জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব জামান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফাইলে স্বাক্ষর হয়। এ ব্যাপারে এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পররাষ্ট্র দফতরে দুইজন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকবেন।এদের একজন পররাষ্ট্র সচিব।
এছাড়া ১১ জন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা বিভিন্ন মিশনে রাষ্ট্রদূত হিসাবে কর্মরত থাকবেন।
১৯৮২ সালের বিসিএস কর্মকর্তা প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব এম মিজারুল কায়েস বর্তমানে ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আছেন। একই ব্যাচের ইসমাত জাহান ব্রাসেলসের রাষ্ট্রদূত।
১৯৮২ সালের আরেক কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। একই ব্যাচের কর্মকর্তা শামিম আহসান জেনেভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। ফজলুল করিম চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত আছেন এবং মোহাম্মাদ আব্দুল হান্নান রয়েছেন ইংল্যান্ডে।
ইমতিয়াজ আহমেদকে পর্তুগাল এবং মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনকে ইটালির রাষ্ট্রদূত করা হয়েছে। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নানও একজন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা মাজেদা রফিকুন্নেসা বর্তমানে যুগ্ন-সচিব পদে মন্ত্রণালয়ে আফ্রিকা অণুবিভাগে কর্মরত আছেন।
তিনি ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার পদোন্নতি স্থগিত করে রাখা হয়।
এছাড়া ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা শামসুল হক, যিনি বিসিএস পরিক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন, তারও বিভিন্ন অভিযোগে পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি ব্যাচে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বিসিএস পরিক্ষায় মেধা তালিকা অনুযায়ী হয়ে থাকে।