ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলো রে মধু মাস…

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০১৫
  • ৮১৬ বার
ঘাসফড়িঙের পথ মাড়াতে, আর নীরব দুপুর ভাঙতে সোনাঝরা গ্রামের মেঠোপথ ধরে আবার এল মধু মাস।
বাংলা অভিধানে মধুমাস শব্দের অর্থ হলো, চৈত্রমাস। কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ মাস নিয়ে কোন কিছু লিখতে গিয়ে লেখা হয় মিষ্টি ফলের রসে ভরা মধুমাস। এভাবেই জ্যৈষ্ঠ মাসের সাথে মধু মাস বিশেষণটি জড়িয়ে গেছে। অভিধানের মধুমাস অভিধানেই আছে।  কিন্তু লোকমুখে এখন জ্যৈষ্ঠই যেন আসল মধু মাস।
যদিও এ কথা কারো অজানা নয়, মধু থাকে ফুলে, ফলে নয়। ফাল্গুন-চৈত্র বসন্ত কাল।এ সময় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বাংলার প্রকৃতি। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ গ্রীষ্মকাল। বসন্তের ফুল ফলে পরিণত হয় গ্রীষ্মে এসে। ছয় ঋতুর বাংলাদেশের প্রকৃতির এ রূপের বদল সত্যি বড় বৈচিত্র্যময়। গ্রীষ্মের শেষ মাস জ্যৈষ্ঠ, এ মাসে ফল পেকে রসের ভারে টইটম্বুর হয়।
বাজারে এখন দেদার বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। হালকা ঝড়ে বা প্রখর রোদে যেসব গুটি আম ঝরে পড়ছে, তা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চলে আসছে রাজধানীর বাজারে। সাধারণত কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে এখন কাঁচা আম আসছে বেশি। তা ছাড়া রাজশাহী, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও আসছে কাঁচা আম। এসব কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে নানা দামে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকায়। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামের মধ্যে বিস্তর তফাত। কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। অথচ একই বাজারের খুচরা দোকানে গেলেই তার দাম হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি।
কাঁচা আমের আধিক্য থাকলেও বাজারে পাকা আমও পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম বেশ চড়া। বাজারে এখন সাতক্ষীরা থেকে কিছু পাকা আম আসছে বলে জানান বিক্রেতারা। হিমসাগর ও বোম্বাই আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। যা ভরা মৌসুমে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে চলে এসেছে সবচেয়ে রসাল ফল লিচু।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এলো রে মধু মাস…

আপডেট টাইম : ১২:০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০১৫
ঘাসফড়িঙের পথ মাড়াতে, আর নীরব দুপুর ভাঙতে সোনাঝরা গ্রামের মেঠোপথ ধরে আবার এল মধু মাস।
বাংলা অভিধানে মধুমাস শব্দের অর্থ হলো, চৈত্রমাস। কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ মাস নিয়ে কোন কিছু লিখতে গিয়ে লেখা হয় মিষ্টি ফলের রসে ভরা মধুমাস। এভাবেই জ্যৈষ্ঠ মাসের সাথে মধু মাস বিশেষণটি জড়িয়ে গেছে। অভিধানের মধুমাস অভিধানেই আছে।  কিন্তু লোকমুখে এখন জ্যৈষ্ঠই যেন আসল মধু মাস।
যদিও এ কথা কারো অজানা নয়, মধু থাকে ফুলে, ফলে নয়। ফাল্গুন-চৈত্র বসন্ত কাল।এ সময় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বাংলার প্রকৃতি। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ গ্রীষ্মকাল। বসন্তের ফুল ফলে পরিণত হয় গ্রীষ্মে এসে। ছয় ঋতুর বাংলাদেশের প্রকৃতির এ রূপের বদল সত্যি বড় বৈচিত্র্যময়। গ্রীষ্মের শেষ মাস জ্যৈষ্ঠ, এ মাসে ফল পেকে রসের ভারে টইটম্বুর হয়।
বাজারে এখন দেদার বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। হালকা ঝড়ে বা প্রখর রোদে যেসব গুটি আম ঝরে পড়ছে, তা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চলে আসছে রাজধানীর বাজারে। সাধারণত কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে এখন কাঁচা আম আসছে বেশি। তা ছাড়া রাজশাহী, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও আসছে কাঁচা আম। এসব কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে নানা দামে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকায়। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামের মধ্যে বিস্তর তফাত। কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। অর্থাৎ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। অথচ একই বাজারের খুচরা দোকানে গেলেই তার দাম হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি।
কাঁচা আমের আধিক্য থাকলেও বাজারে পাকা আমও পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম বেশ চড়া। বাজারে এখন সাতক্ষীরা থেকে কিছু পাকা আম আসছে বলে জানান বিক্রেতারা। হিমসাগর ও বোম্বাই আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। যা ভরা মৌসুমে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে চলে এসেছে সবচেয়ে রসাল ফল লিচু।