ফুলকপির বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার জামালপুরে শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে কপির দাম ভালো থাকায় কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। অনুকূল পরিবেশ আর বীজের সহজলভ্যতার ফলে জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় কপির এমন ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব কপি বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায়। এবার জামালপুর জেলায় সুনিষ্ঠার, টেবিটেল, সিরাজী, সাতাত্তার ও এক্সেল জাতের কপির বেশি ফলন হয়েছে।

এ বছর জেলায় ৫১৯ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। তবে কপির ফলন ভালো হলেও এগুলো আকারে কিছুটা ছোট হয়েছে। আবহাওয়া প্রতিকূল ও শ্রম খরচ বেশি থাকার কারণে এবার উৎপাদন খরচ অন্যান্য বারের চেয়ে একটু বেশি ছিল। তবে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক খুশি। বাজারে কপির দামও এবার বেশ ভালো যাচ্ছে। তবে আরও একটু ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন বলে যমুনার চরাঞ্চলের কৃষক আশা করছেন। প্রান্তিক কৃষক আনোয়ার বলেন, গত বন্যায় আমাদের সব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলাম। তবে ফুলকপি চাষ করে এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে আমরা লাভবান হব বলে আশা করছি। তবে সার, বিষ ও শ্রম মজুরি বেশি থাকায় আমাদের খরচ একটু বেশি হয়েছে। এটা আমরা পুষিয়ে নিতে পারব বলে আশা করছি।

বর্গাচাষি মানিক মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি প্রায় নব্বই শতাংশ জমিতে এবার কপি চাষ করেছি। ফলনও অনেকটাই ভালো হয়েছে। সার, বিষ ও শ্রম মজুরি বেশি থাকায় আমাদের খরচ একটু বেশি হলেও আমি লাভবান হব বলে আশা করছি। ফুলকপি বাজারে বিক্রি করে বেশ ভালো দামও পাচ্ছি। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবু হানিফ বলেছেন, কপির বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার কৃষক বেশ লাভবান হবেন। সরকারের কৃষি পরিবেশবান্ধব নীতি ও সার-বীজের সহজলভ্যতার কারণেই জামালপুর জেলায় এবার কপির বাম্পার ফলন হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা। তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ল্ড ফুড অর্গানাইজেশনের জরিপে সবজি চাষে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর একটা বড় অংশই উৎপাদন হচ্ছে জামালপুরে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর