হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘ প্রস্তাবের বিরোধিতাকারী চীন ও রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সপ্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্তকারী। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংঘি লীকে সফরে বাধা দেয় মিয়ানমার।
তিনি বিশেষ ভাবে চীন ও রাশিয়ার সমালোচনা করেন। এই দুটি দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনীর দমন অভিযান বন্ধে জাতিসংঘ প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে। রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে লী বলেন, চীন ও রাশিয়া যেন মানবাধিকারের পক্ষে থাকে সে বিষয়ে তাদেরকে রাজি করাতে আমি আন্তর্জাতিক সপ্রদায়ের প্রতি আহবান জানাই।
মিয়ানমার বাহিনীর দমন অভিযানের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওআইসি। রাশিয়া ও চীন এই নিন্দাবাদে যোগ দেয়নি। মিয়ানমার বাহিনীর দমন অভিযানের মুখে রাখাইন থেকে সাড়ে ছয় লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা পালিয়ে যায়। লী’র আহবানের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং জানিয়েছেন যে, মানবাধিকার ইস্যুতে এক্সটার্নাল এক্টরগুলো যে চাপ সৃষ্টি করছে তা সমস্যার সমাধান না করে বরং একে আরো জটিল করবে।
হুয়া বলেন, এটা মিয়ানমার, এর প্রতিবেশী বা আন্তর্জাতিক সপ্রদায় কারো স্বার্থই রক্ষা করবে না। এর আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে রাশিয়া সতর্ক করে দেয়। মিয়ানমারে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই লিস্তোপাদখ বলেন, তার দেশ অতিমাত্রায় হস্তক্ষেপের বিপক্ষে। কারণ, এটা কোন গঠনমূলক ফল বয়ে আসবে না।