ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঠে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। সোনালী ধানের ধানে ভরে উঠছে মাঠ। সেই সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দুলছে। চলতি কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা সোনালী ধান কাটা শুরু করেছেন। অগ্রহায়ণ মাস পড়লেই পুরোদমে আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা।

এর আগে আমনের মাঝিামাঝি সময়ে পাতামরা রোগ ও শেষ দিকে কারেন্ট পোকা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদের আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শেষ সময়ে এসে আবহাওয়া আমনের পক্ষে উপকারী হওয়া, সে সাথে কৃষকদের চেষ্টায় কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা। ফলন একটু কম হলেও মাঠে আমন নিয়ে নতুন করে আশাই বুক বেধেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।

বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা জানান, আমনের শুরু থেকেই রোগ বালাই কাটিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয়েছিল কৃষকদের। এর মধ্যে শেষ সময়ে দুইদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠের অনেক অপুষ্ট ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ধান মাটিতে শুয়ে পড়ে। সে সঙ্গে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। তবে, আবহাওয়া ভাল থাকায় সকল ধকল সামলে উঠতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পোকা দমনের পদ্ধতিতে পার্চিং-লগ, লাইন এবং ধোঁনছা গাছ লাগানো হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হবে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের উপরে। বরেন্দ্রের মাঠগুলোতে যতদুর চোখ যায় চারিদিকে সোনালী ফসলের সমারোহ।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌর এলাকার পাঁচগ্যাছা গ্রামের কৃষক নোওয়াজ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ১৩ বিঘা জমিতে সাদা স্বর্না জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন। বর্তমানে তার ক্ষেতের ধান পাক ধরেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা পড়বে।

তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমসের আলী জানান, চলতি মৌসুমে আমন চাষে নানা প্রতিকুলতায় কাটিয়ে উঠতে পেরেছে কৃষকেরা। এর জন্য সকল প্রকার কৃষকদের সহযোগিতা করেছেন কৃষি সম্প্রাসাণ অধিদপ্তর। এখন মাঠে মাঠে ধানের পাক ধরেছে।অনেক কৃষক ধান কাটা শুরুও করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে সকল ক্ষেতের ধান কাচা অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেছে সে ক্ষেতের ফলন কিছুটা কম হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

আপডেট টাইম : ০৪:২১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঠে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। সোনালী ধানের ধানে ভরে উঠছে মাঠ। সেই সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দুলছে। চলতি কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা সোনালী ধান কাটা শুরু করেছেন। অগ্রহায়ণ মাস পড়লেই পুরোদমে আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা।

এর আগে আমনের মাঝিামাঝি সময়ে পাতামরা রোগ ও শেষ দিকে কারেন্ট পোকা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদের আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শেষ সময়ে এসে আবহাওয়া আমনের পক্ষে উপকারী হওয়া, সে সাথে কৃষকদের চেষ্টায় কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা। ফলন একটু কম হলেও মাঠে আমন নিয়ে নতুন করে আশাই বুক বেধেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।

বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা জানান, আমনের শুরু থেকেই রোগ বালাই কাটিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয়েছিল কৃষকদের। এর মধ্যে শেষ সময়ে দুইদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠের অনেক অপুষ্ট ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ধান মাটিতে শুয়ে পড়ে। সে সঙ্গে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। তবে, আবহাওয়া ভাল থাকায় সকল ধকল সামলে উঠতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২২৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পোকা দমনের পদ্ধতিতে পার্চিং-লগ, লাইন এবং ধোঁনছা গাছ লাগানো হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়াও রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমন চাষাবাদ হবে আরো ৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের উপরে। বরেন্দ্রের মাঠগুলোতে যতদুর চোখ যায় চারিদিকে সোনালী ফসলের সমারোহ।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌর এলাকার পাঁচগ্যাছা গ্রামের কৃষক নোওয়াজ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ১৩ বিঘা জমিতে সাদা স্বর্না জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন। বর্তমানে তার ক্ষেতের ধান পাক ধরেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা পড়বে।

তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমসের আলী জানান, চলতি মৌসুমে আমন চাষে নানা প্রতিকুলতায় কাটিয়ে উঠতে পেরেছে কৃষকেরা। এর জন্য সকল প্রকার কৃষকদের সহযোগিতা করেছেন কৃষি সম্প্রাসাণ অধিদপ্তর। এখন মাঠে মাঠে ধানের পাক ধরেছে।অনেক কৃষক ধান কাটা শুরুও করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে সকল ক্ষেতের ধান কাচা অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেছে সে ক্ষেতের ফলন কিছুটা কম হতে পারে।