ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় দুই দল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তাঁত শিল্প আর গো-খামার সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসন। এ আসনে রয়েছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের তেল ডিপো, বাঘাবাড়ী মিল্ক ভিটা, প্রস্তাবিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ উপভোগ্য নানা স্থাপনা। সঙ্গত কারণেই আসনটি সব রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে গণসংযোগ, পোস্টার, বিলবোর্ড ও সামাজিক ও ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে পরিচিত করতে ব্যস্ত রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য নানা কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময়ের বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত শাহজাদপুরে এবারো হ্যাটট্রিক বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইবেন। এরই মধ্যে আবার অনেকে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশার কথাও ব্যক্ত করেছেন লোক সমাজে। বিগত দিনের ভুলগুলো শুধরিয়ে এবার যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়নের মাধ্যমে নিজেদের হারানো দুর্গ উদ্ধার করতে মরিয়া তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা।
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আসনটি আওয়ামী লীগের হাতে চলে আসে। আর তাই ক্ষমতাসীনদের ধারণা টানা দুই বারের জয় ও সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখে আগামীতেও জয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন তারা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাচারী বাড়ি ও কবির স্মৃতি বিজড়িত এ আসনটি ১৩ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও তা প্রকাশ্য রূপ পায়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ দাবি করে জানান, বর্তমান এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন এবং সাবেক এমপি চয়ন ইসলামকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে রয়েছে কোন্দল। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরুকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করতে দলের একটি অংশ তৎপর। বর্তমানে হালিমুল হক মীরু সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। প্রচার রয়েছে তিনি জামিনে মুক্ত হলে স্থানীয় ভোটের রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবেন এমন আশঙ্কায় দলের একটি নেতৃত্ব নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন যেন তিনি জামিন না পান। বিষয়টি এলাকায় নানাভাবে আলোচিত হলেও প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। তবে চয়ন ও স্বপন দু’জনই পৃথক পৃথকভাবে সভা সমাবেশ করছেন। উভয়েই নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। বর্তমান এমপি স্বপন ক্ষমতায় থাকায় অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা না করলেও গোপনে চয়ন ও ব্যক্তি পছন্দের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষে কাজ করছেন বলে একাধিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জানান।

এ অঞ্চলে বিএনপির রাজনীতিতে চলমান কোন্দল না থাকলেও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে প্রবীণদের সঙ্গে নবীনরাও রয়েছেন মাঠে।

তবে শাহজাদপুর বিএনপির অনেক নেতাই জানান, বর্তমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাইরেও আগামীতে নতুন মনোনয়নের ক্ষেত্রে নতুন মুখের দেখা মিলতে পারে। তবে প্রার্থী যেই হোক মূল লড়াইটা হবে ধানের শীষ ও নৌকার মধ্যে। তাই সময় যত ঘনিয়ে আসবে ততই সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। শেষ মুহূর্তে কে মনোনয়ন পাবেন তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ: দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিবুর রহমান স্বপন এগিয়ে বলে দলের অনেকে মনে করেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচার রয়েছে বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার শক্ত নেতৃত্বের কারণে শাহজাদপুরে বিএনপিসহ ৪ দলীয় জোটের আন্দোলন ও নাশকতা তেমন কিছুই করতে পারেনি। তা ছাড়া তার একচ্ছত্র নেতৃত্ব থাকার কারণে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি অনেকটাই তার মতামতের ওপর গঠন করেছেন। তবে এ বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তবে ব্যক্তি স্বপনের ভোট ব্যাংকসহ রয়েছে অনুগত বেশ কিছু নেতাকর্মী। যে কারণে এ আসনে বিরোধী দলও কিছুটা নমনীয়। তবে নির্বাচন আসলে তার এ অবস্থান কতটুকু স্থায়ী থাকবে এ বিষয়টি নিয়েও রয়েছে আলোচনা সমালোচনা।

