ড. মুহম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করতে চেয়েছেন উল্লেখ করে , হিলারি ক্লিনটনের সাথে ড. মুহম্মদ ইউনূসের যে মেইলগুলো আদান প্রদান হয়েছে তাতে একটি কূটনৈতিক সৃষ্টাচার রয়েছে। কিন্তু ড. মুহম্মদ ইউনূসের সাথে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার যখন ভাল সম্পর্ক ছিল না তখন ড. মুহম্মদ ইউনূস হিলারিকে শেখ হাসিনার উপর চাপ সৃষ্টি করতে বলে ছিলেন। কিন্তু তাতে দেশের সরকার এবং সাধারণ জনগণের যে ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পদ্মা সেতু তৈরি নিয়ে। কারণ পদ্মা সেতু তৈরিতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক পরে বুঝতে পারে যে অযৌক্তিক কারণে তারা পদ্মা সেতু তৈরিতে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষতি করতে চেয়েছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে। শুক্রবার রাত আটটায় একাত্তর টেলিশিনে অনুষ্ঠিত একাত্তর সংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আমাদের সময়.কম’র।
বলেন, ড. ইউনূস নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য কি-না করেছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তিনি করেন নি এমন কোনো কাজ নেই। তিনি অনেক মিথ্যা কথা বলেছেন। সুতরাং ড. ইউনূস মিথ্যাবাদী। ড. ইউনূস হিলারির সহকারীর কাছে যে মেইলগুলো পাঠিয়েছে তার একটি জায়গায় উল্লেখ আছে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিকসহ প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, তারা ভয় পান যে তিনি রাজনীতে নামবেন কি-না এবং তাতে তাদের অসুবিধা হবে কিনা। এটি শুধু মিথ্যাচার নয় এটি নিচু স্তারের চালাকী বলে মনে হয়।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক মামুন রশীদ বলেন, হিলারির সাথে ড. মুহম্মদ ইউনূনেস যে মেইলগুলা আদান প্রদান হয়েছে তাতে তেমন কিছু লেখা ছিল না। কিন্তু ড. মুহম্মদ ইউনূস কিছু সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর কারণে ড. মুহম্মদ ইউনূসের সাথে প্রধানমন্ত্রী আর সাক্ষাৎ করেননি। সুতরাং ড. মুহম্মদ ইউনূস হিলারির সালে ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করেছিলেন যাতে শেখ হাসিনার সাথে ইউনূসরে সম্পর্ক জোরালো বা ঘনিষ্ঠ হয়।
অনুষ্ঠানে সিনিয়ন সাংবাদিক বলেন, ড. ইউনূস হিলারি যাতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এবং তাকে চাপে রাখেন সেজন্য হিলারির সাথে ই-ইমেল আদান প্রদান করত ড. ইউনূস। ফলে তার দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন আমাদের হতে হয়েছে এবং তারা জন্য আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে। সেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একজন সামরিক শাসকের টাকার। মিলিটারি শাসক এরশাদ ক্ষমতায় আসার পরই তিনি এরশাদের দেয়া ৮০ কোটি টাকা দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ড. মুহম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর কখনো বলেনি সরকার আমাকে টাকা না দিলে আমি কখনো গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত করতে পারতাম না এবং আমার পুরস্কার দেশের সরকার ও জনগণের জন্য।