জাতীয় ৪ নেতার ঘাতক অপশক্তি এখনও চক্রান্তে লিপ্ত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলার উদ্দেশ্যেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আর প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ৩ নভেম্বর জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের স্মরণ করে বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার অবর্তমানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় এ চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা।’

ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ চির জাগরূক থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অবদান রাখবেন-

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর