ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিশ্বযুদ্ধে ৭০তম বিজয় বার্ষিকীতে চীনের কুচকাওয়াজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩২১ বার

নিজের বিশাল সামরিক শক্তির কথা আবারও বিশ্বকে জানান দিল চীন। রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত কুচকাওয়াজে নজিরবিহীন শক্তির প্রদর্শন করেছে দেশটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে জয়লাভের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ওই আলোচিত কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। খবর এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্সের।

​উদ্বোধনী বক্তৃতায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীনের জনগণ কঠোর লড়াই করে জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে। তিনি চীনের সেই যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিয়েনআনমেন স্কয়ারের এই আয়োজনে ১২ হাজার সেনা, ২০০ উড়োজাহাজ, বিভিন্ন ধরনের ট্যাংক, বিমানবাহী রণতরি ধ্বংসে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ডংফেং-২১ডিসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, প্রদর্শিত যুদ্ধ সরঞ্জামগুলোর প্রায় সবই প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হলো।

কুচকাওয়াজস্থলের কেন্দ্রে নির্মিত মঞ্চে বসে আয়োজন দেখেন চীনের প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান শি জিনপিং। বক্তৃতায় তিনি দেশটির সেনাসংখ্যা কমিয়ে আনার কথাও উল্লেখ করেন। বর্তমানে চীনের সেনাসদস্য ২৩ লাখ, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। সেনাসংখ্যা তিন লাখ কমিয়ে আনার কথা বলেছেন জিনপিং। তিনি বলেন, ‘চীন কখনোই আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে না। চীন কখনোই নিজের অতীতের দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা অন্য কোনো দেশের ওপর চাপিয়ে দেবে না। বেইজিং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।’

বিবিসির চীন-বিষয়ক সম্পাদক ক্যারি গ্রাসির মূল্যায়ন: সেনাসংখ্যা কমানো মানে চীনের সামরিক শক্তি কমে যাবে—বিষয়টি তেমন নয়। চীন বিমান ও নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করছে। তাই এত বেশি স্থলসেনা রাখার প্রয়োজন নেই।

কুচকাওয়াজে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত ছিলেন। ৩০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। তবে প্রতিবেশী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও অনেক পশ্চিমা দেশের নেতারা যাননি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিশ্বযুদ্ধে ৭০তম বিজয় বার্ষিকীতে চীনের কুচকাওয়াজ

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিজের বিশাল সামরিক শক্তির কথা আবারও বিশ্বকে জানান দিল চীন। রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত কুচকাওয়াজে নজিরবিহীন শক্তির প্রদর্শন করেছে দেশটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে জয়লাভের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ওই আলোচিত কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। খবর এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্সের।

​উদ্বোধনী বক্তৃতায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীনের জনগণ কঠোর লড়াই করে জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছে। তিনি চীনের সেই যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিয়েনআনমেন স্কয়ারের এই আয়োজনে ১২ হাজার সেনা, ২০০ উড়োজাহাজ, বিভিন্ন ধরনের ট্যাংক, বিমানবাহী রণতরি ধ্বংসে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ডংফেং-২১ডিসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, প্রদর্শিত যুদ্ধ সরঞ্জামগুলোর প্রায় সবই প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হলো।

কুচকাওয়াজস্থলের কেন্দ্রে নির্মিত মঞ্চে বসে আয়োজন দেখেন চীনের প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান শি জিনপিং। বক্তৃতায় তিনি দেশটির সেনাসংখ্যা কমিয়ে আনার কথাও উল্লেখ করেন। বর্তমানে চীনের সেনাসদস্য ২৩ লাখ, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। সেনাসংখ্যা তিন লাখ কমিয়ে আনার কথা বলেছেন জিনপিং। তিনি বলেন, ‘চীন কখনোই আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবে না। চীন কখনোই নিজের অতীতের দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা অন্য কোনো দেশের ওপর চাপিয়ে দেবে না। বেইজিং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।’

বিবিসির চীন-বিষয়ক সম্পাদক ক্যারি গ্রাসির মূল্যায়ন: সেনাসংখ্যা কমানো মানে চীনের সামরিক শক্তি কমে যাবে—বিষয়টি তেমন নয়। চীন বিমান ও নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করছে। তাই এত বেশি স্থলসেনা রাখার প্রয়োজন নেই।

কুচকাওয়াজে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত ছিলেন। ৩০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। তবে প্রতিবেশী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও অনেক পশ্চিমা দেশের নেতারা যাননি