ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আনার দাবি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৪৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ঠাকুরপাড়ায় সহিংস ঘটনায় জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও মহলকে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ কমিশনের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনার তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি (বেলা)। নিজেরা করি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এ সময় বক্তারা বলেন, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলার চলমান ধারাবাহিকতার সর্বশেষ নজির রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া। অতীতের মতো এখনও হিন্দু সম্প্রদায়ের তথাকথিত এক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম অবমাননা করেছে এ অজুহাতে ঠাকুরপাড়ার গ্রামের প্রায় ১৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণ তথ্য তুলে তারা বলেন, রংপুর শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলার ঠাকুরপাড়ার অধিবাসী টিটু রায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কথিত স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এ সহিংস ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনসহ রংপুরের পুলিশ সুপারকেও বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কোনো গুরুত্বই দেয়নি।

৩/৪ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে এ সহিংসতা ঘটানো হলেও পুলিশ বা প্রশাসন কেন আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কথা বলে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে পাবনার সাঁথিয়া, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামু সব ক্ষেত্রেই একই ধরণের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবির, বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজিওয়ানা হাসান, এএলআরডি শামসুল হুদা, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আনার দাবি

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ঠাকুরপাড়ায় সহিংস ঘটনায় জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও মহলকে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ কমিশনের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনার তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি (বেলা)। নিজেরা করি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এ সময় বক্তারা বলেন, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলার চলমান ধারাবাহিকতার সর্বশেষ নজির রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া। অতীতের মতো এখনও হিন্দু সম্প্রদায়ের তথাকথিত এক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম অবমাননা করেছে এ অজুহাতে ঠাকুরপাড়ার গ্রামের প্রায় ১৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণ তথ্য তুলে তারা বলেন, রংপুর শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলার ঠাকুরপাড়ার অধিবাসী টিটু রায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কথিত স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এ সহিংস ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনসহ রংপুরের পুলিশ সুপারকেও বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কোনো গুরুত্বই দেয়নি।

৩/৪ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে এ সহিংসতা ঘটানো হলেও পুলিশ বা প্রশাসন কেন আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কথা বলে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে পাবনার সাঁথিয়া, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামু সব ক্ষেত্রেই একই ধরণের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবির, বেলার প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজিওয়ানা হাসান, এএলআরডি শামসুল হুদা, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।