হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশীয় বাজারে চালের দরে ঊর্ধ্বগতি। দর বৃদ্ধি পেতে পেতে সব ধরনের চালের দামই এখন ক্রেতাদের প্রায় নাগালের বাইরে। বছরের মাঝামাঝি সরকার দাম কমানোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও সেগুলো খুব বেশি কার্যকর হয়নি। সর্বশেষ চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে চালের। এর ফলে মোটা চালেরই (স্বর্ণা ও পারিজা) দাম কেজি প্রতি দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন এই চালের ভোক্তা নিম্ন আয়ের মানুষজন।
চালের দরের হঠাৎ উত্থান সম্পর্কে চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার একবার বাড়তির দিকে হলে দাম আর কমে না। সামনের দিনগুলোতে চালের দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই তারা মন্তব্য করেছেন।
গতকাল রাজধানীর বাবু বাজারের চালের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পাইকারি বাজারেই কেজিপ্রতি মিনিকেট চাল ৫৬-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫-৬৭ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৬-৪৯ টাকা এবং স্বর্ণা ও পারিজা ৪৯ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া মিনিকেটও বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৬২ টাকা। বিআর-২৮ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা । স্বর্ণা এবং পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২-৪৩ টাকা।
আমন ধানের চাল বাজারে এলে চালের দরের কিছুটা পতন হতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু অগ্রহায়ণ শেষ হতে চললেও বাজারে ছিটেফোঁটা আমনের চালই এসেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টি ও বন্যার কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ আমন চাষ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমন ধান বাজারে দাম কমতিতে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারবে না।
এছাড়া দেশীয় বাজারে চাহিদা অনুযায়ী চালের যোগানের শঙ্কট রয়েছে। তাই দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং