ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুখ ভরা হাসি নিয়ে জমির সোনালী ফসল কাটছেন কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৯০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে থাকা সোনালি ফসল কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এবার বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষবাসের। তবে বন্যার কারণে পলি ভেসে উঠায় জমির উর্বরা শক্তি বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনও হয়েছে। বাম্পার ফলন ও বর্তমানে বাজারে উৎপাদন খরচের চেয়ে দাম দ্বিগুণ থাকায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। মুখ ভরা হাসি নিয়ে জমির সোনালী ফসল কাটছেন তারা।

চলতি মৌসুমে আমন চাষের প্রথম ধাপে দেশের উত্তরাঞ্চলে হানা দেয় ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সদ্য রোপন করা আমনের চারা।

বন্যায় বিশেষ করে দিনাজপুরের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এমনিতেই গত বোরো মৌসুমে ফলন খারাপ ও ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের। তার মধ্যে এই বন্যা যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা হয়ে দাঁড়ায়।

Related image

তবে বন্যার কারণে পলি ভেসে ওঠায় জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা বন্যার পর অন্যান্য ফসল চাষ না করে আমন চাষে ঝোকে। চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এজন্য ১ লাখ ৩৭ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসের প্রথম দিকের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় কৃষকেরা। নষ্ট হয়ে যায় ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। বন্যা শেষে নতুন করে ধানের বীজতলা তৈরি করে শুরু হয় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ।

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা এলাকার কৃষক হাওর বার্তাকে জানান, পিতার রেখে যাওয়া ৭ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেই চলে তার সংসার। প্রতি বছর ৪ বিঘা জমিতে ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুখ ভরা হাসি নিয়ে জমির সোনালী ফসল কাটছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে থাকা সোনালি ফসল কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এবার বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষবাসের। তবে বন্যার কারণে পলি ভেসে উঠায় জমির উর্বরা শক্তি বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনও হয়েছে। বাম্পার ফলন ও বর্তমানে বাজারে উৎপাদন খরচের চেয়ে দাম দ্বিগুণ থাকায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। মুখ ভরা হাসি নিয়ে জমির সোনালী ফসল কাটছেন তারা।

চলতি মৌসুমে আমন চাষের প্রথম ধাপে দেশের উত্তরাঞ্চলে হানা দেয় ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সদ্য রোপন করা আমনের চারা।

বন্যায় বিশেষ করে দিনাজপুরের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এমনিতেই গত বোরো মৌসুমে ফলন খারাপ ও ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের। তার মধ্যে এই বন্যা যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা হয়ে দাঁড়ায়।

Related image

তবে বন্যার কারণে পলি ভেসে ওঠায় জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা বন্যার পর অন্যান্য ফসল চাষ না করে আমন চাষে ঝোকে। চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এজন্য ১ লাখ ৩৭ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসের প্রথম দিকের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় কৃষকেরা। নষ্ট হয়ে যায় ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। বন্যা শেষে নতুন করে ধানের বীজতলা তৈরি করে শুরু হয় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ।

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা এলাকার কৃষক হাওর বার্তাকে জানান, পিতার রেখে যাওয়া ৭ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেই চলে তার সংসার। প্রতি বছর ৪ বিঘা জমিতে ।