ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাদাম চাষে বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ১০৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর চরের কৃষকরা ব্যাপক হারে চোষ। বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক। রৌমারী’র পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রহ্মপুত্র পারের গ্রামগুলো যেন খেলাঘর। নদীর খেয়াল খুশিমত প্রতি বছর ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনের তা-বে কখনো বালুচর কখনো নদের তলদেশে পরিণত হয়।

ওই অঞ্চলের মানুষগুলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ফসলের প্রকারভেদ অনুযায়ী সাদা ধবধবে বালুর বুকচিড়ে চোষ করে। ওখানকার মানুষ চেয়ে থাকে চর জেগে উঠার অপেক্ষায়। যেহেতু নদীর বুকচিড়ে জেগে উঠা ভূমি ৩মাস পড়েই আবার নদে পরিণত হবে, তাই ওরা চোষ বেচে নেয়।

রৌমারী’র পশ্চিমে ফলুয়ারচর, কান্দাপাড়া, খেরুয়ারচর, বড়চর, খেদাইমারী, ঘুঘুমারী, দক্ষিণ ফলুয়া, পশ্চিম ফলুয়াসহ ৮ গ্রামের মানুষ চোষ করে খাদ্যের চাহিদা মিটায়।

Related image

চোষী আজমল, বাদশা, রফিকুল, আলম ও ছালাম জানান, ‘আমরা ৮ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রবিশস্য হিসেবে ওে আষাঢ়ী ফসল হিসেবে চিনা ও কাউন চাষ করে সংসার চালাই, এহানে বালি মাটি হওয়ায় অন্য কোন ফসল হয়না।

ভালো ফসল নাহলে জামু কোনে, নদীর সাথে যুদ্ধ কইরা বাপ দাদার ভিটেমাটি জমিজিরাত আকরে ধইরা আছি। তবে আগের চাইতে বর্তমানে বাজারে  বাদামের চাহিদা বেশি হওয়ায় যথেষ্ট আয় হয়।’

রৌমারী উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবছর রৌমারীতে ২ হাজার একর জমিতে চোষ করা হয়েছে। এমনকি এবছর বাদামের জমিতে পলিমাটি ও  বালি মিশ্রিত থাকায় সন্তসজনক বাদামের ফলন আশা করা যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাদাম চাষে বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৪:২৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর চরের কৃষকরা ব্যাপক হারে চোষ। বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক। রৌমারী’র পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রহ্মপুত্র পারের গ্রামগুলো যেন খেলাঘর। নদীর খেয়াল খুশিমত প্রতি বছর ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনের তা-বে কখনো বালুচর কখনো নদের তলদেশে পরিণত হয়।

ওই অঞ্চলের মানুষগুলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ফসলের প্রকারভেদ অনুযায়ী সাদা ধবধবে বালুর বুকচিড়ে চোষ করে। ওখানকার মানুষ চেয়ে থাকে চর জেগে উঠার অপেক্ষায়। যেহেতু নদীর বুকচিড়ে জেগে উঠা ভূমি ৩মাস পড়েই আবার নদে পরিণত হবে, তাই ওরা চোষ বেচে নেয়।

রৌমারী’র পশ্চিমে ফলুয়ারচর, কান্দাপাড়া, খেরুয়ারচর, বড়চর, খেদাইমারী, ঘুঘুমারী, দক্ষিণ ফলুয়া, পশ্চিম ফলুয়াসহ ৮ গ্রামের মানুষ চোষ করে খাদ্যের চাহিদা মিটায়।

Related image

চোষী আজমল, বাদশা, রফিকুল, আলম ও ছালাম জানান, ‘আমরা ৮ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রবিশস্য হিসেবে ওে আষাঢ়ী ফসল হিসেবে চিনা ও কাউন চাষ করে সংসার চালাই, এহানে বালি মাটি হওয়ায় অন্য কোন ফসল হয়না।

ভালো ফসল নাহলে জামু কোনে, নদীর সাথে যুদ্ধ কইরা বাপ দাদার ভিটেমাটি জমিজিরাত আকরে ধইরা আছি। তবে আগের চাইতে বর্তমানে বাজারে  বাদামের চাহিদা বেশি হওয়ায় যথেষ্ট আয় হয়।’

রৌমারী উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবছর রৌমারীতে ২ হাজার একর জমিতে চোষ করা হয়েছে। এমনকি এবছর বাদামের জমিতে পলিমাটি ও  বালি মিশ্রিত থাকায় সন্তসজনক বাদামের ফলন আশা করা যাচ্ছে।