হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়া শূন্যরেখায় আবারও রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা তিন হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে সেখানে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গা শূন্যরেখা অতিক্রম করে উখিয়ায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। পরে বিজিবি যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৭০০ জনকে বালুখালী শিবিরে ঢুকতে দেয়। আরও ১৩০০ রোহিঙ্গা সেখানে অবস্থান করছে।
এর আগে ১৬ অক্টোবর আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা তিন দিন ধরে অবস্থান করে। পরে তাদের শিবিরে ঢুকতে দেয় বিজিবি।
উখিয়ার সীমান্তের দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইকবাল আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় হাওর বার্তাকে বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে এই সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের আসা বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল ভোরে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু উখিয়ায় ঢোকার চেষ্টা চালায়। বিজিবির সদস্যরা বাধা দিলে তারা শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়। পরে ইউএনএইচসিআর, আইওএম, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থা শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের কারও কাছে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকসহ অবৈধ মালামাল রয়েছে কি না, তা যাচাই করে। শেষে বিকেলে ১ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে বালুখালী শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়। যাচাই-বাছাই শেষে বাকিদের শিবিরে ঢুকতে দেওয়া হবে।
উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কোয়াছিবন ও নাকপুরা গ্রাম। সেখানে ত্রিপল টানিয়ে ১০-১৫ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে জানান পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ওই রোহিঙ্গারাও উখিয়ায় ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। রাখাইনের ওই দুটি গ্রামের রোহিঙ্গারা আগেই বাংলাদেশে চলে এসেছে। এখন যারা আসছে তারা রাখাইনের বুচিডং শহরের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।