ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ির ছাদে ফুল ফলের বাগান গড়ে তোলেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ২০৪৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বাড়ির ছাদে তিলে তিলে সবুজের সমারোহ ঘটিয়েছেন গৃহবধূ ফারহানা ইয়াসমিন। যা শুধু দৃষ্টি নন্দনই নয়; এলাকার মানুষের কাছেও মডেল। বাড়ির ছাদে ফুল বাগান গড়ে তিনি নিজ এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন।

ডালিম, বেদানা, কমলা, মাল্টা, থাই পেয়ারা, কৎবেল ঝুলছে ডালে ডালে। আছে বাতাবি লেবু, কাগজীলেবু, নেওয়া ফল, চেরি ফল। সৌরভ ছড়াচ্ছে গোলাপ, টগর, বকুল ফুল। ৯৫০ বর্গফুটের ছাদে এরকম ২৪০টি ফুল-ফলের গাছের সমাহার দেখলে যে কারও মন জুড়িয়ে যাবে। শুধু কি তাই-ছাদের এই বাগানটার অলি-গলি চেনাতে রেখেছেন শাপলা চত্ত্বর, সবজি চত্ত্বর, রোজ গার্ডেন, মেঠোপথ, সবুজ বনসহ নানা ধরনের নাম। ছাদের উপরে সারিবদ্ধভাবে টব। আর সেখানে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফল, ফুল, সবজি আর ঔষধিগাছ।

২৪০টি টবের ওপর রয়েছে বিলুপ্ত গাছ নেওয়া, থাই কালো জাম, ডালিম, বেদানা, কমলা, মাল্টা, থাই পেয়ারা, চেরি, কাগজীলেবু, জবা, গোলাপ, বকুল ফুল, শাপল। আছে বারো মাসি আমড়া, বেগুন, ঝালসহ নানা সবজি। এছাড়া পুদিনাপাতা, আদা, অ্যালোভেরা, মেহেদির মত ঔষধি গাছ শোভা পাচ্ছে ছাদে।

প্রথমে শখের বশে ২০১২ সালে একটা দুইটা করে ফুল-ফলের চারা এনে টবে করে ছাদের ওপর লাগানো শুরু করি। এখন ২৪০টি টবে রয়েছে ফুল, ফল, সবজি ও ঔষধি গাছ। দুই সন্তানের জননী নিজের নামেই ফ্রুটস এন্ড ফ্লাওয়ার গার্ডেন’ নাম দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন বাগান পরিচর্যা করতে তার প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা কাজ করতে হয়। সকালে তিন ঘন্টা এবং বিকালে দেড়-দুই ঘন্টা কাজ করি। এজন্য তার দুই মেয়ে ও স্বামী আকরাম হোসেন সহযোগিতা করেন।

তিনি জানান, ছাদবাগানে উৎপন্ন সবজি ও ফল বিষমুক্ত। নিজেরা খাই, প্রতিবেশীদেরও সামর্থ অনুযায়ী দিই। তাছাড়া কিছু বিক্রিও করি। এ থেকে মাসে ৩ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, জৈব সার ছাড়া বাগানে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। তবে রোগ বালাই দেখা দিলে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, বাড়ির ছাদের বাগান একটি মডেল। আমিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেটা কয়েকবার দেখতে গিয়েছি। অত্যন্ত পরিপাটি। টবে করে গাছ লাগানোয় ওই ছাদে পানি পড়ে না। তাই ছাদটি ছ্যাতছ্যাঁতেমুক্ত। আমাদের কাছে কোন প্রয়োজন হলে তিনি যোগাযোগ করেন। আমরা তার মতো নারী কৃষি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করে থাকি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাড়ির ছাদে ফুল ফলের বাগান গড়ে তোলেন

আপডেট টাইম : ০১:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বাড়ির ছাদে তিলে তিলে সবুজের সমারোহ ঘটিয়েছেন গৃহবধূ ফারহানা ইয়াসমিন। যা শুধু দৃষ্টি নন্দনই নয়; এলাকার মানুষের কাছেও মডেল। বাড়ির ছাদে ফুল বাগান গড়ে তিনি নিজ এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন।

ডালিম, বেদানা, কমলা, মাল্টা, থাই পেয়ারা, কৎবেল ঝুলছে ডালে ডালে। আছে বাতাবি লেবু, কাগজীলেবু, নেওয়া ফল, চেরি ফল। সৌরভ ছড়াচ্ছে গোলাপ, টগর, বকুল ফুল। ৯৫০ বর্গফুটের ছাদে এরকম ২৪০টি ফুল-ফলের গাছের সমাহার দেখলে যে কারও মন জুড়িয়ে যাবে। শুধু কি তাই-ছাদের এই বাগানটার অলি-গলি চেনাতে রেখেছেন শাপলা চত্ত্বর, সবজি চত্ত্বর, রোজ গার্ডেন, মেঠোপথ, সবুজ বনসহ নানা ধরনের নাম। ছাদের উপরে সারিবদ্ধভাবে টব। আর সেখানে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফল, ফুল, সবজি আর ঔষধিগাছ।

২৪০টি টবের ওপর রয়েছে বিলুপ্ত গাছ নেওয়া, থাই কালো জাম, ডালিম, বেদানা, কমলা, মাল্টা, থাই পেয়ারা, চেরি, কাগজীলেবু, জবা, গোলাপ, বকুল ফুল, শাপল। আছে বারো মাসি আমড়া, বেগুন, ঝালসহ নানা সবজি। এছাড়া পুদিনাপাতা, আদা, অ্যালোভেরা, মেহেদির মত ঔষধি গাছ শোভা পাচ্ছে ছাদে।

প্রথমে শখের বশে ২০১২ সালে একটা দুইটা করে ফুল-ফলের চারা এনে টবে করে ছাদের ওপর লাগানো শুরু করি। এখন ২৪০টি টবে রয়েছে ফুল, ফল, সবজি ও ঔষধি গাছ। দুই সন্তানের জননী নিজের নামেই ফ্রুটস এন্ড ফ্লাওয়ার গার্ডেন’ নাম দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন বাগান পরিচর্যা করতে তার প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা কাজ করতে হয়। সকালে তিন ঘন্টা এবং বিকালে দেড়-দুই ঘন্টা কাজ করি। এজন্য তার দুই মেয়ে ও স্বামী আকরাম হোসেন সহযোগিতা করেন।

তিনি জানান, ছাদবাগানে উৎপন্ন সবজি ও ফল বিষমুক্ত। নিজেরা খাই, প্রতিবেশীদেরও সামর্থ অনুযায়ী দিই। তাছাড়া কিছু বিক্রিও করি। এ থেকে মাসে ৩ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, জৈব সার ছাড়া বাগানে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। তবে রোগ বালাই দেখা দিলে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, বাড়ির ছাদের বাগান একটি মডেল। আমিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেটা কয়েকবার দেখতে গিয়েছি। অত্যন্ত পরিপাটি। টবে করে গাছ লাগানোয় ওই ছাদে পানি পড়ে না। তাই ছাদটি ছ্যাতছ্যাঁতেমুক্ত। আমাদের কাছে কোন প্রয়োজন হলে তিনি যোগাযোগ করেন। আমরা তার মতো নারী কৃষি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করে থাকি।