জাকির হোসাইনঃ মানব কল্যাণ ও উন্নয়নের পথ ধরে ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ১৯৫০ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত  অরাজনৈতিক সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান । ঢাকা প্রবাসী বিভিন্ন পেশাজীবি ও রাজনীতি সমাজসেবা ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সমিতি শুরু থেকে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো ও উন্নয়নের কর্মকান্ডের সাথে সহযোগিতা করে আসছেন । মেধাবী ও গরীব ছাত্রদের বৃক্তিসহ বিভিন্ন ভাবে সাহায্য দ্বারা এবং বিভিন্ন সভা সেমিনার রাজনৈতিক ও দানশীল ব্যক্তিত্বদের সমম্বয়ে দেশ ও দুঃস্থদের বিভিন্ন সময়ে সরকার বেসরকারী মাদ্রাসায় অর্থ বিতরণ ও প্রবাসীদের মিলনমেলা হিসাবে ভূমিকাও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এবং সরকারী পোষনে বিদেশে নির্মাণে স্বাক্ষর রেখেছেন । দুঃস্থ অসহায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ।  নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ঘোষিত  ঢাকাস্থ “কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি” কার্যনির্বাহী কমিটি এই ঐতিহ্যবাহী জেলা কিশোরগঞ্জ সমিতির বর্তমানে সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইউসুফ (সাবেক প্রধান প্রকৌশলী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রালয়) এবং মহাসচিব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (পিপিএম) বাংলাদেশ সরকারের একজন বিসিএস পুলিশ অফিসার । সর্ব সম্মতিক্রমে সভাপতি ও মহাসচিব পদে নির্বাচিত হন । কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির বর্তমানে সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইউসুফ ছাত্র জীবন হতে একজন মেধাবী ও সুসংগঠক ছিলেন । বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সাথে সাথে কিশোরগঞ্জ নিজ এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন । তিনি হাওর এলাকা তথা কিশোরগঞ্জ জেলার দুঃস্থ অসহায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য প্রচাষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । তিনি সামাজিক অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বদাই সক্রিয় ভাবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন যাতে কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের অন্যতম আধুনিক ডিজিটাল জেলায় পরিণত হয় । অন্যদিকে সর্ব সম্মতিক্রমে নির্বাচিত মহাসচিব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (পি. পি. এম.) একজন বিসিএস ক্যাডার পুলিশ অফিসার । বর্তমানে  গাজীপুরের এসপি  । ছাত্র জীবন হতে তিনি অত্যান্ত মেধাবী ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন । মিঠামইন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার কৃতিত্বের সাথে সমাপনী করার পর তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মময় জীবন শুরু করেন । তাঁর মেধা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কর্ম জীবনে এক সফল, সৎ, নির্ভীক, দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসার হিসাবে কৃতিত্ব রয়েছে তার । বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশ বাহিনী তার কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ (পিপিএম) পুলিশ প্রেসিডেন্ট মডেল তাকে প্রদান করে সরকার তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন । এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির মধ্যে রয়েছে সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন উর্ধ্বতম কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পেশাজীবি দক্ষ সংগঠক ছাড়াও রয়েছে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবসায়িক সংগঠক । যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে এক একজন সফল স্বার্থক ব্যক্তিত্ব, এদের মধ্যে অনেকই জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত রয়েছেন । কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির সর্বাঙ্গীন ক্ষেত্রে স্বক্রিয় ভাবে উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রেখে প্রধান মন্ত্রীর জননেত্রীর শেখ হাসিনার “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবে সমিতির প্রত্যেকটি নেতৃবৃন্দের প্রতি । উন্নয়নের লক্ষে ডিজিটাল বাংলাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবে কিশোরগঞ্জবাসী সেই প্রত্যাশা ও শুভ কামনা রইল কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির প্রতি এবং হাওর বাসীর প্রতি ।