মিষ্টিকুমড়ায় কৃষকের হাসি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মরিচের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টিকুমড়ার চাষ করে লাভবান হয়েছেন ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষি। তাদের মুখে ফুটেছে মিষ্টি হাসি। অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর উপজেলার চাষিরা মরিচ চাষ করে যে লোকসানের মুখে পড়েছিলেন সাথী ফসল মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করে তা পুষিয়ে নিয়েছেন।

আর এ কারণেই মিষ্টিকুমড়া চাষ এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর প্রতিদিন ঢাকাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলাতে মধুখালীর মিষ্টিকুমড়া সরবরাহ হচ্ছে।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি ব্যবসায়ী ও পাইকাররা এসে সরাসরি জমি অথবা আড়ৎ থেকে মিষ্টি কুমড়া কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যান।

তারা কৃষকদের কাছ থেকে আকার ভেদে প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ১০ থেকে ৫০ টাকা হিসেবে কিনে প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।  সরেজমিন উপজেলা গাজনা ইউনিয়নের একটি মাঠ ঘুরে এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিষ্টি কুমড়া চাষ করে দাম ভালো পাওয়ায় তারা খুশি। চাষিরা বলেন, সাথী ফসল হিসেবে কুমড়া চাষে তাদের কোনো বাড়তি খরচ নেই।

মরিচের জমিতে কুমড়া চাষের ফলে কোনো প্রকার সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। বলতে গেলে বীনা খরচেই কুমড়ার চাষ করা যায়। আর লাভও পাওয়া যায় প্রচুর। ফলে সাথী ফসল হিসেবে কৃষকের কাছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া পুষ্টিকর খাদ্য হওয়ায় ক্রেতাদের কাছেও মিষ্টিকুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদা পারভীন জানান, চলতি অর্থবছরে উপজেলায় মরিচের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ২ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ১২ থেকে ১৩ মেট্রিক টন। এ বছর হালকা ও ভারি বর্ষণের কারণে ফলন ভালো না হলেও  দাম বেশি পাওয়ার কারণে চাষিরা অন্য ফসলের ক্ষতি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি কয়ে পুষিয়ে নিচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর