের প্রথমার্ধে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে জেএসসি পরীক্ষার্থীসহ প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির কারণে প্রায় ৪০ জনের মতো আহত হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি ভোরে তাহিরপুরের সীমান্তে রাঙ্গাছড়া নদীতে নৌকার সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি দিরাই চাতল বিলে নৌকা ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন নৌ-দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, তবে নিহতদের সংখ্যা নির্ণয় সম্ভব হয়নি।

হাওরপাড়ের বাসিন্দা ও নৌ-শ্রমিকেরা এই প্রতিবেদককে জানান, সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে ও হাওরপাড়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ করা যাবে না। তবে নৌ চলাচলে যে নীতিমালা আছে তা নৌমালিকেরা যদি মেনে চলেন আর শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করলে দুর্ঘটনার হার কমবে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে যেসব প্রাণ ঝরে গেছে, তাদের হারিয়ে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছে দুর্ঘটনাকবলিত পরিবারগুলো। নৌপথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেরিন কোর্ট স্থাপন ও বিআইডব্লিউটিএ’র শাখা স্থাপন আর জনসচেতনতা সৃষ্টি করলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক জানান, হাওর এলাকায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে বিভিন্ন সেমিনার করা প্রয়োজন। আর নৌযানগুলোকে মেরিন আইনের নীতিমালায় চলাচলের ব্যবস্থা করলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।