ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুর ৪ বিএনপির একের বিপরীতে আওয়ামী লীগে ৮

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুরের আসনগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছড়াছড়ি জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। ফলে অতিরিক্ত প্রার্থী আর দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপাকে ক্ষমতাসীন দলটি। দেশের অন্য প্রধান দল বিএনপির এখন পর্যন্ত একজন মাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী দলের হারানো আসন উদ্ধারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। সরিষাবাড়ি ও জামালপুর সদরের একাংশ নিয়ে গঠিত জামালপুর-৪ আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির (জাপা) মামুনুর রশিদ জোয়ারদার। সেবার মহাজোটের শরিক জাপাকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল আ.লীগ। তবে এবার আর ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছে না স্থানীয় আওয়ামী লীগ।  অন্তত আটজন সম্ভাব্য প্রার্থীর কথা জানা গেছে দলটিতে।

আওয়ামী লীগের পক্ষে আসনটি ধরে রাখতে একজন কলেজ অধ্যক্ষ ও একজন চিকিৎসক মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করছেন। দুজনই নিজেদের পক্ষে দলের মনোনয়ন আশা করছেন। তারা হলেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ, যিনি তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি; অন্যজন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান।

এ ছাড়া সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মৌলনা নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক খোরশেদ আলম, আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাবেক এমপি প্রয়াত আব্দুল মালেকের ছেলে শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান হেলাল, আমেরিকা প্রবাসী মো. আব্দুস সামাদ তারা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আনিছুর রহমান এলিনের নাম শোনা যাচ্ছে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের তালিকায়।

আওয়ামী লীগের এত এত মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের বিপরীতে বিএনপিতে কাজ করে চলেছেন একজন। দলের জেলা কমিটির সভাপতি ও সরিষাবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুর কবির তালুকদার শামীম। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা।

এ আসনে অন্যান্য দলের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ জোয়ারদার ও বিএনএফের প্রার্থী জামালপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা বাবুল।

সরিষাবাড়ি উপজেলার দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের এক পক্ষে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের ভাষ্য, তারা তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদের মনোনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নিজেও দলের তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ঘন ঘন এলাকায় আসছেন। তার ছোট ভাই তেজগাঁও কলেজের উপধাক্ষ্য ও সরিষাবড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদও তার কর্মীদের নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা।

অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের সমর্থকরা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন যেভাবে তার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন এতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ডা. মুরাদ হাসানের সমর্থকরা বলেন, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনের সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান তার সময়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। অপ্রতিরোধ্য বিএনপিকে প্রতিরোধ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের ছেলে। এসব মিলিয়ে তিনি এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের  নেতাকর্মীদের কাছে অনেকটাই জনপ্রিয়।

কিন্তু যমুনা সার কারখানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার একক আধিপত্য বিস্তারে বাধা দেয়ার কারণে মুরাদ হাসান ও ছানোয়ার হোসেন বাদশা গ্রুপের কোন্দল এখন চরম পর্যায়ে। এরই মধ্যে ইউপি সদস্য রাজার হাতে খুন হন সরিষাবাড়ি পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক ও উপজেলার আওনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মারুফ হাসান। এই হত্যাকা-ে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মুরাদকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে অবহতি দেয়া হয়।

এই ঘটনায় মুরাদ ও বাদশার সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ঘটে। এ আসনে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।

আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের মধ্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান হেলাল দলীয় মনোনয়ন পেতে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাবার রাজনীতি ধরে রাখতে এলাকায় গণসংযোগ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

এ আসনের দলীয় অন্যান্য মনোনয়ন-প্রত্যাশী শুধু ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটানোর মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজ দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে গণসংযোগে চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়াত চাচা ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার ও পারিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে নিজের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরছেন তিনি।

এ আসনে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মামুনুর রশিদ জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন। তিনি এ আসনে জাপার একজন প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেবার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা বাবুল। বিএনএফের প্রার্থী হিসেবে লড়ে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাপার প্রার্থী মামুনুর রশিদ জোয়াদারের কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে এবারও  নির্বাচনে অংশ নেবেন।

দলীয় কোন্দল মিটিয়ে বিএনপির একক প্রার্থীর বিপক্ষে আওয়ামী লীগ অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ অথবা ডা. মুরাদ হাসানের মতো শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না দিলে আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা জেলা আওয়ামী লীগের নিতিনির্ধারকসহ তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জামালপুর ৪ বিএনপির একের বিপরীতে আওয়ামী লীগে ৮

