প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাঁর সরকার কাউকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বক্তব্য দেয়া মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, জনগণ যার যার ধর্ম পালন করবে। কেউ যদি তার ধর্ম পালন করতে না চায় সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অধিকার তার নেই। তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বক্তব্য দেয়া সহ্য করা হবে না এবং এর থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নিজ ধর্মের পাশাপাশি অন্যের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। এটাই বাস্তবতা এবং আমরা বাংলাদেশে তাই চাই।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেব নাথ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি রমেশ ঘোষ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক এবং জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি দেবাশীষ পালিতও বক্তৃতা করেন।
মঞ্চে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী দুর্বেশানন্দ এবং চট্টগ্রামের স্বামী সুধর্ষানন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ ও ২১ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।
সংবাদ শিরোনাম
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বক্তব্য দেয়া সহ্য করা হবে না
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১০:০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
- ৩০০ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