ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ঐতিহ্যবাহী মাছ চিতল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭
  • ৬৭৩ বার

হোসাইন জাকিরঃ সবসময় ভাবতাম চিতল মাছ আর চিতর মাছ, চিতল মাছ এগুলো নিয়ে ভাবতে গিয়ে চিন্তা করলাম আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো এগুলোকে শুধু বইয়ে বা ইন্টারনেটেই পাবে। তাই আমরা এখন সেই মাছের আবাস আমাদের কাছে এখন ও আছে।এখন নিজে কিনে নিয়ে আসলাম। একটি ছবি ব্লগের ক্ষুদ্র প্রয়াস।

চিতল মাছ বাংলাদেশের বিল,হাওর,বাওড় গুলোতে মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।এটিকে এক প্রকার সাদা দবধবে ঘবির পানির চিতল মাছ বলা যায়,কারণ এটি সর্বভূক মাছ।বগুড়ার কিশোরগঞ্জের নদী,যমুনা বড় বড় হাওরের জলাশয় গবির পানি যেখানে আছে তারা সেই জায়গাতে বসবাস করে থাকে তারা। নদী ততসংল্গন বিল বাওরে এটি এখনো পাওয়া যায়।এছাড়া কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলবীবাজার এসব জেলার নদীতে মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।আবার আগে শুনে ছিলাম কুমিল্লার তিতাস ও গোমতী নদীতেও একসময় এদের বেশ দেখা মিলতো।আর মেঘনার চিতল ছিলো কিংবদন্তীতুল্য। আমার লেখা নিউজে সবসময় এই ভাল মাছ গুলোর কথা উল্যেখ করে আসছি। আমি চিতল মাছের খাওয়ার আগ্রহী হই।চিতল মাছ অতি সুস্বাদু।

চিতল ছাড়াও আছে আইর মাছ,এটিও একটি দূর্লভ মাছ।

চিতল একটি বিলুপ্তপ্রায় মাছ।এটি ভৈরব মেঘনা নদীর থেকে নেমে আসা সিমসাং যা বাংলাদেশে মেঘনার মাছ বলে চিনে। নামে কিশোরগন্জ জেলার উত্তর দিকে প্রবেশ করেছে,সেই নদীতে প্রায় দেখা মিলতো।এখনো মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।
হাওরের খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে চিতল ওআইর মাছের আবাস। নদীর ও হাওরের মাঝে শ্যাওলাবন ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই চিতল ও আইর মাছের প্রধান খাদ্য। মহাশোল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক। চিতল মমাছটা দেখতে অনেকটা মৃগেল ববোয়ালের মত লম্বা মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান। পাখনা ও লেজ রক্তিম। নাকের সামনে ছোট্ট দুটি গোঁফের মতো আছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের মিঠাপানির মাছের মধ্যে চিতল স্বাদেও সেরা।কিশোরগঞ্জের হাওরে নাকি চিতলের পোনা দেখা গিয়েছে,যা খুবই আনন্দের সংবাদ।

কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলবীবাজারের শেরপুরেও একটি ঐতিহ্যবাহী মাছমেলা হয় ।এসব মেলাগুলোতে চিতল,বোয়ল আইর,রই,কাতলাও কালবাউসমাছ ও দেখতে পাওয়া যায়। আমার এক বয়সে নিজে অনেক বড় নদী নিজের নামে সরকার থেকে ব্যবস্হা করে অনেক মাছ ধরার সুভাগ্য হয়েছে। কারণ বসত আমার উপার্যন সব টাকা রাগুয়া বড়লোক আত্বস্বাদ করে সে এখন অনেক বড় মাপের ব্যক্তি হয়ে গেছে।আর আমাদের ফিসারীতে অনেক বড় বড় চিতল, আইর,কাতলা,পাবদামাছ থাকত।একবার আমার যাওয়া উপলক্ষে একটি চিতল মাছ বেছতে গিছে ছিলাম,আমার এখনো মনে আছে এটি সাইজে প্রায় সাড়ে তিনফুট ছিলো।আমার বন্ধু সম্প্রতি চিতল মাছ কিনেছিল(ছবি দিলাম)মাছটার ছবি নিচে দেওয়া হলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ঐতিহ্যবাহী মাছ চিতল

আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০১৭

হোসাইন জাকিরঃ সবসময় ভাবতাম চিতল মাছ আর চিতর মাছ, চিতল মাছ এগুলো নিয়ে ভাবতে গিয়ে চিন্তা করলাম আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো এগুলোকে শুধু বইয়ে বা ইন্টারনেটেই পাবে। তাই আমরা এখন সেই মাছের আবাস আমাদের কাছে এখন ও আছে।এখন নিজে কিনে নিয়ে আসলাম। একটি ছবি ব্লগের ক্ষুদ্র প্রয়াস।

চিতল মাছ বাংলাদেশের বিল,হাওর,বাওড় গুলোতে মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।এটিকে এক প্রকার সাদা দবধবে ঘবির পানির চিতল মাছ বলা যায়,কারণ এটি সর্বভূক মাছ।বগুড়ার কিশোরগঞ্জের নদী,যমুনা বড় বড় হাওরের জলাশয় গবির পানি যেখানে আছে তারা সেই জায়গাতে বসবাস করে থাকে তারা। নদী ততসংল্গন বিল বাওরে এটি এখনো পাওয়া যায়।এছাড়া কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলবীবাজার এসব জেলার নদীতে মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।আবার আগে শুনে ছিলাম কুমিল্লার তিতাস ও গোমতী নদীতেও একসময় এদের বেশ দেখা মিলতো।আর মেঘনার চিতল ছিলো কিংবদন্তীতুল্য। আমার লেখা নিউজে সবসময় এই ভাল মাছ গুলোর কথা উল্যেখ করে আসছি। আমি চিতল মাছের খাওয়ার আগ্রহী হই।চিতল মাছ অতি সুস্বাদু।

চিতল ছাড়াও আছে আইর মাছ,এটিও একটি দূর্লভ মাছ।

চিতল একটি বিলুপ্তপ্রায় মাছ।এটি ভৈরব মেঘনা নদীর থেকে নেমে আসা সিমসাং যা বাংলাদেশে মেঘনার মাছ বলে চিনে। নামে কিশোরগন্জ জেলার উত্তর দিকে প্রবেশ করেছে,সেই নদীতে প্রায় দেখা মিলতো।এখনো মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।
হাওরের খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে চিতল ওআইর মাছের আবাস। নদীর ও হাওরের মাঝে শ্যাওলাবন ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই চিতল ও আইর মাছের প্রধান খাদ্য। মহাশোল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক। চিতল মমাছটা দেখতে অনেকটা মৃগেল ববোয়ালের মত লম্বা মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান। পাখনা ও লেজ রক্তিম। নাকের সামনে ছোট্ট দুটি গোঁফের মতো আছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের মিঠাপানির মাছের মধ্যে চিতল স্বাদেও সেরা।কিশোরগঞ্জের হাওরে নাকি চিতলের পোনা দেখা গিয়েছে,যা খুবই আনন্দের সংবাদ।

কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলবীবাজারের শেরপুরেও একটি ঐতিহ্যবাহী মাছমেলা হয় ।এসব মেলাগুলোতে চিতল,বোয়ল আইর,রই,কাতলাও কালবাউসমাছ ও দেখতে পাওয়া যায়। আমার এক বয়সে নিজে অনেক বড় নদী নিজের নামে সরকার থেকে ব্যবস্হা করে অনেক মাছ ধরার সুভাগ্য হয়েছে। কারণ বসত আমার উপার্যন সব টাকা রাগুয়া বড়লোক আত্বস্বাদ করে সে এখন অনেক বড় মাপের ব্যক্তি হয়ে গেছে।আর আমাদের ফিসারীতে অনেক বড় বড় চিতল, আইর,কাতলা,পাবদামাছ থাকত।একবার আমার যাওয়া উপলক্ষে একটি চিতল মাছ বেছতে গিছে ছিলাম,আমার এখনো মনে আছে এটি সাইজে প্রায় সাড়ে তিনফুট ছিলো।আমার বন্ধু সম্প্রতি চিতল মাছ কিনেছিল(ছবি দিলাম)মাছটার ছবি নিচে দেওয়া হলো।