হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পুরোপুরি পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। দূত সম্মেলনের সমাপনী দিনে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে কূটনীতিকদের উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন, আপনাদের কর্ম ও চিন্তায় এ দেশের জনগণের কল্যাণকেই অগ্রাধিকার দেবেন।
বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এ স্বাধীনতাকে আরো অর্থবহ করতে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন। ’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বহির্বিশ্বে আপনারা দেশ, সরকার ও জনগণের প্রতিনিধি। বিদেশে প্রতিটি চ্যান্সারি এক-একটি বাংলাদেশ। বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে তাই আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’ তিনি বলেন, কূটনীতিকরা হবেন দেশ ও জনগণের আদর্শ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “‘শান্তি ও জনগণের জন্য কূটনীতি’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আপনাদের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনে আমাদের জাতীয় স্বার্থ, পররাষ্ট্রনীতির চ্যালেঞ্জ, ভিশন-২০২১, এসডিজি বাস্তবায়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ব্লু ইকোনমিক ও যোগাযোগ, শ্রম ও অভিবাসন, রোহিঙ্গা সমস্যা, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া, প্রটোকল ও কনস্যুলার সেবা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এগুলোর বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ আপনাদের দায়িত্ব পালনকে সহজ করে তুলবে বলে আমি মনে করি। আবদুল হামিদ বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাদের প্রেরিত অর্থ আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহকে সচল রেখেছে। এ রিজার্ভ আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। ’ যেসব প্রবাসী বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাঁদের পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশিরাও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অনাবাসীরা তাঁদের অর্জিত অর্থের পুরোটাই দেশে পাঠিয়ে দেন। তাই তাঁরা যেন বিদেশে হয়রানির শিকার না হন বা ন্যায্য অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শ্রমবাজার সম্প্রসারণসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিতে উদ্যোগী হতে হবে। সূত্র : বাসস।