বর্তমান এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন জানান, বিভিন্ন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দলে নেতৃত্ব বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক অবস্থার পরিবর্তন করেছি। এলাকার উন্নয়নে সাধারণ মানুষ ও নদী ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে কাজ করে আসছি। দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভালোবাসায় দল থেকে মনোনিত হলে আবারো নৌকার জয় হবে বলে তিনি জানান।

অপরদিকে সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামও মনোনয়নের ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে এ আসনে তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমন আশাবাদ চয়ন ইসলাম সমর্থকদের। তাদের দাবি শাহজাদপুরের উন্নয়নে অতীতে চয়ন ইসলামের ভূমিকা পরীক্ষিত, শাহজাদপুরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার বিকল্প নেই। তবে শেষ পর্যন্ত সহজে ছেড়ে কথা বলবেন না চয়ন ইসলাম। মনোনয়নের লড়াইয়ে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে চয়ন ইসলাম তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথকভাবে গণসংযোগ ও প্রচারণা পাশাপাশি বন্যায় ত্রাণ বিতরণসহ নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

চয়ন ইসলাম জানান, দলে যেন নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি না হয় সে কারণেই উপজেলা আওয়ামী রাজনীতি থেকে নিজেকে কিছুটা দুরে সরিয়ে রেখেছিলাম। সাধারণ তৃণমূলের কর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে এসেছি, আগামীতেও করব। তৃণমূলের কর্মীদের মূল্যায়ন করে দলকে শক্তিশালী করে চলেছি।

তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আমার পৃথকভাবে নানা কার্যক্রম অপছন্দ করেন। দলের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আমি তাদেরকেও আহ্বান জানিয়েছি একযোগে কাজ করে নৌকার ভোট বৃদ্ধি করতে। আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেলে বিজয়ের ব্যাপারেও শতভাগ আশাবাদী।

এ ছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান আইন সচিবের ছোট ভাই নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল সিরাজগঞ্জ জজকোর্টের পিপি শেখ আবদুল হামিদ লাভলু। এলাকায় তার বাড়তি প্রভাব ও ব্যাক্তি ইমেজ রয়েছে। দলে রব আছে আইন পেশায় নিযুক্ত লাভলুর নিজস্ব ও পারিবারিকভাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডে শক্ত লবিং রয়েছে।

বিএনপি: সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম.এ. মতিনের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ভূমিকা এখনো শাহজাদপুর তথা সিরাজগঞ্জবাসীর কাছে স্মরণীয়। সে সময় তিনি এই অঞ্চলবাসীর জন্য চাকরি, দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন, নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ায় শাহজাদপুরবাসীর অন্তরে ঠাঁই করে নেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র ডা. এম.এ. মুহিতকে এ অঞ্চলের মানুষ তার পিতার স্থানে বসিয়েছেন।

সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা মরহুম ডা. এম.এ মতিনের পুত্র ডা. এম. এ মুহিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। বিএনপির একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব তাকেই সমর্থন করছেন বলে প্রচার রয়েছে দলটির মধ্যে। শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীদের সমর্থন তার পক্ষেই রয়েছে। ইতোমধ্যে ডা. এম.এ. মুহিত শাহজাদপুরের ১০ হাজার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষকে বিনামূল্যে অপারেশনের মাধ্যমে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রায় ১ হাজার প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ ও নিয়মিত চক্ষু শিবির অব্যাহত রেখেছেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে জেলজুলুমে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীসহ এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করে ইতোমধ্যে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের বেশির ভাগ নেতাকর্মীকে তার পাশে পেয়েছেন। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, নানা সামাজিক ও দলীয় কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন বলে তিনি আশাবাদী।

ডা. এম.এ. মুহিত জানান, আমার পিতা সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী মরহুম ডা. এম.এ. মতিনের ন্যায় দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির পাশে থেকে কাজ করে আসছি। দলের নানা প্রতিকূলতায় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করে আসছি। নেতাকর্মীদের মাঝে আস্থা, বিশ্বাস ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং সমর্থনে দলীয় মনোনয়ন পেলে এ আসনে বিএনপির বিজয় তিনি আনতে পারবেন। তার পিতার রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে দল তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে তিনি জানান।

এদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য কামরুদ্দিন এহিয়া খাঁন মজলিস সারোয়ার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। তৃণমূল বিএনপিতে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। এরই মধ্যে তিনি কিছু নেতাকর্মী ও তার সমর্থকদের নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। তবে বিগত এক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলের মধ্যে তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আছে।

এ ছাড়াও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন শহিদ মাহমুদ গ্যাদনও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় শতভাগ আশাবাদী। দীর্ঘ আঠারো বছরে টানা তিন বার উপজেলা বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসা এই নেতার জেলা বিএনপিতেও সক্রিয়তা রয়েছেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারলেও বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি তার ভোটার জনপ্রিয়তার নজির রেখেছেন বলে দাবি তার সমর্থকদের।

এ ছাড়াও রাজপথে সক্রিয় থাকা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মনির, পৌর বিএনপির সভাপতি কে এম তরিকুল ইসলাম আরিফ, সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম সালাম মনোনয়নের আশায় পোস্টার, বিলবোর্ড দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

শাহজাদপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে, এম, হাবিবুল হক সাব্বির জানান, এ অঞ্চলে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত বরাবরই শক্তিশালী হওয়ার কারণে আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। জোটের প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে বলে দলীয় সূত্র জানা যায়। তাদের প্রায় ৪০ হাজার ভোট ব্যাংক বিএনপি প্রার্থীর বিজয়ের বড় নিয়ামক শক্তি। জাতীয় পার্টির তেমন তৎপরতা না থাকলেও উপজেলা সভাপতি মোক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাহান চৌধুরী দু’জনই মনোনয়নের চেষ্টা করছেন।

মানবকণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জাতীয় দুই দল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে

আপডেট টাইম : ১২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তাঁত শিল্প আর গো-খামার সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসন। এ আসনে রয়েছে উত্তরবঙ্গের একমাত্র বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের তেল ডিপো, বাঘাবাড়ী মিল্ক ভিটা, প্রস্তাবিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ উপভোগ্য নানা স্থাপনা। সঙ্গত কারণেই আসনটি সব রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে গণসংযোগ, পোস্টার, বিলবোর্ড ও সামাজিক ও ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে পরিচিত করতে ব্যস্ত রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য নানা কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময়ের বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত শাহজাদপুরে এবারো হ্যাটট্রিক বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন চাইবেন। এরই মধ্যে আবার অনেকে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশার কথাও ব্যক্ত করেছেন লোক সমাজে। বিগত দিনের ভুলগুলো শুধরিয়ে এবার যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়নের মাধ্যমে নিজেদের হারানো দুর্গ উদ্ধার করতে মরিয়া তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা।
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আসনটি আওয়ামী লীগের হাতে চলে আসে। আর তাই ক্ষমতাসীনদের ধারণা টানা দুই বারের জয় ও সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখে আগামীতেও জয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন তারা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাচারী বাড়ি ও কবির স্মৃতি বিজড়িত এ আসনটি ১৩ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও তা প্রকাশ্য রূপ পায়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ দাবি করে জানান, বর্তমান এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন এবং সাবেক এমপি চয়ন ইসলামকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে রয়েছে কোন্দল। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরুকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করতে দলের একটি অংশ তৎপর। বর্তমানে হালিমুল হক মীরু সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। প্রচার রয়েছে তিনি জামিনে মুক্ত হলে স্থানীয় ভোটের রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবেন এমন আশঙ্কায় দলের একটি নেতৃত্ব নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন যেন তিনি জামিন না পান। বিষয়টি এলাকায় নানাভাবে আলোচিত হলেও প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। তবে চয়ন ও স্বপন দু’জনই পৃথক পৃথকভাবে সভা সমাবেশ করছেন। উভয়েই নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। বর্তমান এমপি স্বপন ক্ষমতায় থাকায় অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা না করলেও গোপনে চয়ন ও ব্যক্তি পছন্দের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষে কাজ করছেন বলে একাধিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জানান।

