ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক চাপ চুক্তির পর ও ধরে রাখা মুশকিল হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এনভয় কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিন গতকাল মধ্যাহ্নে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে এ ব্রিফিং হয়। শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সই হওয়া অ্যারেঞ্জমেন্টের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পরে উন্মুক্ত সেশনে তিনি দূতদের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেন। সেখানে অনেক রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যে আলোচনা ও চুক্তি সই হয়েছে তাতে আরও সময় নেয়া দরকার ছিল। চুক্তির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ ধরে রাখা মুশকিল হবে! দ্বিপক্ষীয়ভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তিতে উপনীত হয়েছে মানে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে এমন একটি ধারণা এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে নতুন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কি বলবে বাংলাদেশ? সেই প্রশ্নও আসে।

জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে অতীতে বহু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ফল এসেছে সামান্যই। এবার সূ’চি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বড় অর্জন হচ্ছে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চুক্তি সইয়ে সম্মত হয়েছে। সেটি আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই হোক আর দ্বিপক্ষীয় আলোচনায়ই হোক।

মিয়ানমার চুক্তিতে উপনীত হয়েছে এটিই এখন বাস্তবতা। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি মিয়ানমার তার অঙ্গীকার মত পদেক্ষেপ নেয়, চুক্তি বাস্তবায়ন করে তাহলে অবশ্যই আমরা তা স্বাগত জানাবো। সেটি দুনিয়া দেখবে। যদি তারা চুক্তি না মানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

মন্ত্রী বলেন, আপনারা ঢাকা থেকে ফিরে গিয়ে নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশে এই বার্তাই দেবেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা বোঝা লাঘব করতে চাই। আমরা এ বোঝা টানতে পারছি না। এ জন্য আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে কাজ করছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা (দেশগুলো) আমাদের পাশে থাকুন। মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখুন।’ এমজমিন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আন্তর্জাতিক চাপ চুক্তির পর ও ধরে রাখা মুশকিল হবে

আপডেট টাইম : ১১:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এনভয় কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিন গতকাল মধ্যাহ্নে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে এ ব্রিফিং হয়। শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সই হওয়া অ্যারেঞ্জমেন্টের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পরে উন্মুক্ত সেশনে তিনি দূতদের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেন। সেখানে অনেক রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যে আলোচনা ও চুক্তি সই হয়েছে তাতে আরও সময় নেয়া দরকার ছিল। চুক্তির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ ধরে রাখা মুশকিল হবে! দ্বিপক্ষীয়ভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তিতে উপনীত হয়েছে মানে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে এমন একটি ধারণা এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে নতুন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কি বলবে বাংলাদেশ? সেই প্রশ্নও আসে।

জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে অতীতে বহু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ফল এসেছে সামান্যই। এবার সূ’চি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বড় অর্জন হচ্ছে তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চুক্তি সইয়ে সম্মত হয়েছে। সেটি আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই হোক আর দ্বিপক্ষীয় আলোচনায়ই হোক।

মিয়ানমার চুক্তিতে উপনীত হয়েছে এটিই এখন বাস্তবতা। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি মিয়ানমার তার অঙ্গীকার মত পদেক্ষেপ নেয়, চুক্তি বাস্তবায়ন করে তাহলে অবশ্যই আমরা তা স্বাগত জানাবো। সেটি দুনিয়া দেখবে। যদি তারা চুক্তি না মানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

মন্ত্রী বলেন, আপনারা ঢাকা থেকে ফিরে গিয়ে নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশে এই বার্তাই দেবেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা বোঝা লাঘব করতে চাই। আমরা এ বোঝা টানতে পারছি না। এ জন্য আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে কাজ করছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা (দেশগুলো) আমাদের পাশে থাকুন। মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখুন।’ এমজমিন