ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমনের বাম্পার ফলন হলেও বৃষ্টির পানিতে পাকা ও আধা ধান ডুবে গেছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গপসাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে গত কয়েক দিনের অসময়ের ঝড়ো বৃষ্টিতে নিচু এলাকার পাকা ও আধা পাকা ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় এ জেলায় চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হলেও হঠাৎ করে ঝড়ো বৃষ্টির প্রভাবে অধিকাংশ জমির পাকা ও আধা পাকা ধান ক্ষেত পানির নিচে ডুবে গেছে। ফলে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

কৃষি অফিস বলছে, কয়েক দিনের বর্ষণে প্রায় ২৩শ’ ৭০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপকূলীয় এ জেলায় কয়েকদিনের অসময়ের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় রোপা আমন ধান হেলে পড়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বৃষ্টির পানিতে ধান, হতাশায় কৃষকরা

জেলার ৪ উপজেলায় এ মৌসুমে রোপা আমন ধান ক্ষেতের অধিকাংশ ক্ষেতের পাকা ও আধা পাকা ধান এখন কাঁদা মাটির সাথে লেপটে গেছে, নিচু এলাকার ধান রয়েছে পানিতে নিমজ্জিত। কৃষকরা রোপা আমনের ফলন অর্ধেকে নেমে আসার আশংকা করছেন।

কৃষকরা জানান, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের সেই স্বপ্ন কষ্টার্জিত ধান এখন কাঁদা পানিতে লেপ্টে আছে। আশানুরূপ ফলন থেকে এবার কৃষকরা বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বর্ষা অব্যাহত থাকলে ক্ষেতের ধান সঠিকভাবে কেটে ঘরে তোলা অসম্ভব বলে মনে করছে কৃষকরা।
এছাড়াও কিছু কিছু ফসলেরও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বেশি নিচু এলাকার পাকা ধান ঝড়ে পড়ছে মাটিতে এবং আধা পাকা ধান পচে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। ধান ক্ষেত সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ডুবে রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসাধরন অফিস জানিয়েছে, এ জেলায় ৫০ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে আমনের আবাদ করা হয়েছে। কয়েক দিনের বর্ষণে প্রায় ২৩শ’ ৭০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দ্রুত পানি না সরে গেলে এ ধান বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

কৃষকরা অভিযোগ করছে, কৃষি অফিসের লোকজন তাদের তেমন কোন পরামর্শও দিচ্ছেন না। বর্তমানে ধান তোলার আগ মূহুর্তে এমন বৃষ্টির ক্ষতি কিভাবে পোষাবে এ নিয়ে কৃষক হতাশায় পড়েছেন। কৃষক ধারনা করছে এবার ধানের চিটার পরিমান বেশি হবে। ধানের খড়কুটা পচে যাওয়ায় ও কর্দমাক্ত হওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিবে বলেও মনে করছে কৃষকরা। কৃষকরা লোকসান মুখে পড়বে বলেও ধারনা তাদের।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় এ জেলায় প্রায় ২৩শ’ ৭০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দ্রুত পানি সরে গেলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তবে পানি স্থায়ী হলে ধান ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এছাড়া কৃষকদের পাকা ধান কাটা এবং নিচু জমির পানি সরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমনের বাম্পার ফলন হলেও বৃষ্টির পানিতে পাকা ও আধা ধান ডুবে গেছে

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গপসাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে গত কয়েক দিনের অসময়ের ঝড়ো বৃষ্টিতে নিচু এলাকার পাকা ও আধা পাকা ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় এ জেলায় চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হলেও হঠাৎ করে ঝড়ো বৃষ্টির প্রভাবে অধিকাংশ জমির পাকা ও আধা পাকা ধান ক্ষেত পানির নিচে ডুবে গেছে। ফলে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

কৃষি অফিস বলছে, কয়েক দিনের বর্ষণে প্রায় ২৩শ’ ৭০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপকূলীয় এ জেলায় কয়েকদিনের অসময়ের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় রোপা আমন ধান হেলে পড়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বৃষ্টির পানিতে ধান, হতাশায় কৃষকরা

জেলার ৪ উপজেলায় এ মৌসুমে রোপা আমন ধান ক্ষেতের অধিকাংশ ক্ষেতের পাকা ও আধা পাকা ধান এখন কাঁদা মাটির সাথে লেপটে গেছে, নিচু এলাকার ধান রয়েছে পানিতে নিমজ্জিত। কৃষকরা রোপা আমনের ফলন অর্ধেকে নেমে আসার আশংকা করছেন।

কৃষকরা জানান, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের সেই স্বপ্ন কষ্টার্জিত ধান এখন কাঁদা পানিতে লেপ্টে আছে। আশানুরূপ ফলন থেকে এবার কৃষকরা বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বর্ষা অব্যাহত থাকলে ক্ষেতের ধান সঠিকভাবে কেটে ঘরে তোলা অসম্ভব বলে মনে করছে কৃষকরা।
এছাড়াও কিছু কিছু ফসলেরও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বেশি নিচু এলাকার পাকা ধান ঝড়ে পড়ছে মাটিতে এবং আধা পাকা ধান পচে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। ধান ক্ষেত সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ডুবে রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসাধরন অফিস জানিয়েছে, এ জেলায় ৫০ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে আমনের আবাদ করা হয়েছে। কয়েক দিনের বর্ষণে প্রায় ২৩শ’ ৭০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দ্রুত পানি না সরে গেলে এ ধান বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

কৃষকরা অভিযোগ করছে, কৃষি অফিসের লোকজন তাদের তেমন কোন পরামর্শও দিচ্ছেন না। বর্তমানে ধান তোলার আগ মূহুর্তে এমন বৃষ্টির ক্ষতি কিভাবে পোষাবে এ নিয়ে কৃষক হতাশায় পড়েছেন। কৃষক ধারনা করছে এবার ধানের চিটার পরিমান বেশি হবে। ধানের খড়কুটা পচে যাওয়ায় ও কর্দমাক্ত হওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিবে বলেও মনে করছে কৃষকরা। কৃষকরা লোকসান মুখে পড়বে বলেও ধারনা তাদের।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় এ জেলায় প্রায় ২৩শ’ ৭০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দ্রুত পানি সরে গেলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তবে পানি স্থায়ী হলে ধান ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এছাড়া কৃষকদের পাকা ধান কাটা এবং নিচু জমির পানি সরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।