জাকির হোসাইনঃ কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ তাড়াইল) নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন প্রচারণা জমজমাট হয়ে উঠছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চূন্নু ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে আছেন । এই আসনে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক তেমন ভীত না থাকলেও আওয়ামী লীগের বদৌলতে পরপর তিনবার তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এই সীট ছাড় দিতে নারাজ। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রার্থী জোরে সোরে মাঠে নেমেছে।
অধ্যক্ষ আসাদুল হক বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি সভাপতি, সাবেক সদস্য সচিব শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড । অধ্যক্ষ আসাদুল হক ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের দুর্দিনে ছাত্র রাজনীতিতে তিনি গৌরবোজ্জল ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে তার বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের বাইরেও বাংলাদেশের সকল জেলার শিক্ষকসহ সুধীজনদের মধ্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হক ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, অধ্যক্ষ আসাদুল হক একজন ত্যাগী নেতা ও একজন শিক্ষাবিদ। আমরা আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে এমন ত্যাগী নেতার মনোনয়ন চাই।
কিশোরগঞ্জ (করিমগঞ্জ তাড়াইল) নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আসাদুল হক ছাত্র জীবন থেকেই তিলে তিলে নিজেকে একজন আদর্শ শিক্ষক নেতা হিসেবে গড়ে তোলেন। ছাত্র জীবন হতে পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হক ।
তিনি এদেশের অবহেলিত শিক্ষক সমাজের কল্যাণে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন । এলাকার জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাই, আগামী নির্বাচনে নতুন মুখ মনোনয়নে সৎ, নিষ্ঠা ও রাজপথের এই সৈনিক বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হককে দেখতে চাই।
কিশোরগঞ্জ (করিমগঞ্জ তাড়াইল) উপজেলার অতি প্রিয় আপনজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ভাটি থেকে মাটি এলাকার করিমগঞ্জ উপজেলার সন্তান অধ্যক্ষ আসাদুল হক । তার জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৫৩ইং মুড়িকান্দি গ্রামে, নিয়ামতপুর ইউনিয়নে, করিমগঞ্জ-উপজেলা, কিশোরগঞ্জ-জেলার, পিতা-মরহুম আঃ করিম ফকির, মাতা-মরহুম জয়তুন বানু এবং পিতামহ হযরত কলিম ফকির (রাঃ) একজন আল্লাহর মহান ওলী ছিলেন । যিনি সততা ত্যাগ বিসর্জন ও কঠোর আত্মতিক সাধনা গুনে মহান স্রষ্টার নৈক্ট্য লাভ করেন । অধ্যক্ষ শৈশব হতে অতান্ত তীক্ষ্ণ মেধা শক্তির অধিকারী ছিলেন । শিক্ষা জীবনে তিনি প্রতিটি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন এবং ঢাঃ বিঃ থেকে অর্জন করেন প্রাণী বিদ্যার এম. এসসি ডিগ্রী ।
লেখাপড়া শেষ করে তিনি শিক্ষাকতাকে পেশা হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন । দীর্ঘপথ পরিক্রমা পার হয়ে আজ বর্তমানে তিনি অধ্যক্ষ তেজগাঁও মহিলা কলেজ, তেজগাঁও ঢাকার দায়িত্বরত আছেন । আসাদুল হক যেমন একজন মানুষ তৈরী জ্ঞানের কারিগর তেমনি তিনি সর্বক্ষেত্রে একজন সফল সংগঠক । এছাড়া তিনি সাবেক সদস্য সচিব শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, সভাপতি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি, আহবায়ক, জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট, ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বঙ্গমাতা পরিষদ, নির্বাহী সদস্য, পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ, সদস্য শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন টেকনিক্যাল কমিটি, সদস্য অর্থ কমিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশন, সভাপতি বাংলাদেশ কলেজ কর্মচারী ইউনিয়ন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বে-সরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ।
এছাড়া সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ ও নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরে দিয়ে এসেছেন এই সাংস্কৃতি বান মানুষটি । মানব হিতৈষী ব্যক্তিটির যার আরো কিছু কর্মকাণ্ড দেওয়া হলো । সভাপতি ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ শিল্প গোষ্ঠী ঢাকা, কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ সমিতি ঢাকা । এছাড়াও তিনি উপস্থাপক হিসাবে একাধিকবার বিটিভি ও চ্যানেল আই-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় সহধর্মীনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবরের বিশাল কর্মময় জীবন ভিত্তিক আলোচক । তিনি যুদ্ধ পরাধীদের বিচার বিষয়ে জনমত সৃষ্টিতে আলোচনায় অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন ফোরামে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন ।
কর্মই যার ধর্ম তিনি কখন মানব ও সৃষ্টি কল্যাণের কর্ম বিমুখ হতে পারে না । সর্বদা দেশ ও মানুষের কল্যাণে তার নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন । এতে একজন মানুষের সফলতার মূল কারণ কোন ক্ষেত্রে মেধা ও কর্মের সফলতা আসে না । তার ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা স্নতানের জনক, দুই মেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা এবং অধ্যক্ষের স্ত্রী সিরাজুন নাহার ও একজন ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। পারিবারিক জীবনে অত্যন্ত সুখী এবং স্বচ্ছল পরিবার । রাজনৈতিক পরিচয় অধ্যক্ষ আসাদুল হক ছাত্র জীবন হতে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন । ১৯৬৮ সালে কিশোরগঞ্জ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ডেপুটি লিডার মনোনীত হন ।
১৯৮৮ইং সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অংশ গ্রহণ করেন করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলাতে । নির্বাচনের একদিন আগে আসাদুল হককে গ্রেফতার করে ছিলেন তৎকালীন এরশাদ সরকার । পরবর্তী ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অংশ গ্রহণ করেন । পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ ও শিক্ষক সংগঠনের ব্যাপারে জোট সরকারের আমলে আন্দোলন সংঘটিত করেন আসাদুল হক প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন । তিনি দশকে নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে মেয়েদের শিক্ষার যুগ-উপযোগী ও ধর্মীয় ধারায় আধুনিক শিক্ষা প্রসারের তিনি প্রতিষ্ঠা করেন, দেওপুর আসাদুল হক বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, সাগুলী শহীদি গোরস্থান মাদ্রাসা সংস্কার উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা ।
সংস্কার ও উন্নয়ন করেন । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এলাকার প্রায় সকল স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা অবকাঠামো উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন । বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা আর্থিক নিজস্ব উদ্যেগই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন । নিজস্ব অর্থায়নে হযরত কলিম ফকির সাহেবের মাজার কমপ্লেক্স এর ব্যাপক সংস্কার একটি মকতব প্রতিষ্ঠা করেন । মাজার শরীফে একটি মসজিদ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে , নিজস্ব অর্থয়ানে এলাকায় একটি কারিগরি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠান এখনও প্রক্রিয়াধীন ।
কিশোরগঞ্জ জেলা চামড়া বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে এই মানব হিতৈষী মহৎ হৃদয়ের অধিকারী মানুষটির ।