হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে শস্য বহুমুখীকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা গ্রামীণ জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে পুষ্টির জন্য কৃষি নির্ভরতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মশালায় বলা হয়, ২০১১-১২ সালে মোট শস্য উৎপাদনে ধানের উৎপাদন হতো ৭৬.৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে ধান উৎপাদনের পরিমাণ কিছুটা কমে হয় ৭৩.১ শতাংশ। ধানের চেয়ে অন্যান্য শস্যচাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইএফপিআরআই’র গবেষক সালাউদ্দিন তাউসীফ একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এতে বলা হয়, এ সময়ে দেশে গমের চাষ ১.৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২.২ হয়েছে। ভুট্টা চাষ ০.৮ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ শতাংশ হয়েছে। মসুর ডাল চাষ বৃদ্ধি পেয়ে ২ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২.৩ শতাংশ হয়েছে। তৈলবীজ চাষ বৃদ্ধি পেয়ে ২.৩ থেকে ৩.৯ শতাংশ হয়েছে। আলুচাষ ১.৭ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৮ শতাংশ হয়েছে। শাকসবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৮ থেকে ৩.৯ শতাংশ হয়েছে এবং কলাচাষ বৃদ্ধি পেয়ে ০.৪ শতাংশ থেকে ০.৬ শতাংশ হয়েছে।
ব্র্যাকের গবেষণা ও এভাল্যুয়েশন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল বায়েস অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, একই সময়ে ব্যক্তি পর্যায়ে পুষ্টিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব কায়কোবাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃঞ্চ হাজরা।
প্রধান অতিথি কায়কোবাদ হোসেন বলেন, সরকার পুষ্টি বাড়াতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে জনগণকে পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হবে।