ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারক হতে চায় বাংলাদেশ : জয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ২৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শুধু শ্রমিক নয় বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারক দেশ হতে চায় বাংলাদেশ। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-এর দ্বিতীয় দিন সকালে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মেচন করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব প্রযুক্তিতে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করছে।

২০২৫ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ গাড়ি হবে চালকবিহীন। প্রযুক্তির এই সুফল বাংলাদেশও পেতে চায়। এই কনফারেন্সে কি-নোট উপস্থাপন করেন তিনি। এই মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে ৫ দেশের মন্ত্রীসহ ৭ দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রগতির তথ্যচিত্র তুলে ধরেন। সম্মেলনে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডায়োডোনি কালোম্বো কোলি বাডিবাং, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি, ফিলিপাইনের আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক নেস্টর এস বোঙ্গাটা সৌদি আরবের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও মন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাহাদ আলীআরাল্লাহ অংশ নেন।

কি-নোট উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এজন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। ফলে, অর্থনীতির বিকাশ ও শিল্পায়নও দ্রুত ঘটছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই ন্যানোম্যাটেরিয়ালের বাণিজ্যিক ব্যবহার দেখা যাবে। এসব ন্যানোম্যাটেরিয়াল স্টিলের চেয়েও ২০০ গুণ শক্ত কিন্তু চুলের চেয়েও পাতলা। থ্রিডি প্রিন্টেড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে। ১০ শতাংশের বেশি গাড়ি হবে চালকহীন। সরকার, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জীবনেও এর প্রভাব দেখা যাবে। আগামীর বাংলাদেশ পৃথিবীর এসব উন্নত প্রযুক্তিগুলোকে গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে, বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই আপনারা দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মোবাইল সুপারকম্পিউটিং, চালকহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট, নিউরো প্রযুক্তির ব্রেন, জেনেটিক এডিটিং দেখতে পাবে। প্রযুক্তির এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য আমাদেরকে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারক হতে চায় বাংলাদেশ : জয়

আপডেট টাইম : ০৪:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, শুধু শ্রমিক নয় বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারক দেশ হতে চায় বাংলাদেশ। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-এর দ্বিতীয় দিন সকালে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মেচন করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্ব প্রযুক্তিতে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করছে।

২০২৫ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ গাড়ি হবে চালকবিহীন। প্রযুক্তির এই সুফল বাংলাদেশও পেতে চায়। এই কনফারেন্সে কি-নোট উপস্থাপন করেন তিনি। এই মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে ৫ দেশের মন্ত্রীসহ ৭ দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রগতির তথ্যচিত্র তুলে ধরেন। সম্মেলনে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডায়োডোনি কালোম্বো কোলি বাডিবাং, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি, ফিলিপাইনের আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক নেস্টর এস বোঙ্গাটা সৌদি আরবের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও মন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাহাদ আলীআরাল্লাহ অংশ নেন।

কি-নোট উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এজন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। ফলে, অর্থনীতির বিকাশ ও শিল্পায়নও দ্রুত ঘটছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই ন্যানোম্যাটেরিয়ালের বাণিজ্যিক ব্যবহার দেখা যাবে। এসব ন্যানোম্যাটেরিয়াল স্টিলের চেয়েও ২০০ গুণ শক্ত কিন্তু চুলের চেয়েও পাতলা। থ্রিডি প্রিন্টেড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে। ১০ শতাংশের বেশি গাড়ি হবে চালকহীন। সরকার, ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জীবনেও এর প্রভাব দেখা যাবে। আগামীর বাংলাদেশ পৃথিবীর এসব উন্নত প্রযুক্তিগুলোকে গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে, বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই আপনারা দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মোবাইল সুপারকম্পিউটিং, চালকহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট, নিউরো প্রযুক্তির ব্রেন, জেনেটিক এডিটিং দেখতে পাবে। প্রযুক্তির এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য আমাদেরকে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।