আপডেট টাইম : ১১:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুরের আসনগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছড়াছড়ি জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। ফলে অতিরিক্ত প্রার্থী আর দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপাকে ক্ষমতাসীন দলটি। দেশের অন্য প্রধান দল বিএনপির এখন পর্যন্ত একজন মাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী দলের হারানো আসন উদ্ধারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। সরিষাবাড়ি ও জামালপুর সদরের একাংশ নিয়ে গঠিত জামালপুর-৪ আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির (জাপা) মামুনুর রশিদ জোয়ারদার। সেবার মহাজোটের শরিক জাপাকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল আ.লীগ। তবে এবার আর ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছে না স্থানীয় আওয়ামী লীগ।  অন্তত আটজন সম্ভাব্য প্রার্থীর কথা জানা গেছে দলটিতে।

আওয়ামী লীগের পক্ষে আসনটি ধরে রাখতে একজন কলেজ অধ্যক্ষ ও একজন চিকিৎসক মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করছেন। দুজনই নিজেদের পক্ষে দলের মনোনয়ন আশা করছেন। তারা হলেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ, যিনি তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি; অন্যজন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান।

এ ছাড়া সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মৌলনা নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক খোরশেদ আলম, আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাবেক এমপি প্রয়াত আব্দুল মালেকের ছেলে শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান হেলাল, আমেরিকা প্রবাসী মো. আব্দুস সামাদ তারা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আনিছুর রহমান এলিনের নাম শোনা যাচ্ছে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের তালিকায়।

আওয়ামী লীগের এত এত মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের বিপরীতে বিএনপিতে কাজ করে চলেছেন একজন। দলের জেলা কমিটির সভাপতি ও সরিষাবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুর কবির তালুকদার শামীম। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা।

এ আসনে অন্যান্য দলের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ জোয়ারদার ও বিএনএফের প্রার্থী জামালপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা বাবুল।

সরিষাবাড়ি উপজেলার দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের এক পক্ষে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের ভাষ্য, তারা তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদের মনোনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নিজেও দলের তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ঘন ঘন এলাকায় আসছেন। তার ছোট ভাই তেজগাঁও কলেজের উপধাক্ষ্য ও সরিষাবড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদও তার কর্মীদের নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা।

অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের সমর্থকরা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন যেভাবে তার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন এতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ডা. মুরাদ হাসানের সমর্থকরা বলেন, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসনের সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসান তার সময়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। অপ্রতিরোধ্য বিএনপিকে প্রতিরোধ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের ছেলে। এসব মিলিয়ে তিনি এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের  নেতাকর্মীদের কাছে অনেকটাই জনপ্রিয়।

কিন্তু যমুনা সার কারখানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার একক আধিপত্য বিস্তারে বাধা দেয়ার কারণে মুরাদ হাসান ও ছানোয়ার হোসেন বাদশা গ্রুপের কোন্দল এখন চরম পর্যায়ে। এরই মধ্যে ইউপি সদস্য রাজার হাতে খুন হন সরিষাবাড়ি পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক ও উপজেলার আওনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মারুফ হাসান। এই হত্যাকা-ে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মুরাদকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে অবহতি দেয়া হয়।

এই ঘটনায় মুরাদ ও বাদশার সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ঘটে। এ আসনে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।

আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের মধ্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান হেলাল দলীয় মনোনয়ন পেতে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাবার রাজনীতি ধরে রাখতে এলাকায় গণসংযোগ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

এ আসনের দলীয় অন্যান্য মনোনয়ন-প্রত্যাশী শুধু ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটানোর মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজ দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে গণসংযোগে চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়াত চাচা ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার ও পারিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে নিজের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরছেন তিনি।

এ আসনে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মামুনুর রশিদ জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন। তিনি এ আসনে জাপার একজন প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেবার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা বাবুল। বিএনএফের প্রার্থী হিসেবে লড়ে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাপার প্রার্থী মামুনুর রশিদ জোয়াদারের কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে এবারও  নির্বাচনে অংশ নেবেন।

দলীয় কোন্দল মিটিয়ে বিএনপির একক প্রার্থীর বিপক্ষে আওয়ামী লীগ অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ অথবা ডা. মুরাদ হাসানের মতো শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না দিলে আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা জেলা আওয়ামী লীগের নিতিনির্ধারকসহ তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।