এ অঞ্চলে বিএনপির রাজনীতিতে চলমান কোন্দল না থাকলেও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে প্রবীণদের সঙ্গে নবীনরাও রয়েছেন মাঠে।

তবে শাহজাদপুর বিএনপির অনেক নেতাই জানান, বর্তমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাইরেও আগামীতে নতুন মনোনয়নের ক্ষেত্রে নতুন মুখের দেখা মিলতে পারে। তবে প্রার্থী যেই হোক মূল লড়াইটা হবে ধানের শীষ ও নৌকার মধ্যে। তাই সময় যত ঘনিয়ে আসবে ততই সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। শেষ মুহূর্তে কে মনোনয়ন পাবেন তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ: দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিবুর রহমান স্বপন এগিয়ে বলে দলের অনেকে মনে করেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচার রয়েছে বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার শক্ত নেতৃত্বের কারণে শাহজাদপুরে বিএনপিসহ ৪ দলীয় জোটের আন্দোলন ও নাশকতা তেমন কিছুই করতে পারেনি। তা ছাড়া তার একচ্ছত্র নেতৃত্ব থাকার কারণে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি অনেকটাই তার মতামতের ওপর গঠন করেছেন। তবে এ বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তবে ব্যক্তি স্বপনের ভোট ব্যাংকসহ রয়েছে অনুগত বেশ কিছু নেতাকর্মী। যে কারণে এ আসনে বিরোধী দলও কিছুটা নমনীয়। তবে নির্বাচন আসলে তার এ অবস্থান কতটুকু স্থায়ী থাকবে এ বিষয়টি নিয়েও রয়েছে আলোচনা সমালোচনা।

বর্তমান এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন জানান, বিভিন্ন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দলে নেতৃত্ব বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক অবস্থার পরিবর্তন করেছি। এলাকার উন্নয়নে সাধারণ মানুষ ও নদী ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে কাজ করে আসছি। দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভালোবাসায় দল থেকে মনোনিত হলে আবারো নৌকার জয় হবে বলে তিনি জানান।

অপরদিকে সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামও মনোনয়নের ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে এ আসনে তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমন আশাবাদ চয়ন ইসলাম সমর্থকদের। তাদের দাবি শাহজাদপুরের উন্নয়নে অতীতে চয়ন ইসলামের ভূমিকা পরীক্ষিত, শাহজাদপুরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার বিকল্প নেই। তবে শেষ পর্যন্ত সহজে ছেড়ে কথা বলবেন না চয়ন ইসলাম। মনোনয়নের লড়াইয়ে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে চয়ন ইসলাম তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথকভাবে গণসংযোগ ও প্রচারণা পাশাপাশি বন্যায় ত্রাণ বিতরণসহ নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

চয়ন ইসলাম জানান, দলে যেন নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি না হয় সে কারণেই উপজেলা আওয়ামী রাজনীতি থেকে নিজেকে কিছুটা দুরে সরিয়ে রেখেছিলাম। সাধারণ তৃণমূলের কর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে এসেছি, আগামীতেও করব। তৃণমূলের কর্মীদের মূল্যায়ন করে দলকে শক্তিশালী করে চলেছি।

তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আমার পৃথকভাবে নানা কার্যক্রম অপছন্দ করেন। দলের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আমি তাদেরকেও আহ্বান জানিয়েছি একযোগে কাজ করে নৌকার ভোট বৃদ্ধি করতে। আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেলে বিজয়ের ব্যাপারেও শতভাগ আশাবাদী।

