ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৫
  • ২৬৫ বার

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংহতি সম্মিলনে তিনি এসব কথা বলেন। দিগন্ত টেলিভিশনের ৭ম বর্ষপূর্তিতে সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সংহতি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিচারপতি রউফ বলেন, নির্বাচন এমনভাবে হতে হবে যাতে করে সাধারণ জনগণই এ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে একটু স্বস্তিতে কথা বলুন। চিন্তাটাকে একটু পরিষ্কার করুন। অতীতের কথা ভুলে যাবেন না।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে এ স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট জালিম সরকারকে গণবিস্ফোণের মাধ্যমে পতন ঘটিয়ে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দিগন্ত বা দৈনিক আমার দেশ খুলে দেবে এটা ভাবা উচিত নয়। এই সরকারের বিরদ্ধে শুধু সভা-সেমিনার করলে চলবে না, যেমন কুকুর তেমন মুগুর লাগবে।

জামায়াতকে রাষ্ট্রের কাছে ‘পরিষ্কারভাবে’ ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জামায়াতের পূর্বপুরুষরা ভুল করলে তার খেসারত তো বর্তমান নেতাকর্মীরা দিতে পারে না। নতুনভাবে চিন্তা করে তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

এসময় তিনি দিগন্তসহ সব বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিশিষ্ট সমাজচিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। ব্রিটিশরা ২০০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে যতটা না পিছিয়ে দিয়েছিল শেখ হাসিনা তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচারব্যবস্থা কি হওয়া উচিত- সব ক্ষেত্রেই অস্পষ্টতা। তবে আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। এ রকম অন্ধকারে অনেক জাতিই পড়েছে আবার তাদেরই বিজয় হয়েছে।

সংহতি সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যরিষ্টার মঈনুল হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএফইউজের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই

আপডেট টাইম : ১২:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৫

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংহতি সম্মিলনে তিনি এসব কথা বলেন। দিগন্ত টেলিভিশনের ৭ম বর্ষপূর্তিতে সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সংহতি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিচারপতি রউফ বলেন, নির্বাচন এমনভাবে হতে হবে যাতে করে সাধারণ জনগণই এ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে একটু স্বস্তিতে কথা বলুন। চিন্তাটাকে একটু পরিষ্কার করুন। অতীতের কথা ভুলে যাবেন না।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে এ স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট জালিম সরকারকে গণবিস্ফোণের মাধ্যমে পতন ঘটিয়ে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দিগন্ত বা দৈনিক আমার দেশ খুলে দেবে এটা ভাবা উচিত নয়। এই সরকারের বিরদ্ধে শুধু সভা-সেমিনার করলে চলবে না, যেমন কুকুর তেমন মুগুর লাগবে।

জামায়াতকে রাষ্ট্রের কাছে ‘পরিষ্কারভাবে’ ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জামায়াতের পূর্বপুরুষরা ভুল করলে তার খেসারত তো বর্তমান নেতাকর্মীরা দিতে পারে না। নতুনভাবে চিন্তা করে তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

এসময় তিনি দিগন্তসহ সব বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিশিষ্ট সমাজচিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। ব্রিটিশরা ২০০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে যতটা না পিছিয়ে দিয়েছিল শেখ হাসিনা তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচারব্যবস্থা কি হওয়া উচিত- সব ক্ষেত্রেই অস্পষ্টতা। তবে আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। এ রকম অন্ধকারে অনেক জাতিই পড়েছে আবার তাদেরই বিজয় হয়েছে।

সংহতি সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যরিষ্টার মঈনুল হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএফইউজের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।