এ ছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান আইন সচিবের ছোট ভাই নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল সিরাজগঞ্জ জজকোর্টের পিপি শেখ আবদুল হামিদ লাভলু। এলাকায় তার বাড়তি প্রভাব ও ব্যাক্তি ইমেজ রয়েছে। দলে রব আছে আইন পেশায় নিযুক্ত লাভলুর নিজস্ব ও পারিবারিকভাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডে শক্ত লবিং রয়েছে।

বিএনপি: সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম.এ. মতিনের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ভূমিকা এখনো শাহজাদপুর তথা সিরাজগঞ্জবাসীর কাছে স্মরণীয়। সে সময় তিনি এই অঞ্চলবাসীর জন্য চাকরি, দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন, নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ায় শাহজাদপুরবাসীর অন্তরে ঠাঁই করে নেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র ডা. এম.এ. মুহিতকে এ অঞ্চলের মানুষ তার পিতার স্থানে বসিয়েছেন।

সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও চারদলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা মরহুম ডা. এম.এ মতিনের পুত্র ডা. এম. এ মুহিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। বিএনপির একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব তাকেই সমর্থন করছেন বলে প্রচার রয়েছে দলটির মধ্যে। শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীদের সমর্থন তার পক্ষেই রয়েছে। ইতোমধ্যে ডা. এম.এ. মুহিত শাহজাদপুরের ১০ হাজার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষকে বিনামূল্যে অপারেশনের মাধ্যমে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রায় ১ হাজার প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ ও নিয়মিত চক্ষু শিবির অব্যাহত রেখেছেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে জেলজুলুমে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীসহ এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করে ইতোমধ্যে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের বেশির ভাগ নেতাকর্মীকে তার পাশে পেয়েছেন। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, নানা সামাজিক ও দলীয় কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন বলে তিনি আশাবাদী।

ডা. এম.এ. মুহিত জানান, আমার পিতা সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী মরহুম ডা. এম.এ. মতিনের ন্যায় দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির পাশে থেকে কাজ করে আসছি। দলের নানা প্রতিকূলতায় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করে আসছি। নেতাকর্মীদের মাঝে আস্থা, বিশ্বাস ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং সমর্থনে দলীয় মনোনয়ন পেলে এ আসনে বিএনপির বিজয় তিনি আনতে পারবেন। তার পিতার রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে দল তাকেই মনোনয়ন দেবে বলে তিনি জানান।

এদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য কামরুদ্দিন এহিয়া খাঁন মজলিস সারোয়ার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। তৃণমূল বিএনপিতে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। এরই মধ্যে তিনি কিছু নেতাকর্মী ও তার সমর্থকদের নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। তবে বিগত এক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলের মধ্যে তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আছে।

এ ছাড়াও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন শহিদ মাহমুদ গ্যাদনও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় শতভাগ আশাবাদী। দীর্ঘ আঠারো বছরে টানা তিন বার উপজেলা বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসা এই নেতার জেলা বিএনপিতেও সক্রিয়তা রয়েছেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারলেও বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি তার ভোটার জনপ্রিয়তার নজির রেখেছেন বলে দাবি তার সমর্থকদের।

এ ছাড়াও রাজপথে সক্রিয় থাকা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মনির, পৌর বিএনপির সভাপতি কে এম তরিকুল ইসলাম আরিফ, সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম সালাম মনোনয়নের আশায় পোস্টার, বিলবোর্ড দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

শাহজাদপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে, এম, হাবিবুল হক সাব্বির জানান, এ অঞ্চলে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত বরাবরই শক্তিশালী হওয়ার কারণে আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। জোটের প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে বলে দলীয় সূত্র জানা যায়। তাদের প্রায় ৪০ হাজার ভোট ব্যাংক বিএনপি প্রার্থীর বিজয়ের বড় নিয়ামক শক্তি। জাতীয় পার্টির তেমন তৎপরতা না থাকলেও উপজেলা সভাপতি মোক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাহান চৌধুরী দু’জনই মনোনয়নের চেষ্টা করছেন।

মানবকণ্ঠ