ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবাদ না করলে জনগণের ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৫
  • ২৬২ বার

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিলে জনগণের ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ গ্যাসের মূল্য বাড়িয়েছে এবং বিদ্যুতের মূল্য আপাতত ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধি যদি বিনা প্রতিবাদে ও নীরবে জনগণ মেনে নেয় তাহলে কিছুদিন পরে আবার আরও অধিক হারে বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। তখন সরকার যুক্তি দেখাবে ২৬.২৯% হারে গ্যাসের দাম বাড়াতে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয়ও আনুপাতিক হারে বেড়ে গিয়েছে। তাই তখন আবার সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেবে। আজকে এই মুহূর্তে আমাদের সবাইকে এই অহেতুক গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি চরম ত্যাগ স্বীকার করে হলেও রুখতে হবে।

সরকার বলছে ৫০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করবে না। এটি সরকারের একটি নির্লজ্জ ধোঁকাবাজি। কারণ একটি ৪০ ওয়াটের বাতি রাতে মাত্র দুই ঘণ্টা চালালে মাসে বিল হবে ৬০ ওয়াট। তাহলে দেশের জনগণের কোন ব্যক্তিটি এই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে তা জনমনে বিরাট প্রশ্ন।

সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে অব্যাহত লুটতরাজ বন্ধ করলেই এই গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোনো প্রয়োজন ছিল না বলেই দেশের সাবেক সংসদ সদস্যরা মনে করেন। তাই দেশ ও জনগণের বাঁচা মরার স্বার্থে অবিলম্বে এই জনস্বার্থবিরোধী ও জনগণের ভোগান্তি দূর করার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতের যেকোনো ধরনের মূল্য বৃদ্ধি অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিহত করতে বৃহত্তর আন্দোলনে করতে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

আশা করি সরকার জনগণের স্বার্থ ও ভোগান্তি বিবেচনা করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির জনস্বার্থবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

সেই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধের আন্দোলনে বিএনপির যেসব সংসদ সদস্য ভাইয়েরা ঘরে চুপচাপ বসে আছেন তাদের সবাইকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাছি। এই আন্দোলন জনগণের জন্য। এই আন্দোলনে না এসে ঘরে বসে থাকা হবে চরম হঠকারিতা। কারো ডাকের অপেক্ষায় না থেকে নিজে থেকেই বেরিয়ে আসার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের। অনেকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। ওনাদের ইতিবাচক সাড়া দেখে এই স্ট্যাটাস দিতে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার মনে হয় সময় এসেছে জনগণের সামনে প্রমাণ করার, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। অনেকে এই আন্দোলন করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করার আগ্রহও দেখিয়েছেন। আমি তাদের এই ত্যাগী মনোভাবকে শ্রদ্ধা করি। তাই আবারও মনে করাতে ইচ্ছা করবে “আসিতেছে শুভ দিন, দিন দিনে বাড়িয়াছে দেনা, শোধিতে হইবে ঋণ।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রতিবাদ না করলে জনগণের ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে

আপডেট টাইম : ১০:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৫

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিলে জনগণের ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে। সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ গ্যাসের মূল্য বাড়িয়েছে এবং বিদ্যুতের মূল্য আপাতত ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধি যদি বিনা প্রতিবাদে ও নীরবে জনগণ মেনে নেয় তাহলে কিছুদিন পরে আবার আরও অধিক হারে বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। তখন সরকার যুক্তি দেখাবে ২৬.২৯% হারে গ্যাসের দাম বাড়াতে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয়ও আনুপাতিক হারে বেড়ে গিয়েছে। তাই তখন আবার সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেবে। আজকে এই মুহূর্তে আমাদের সবাইকে এই অহেতুক গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি চরম ত্যাগ স্বীকার করে হলেও রুখতে হবে।

সরকার বলছে ৫০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করবে না। এটি সরকারের একটি নির্লজ্জ ধোঁকাবাজি। কারণ একটি ৪০ ওয়াটের বাতি রাতে মাত্র দুই ঘণ্টা চালালে মাসে বিল হবে ৬০ ওয়াট। তাহলে দেশের জনগণের কোন ব্যক্তিটি এই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে তা জনমনে বিরাট প্রশ্ন।

সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে অব্যাহত লুটতরাজ বন্ধ করলেই এই গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোনো প্রয়োজন ছিল না বলেই দেশের সাবেক সংসদ সদস্যরা মনে করেন। তাই দেশ ও জনগণের বাঁচা মরার স্বার্থে অবিলম্বে এই জনস্বার্থবিরোধী ও জনগণের ভোগান্তি দূর করার জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতের যেকোনো ধরনের মূল্য বৃদ্ধি অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিহত করতে বৃহত্তর আন্দোলনে করতে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

আশা করি সরকার জনগণের স্বার্থ ও ভোগান্তি বিবেচনা করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির জনস্বার্থবিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

সেই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধের আন্দোলনে বিএনপির যেসব সংসদ সদস্য ভাইয়েরা ঘরে চুপচাপ বসে আছেন তাদের সবাইকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাছি। এই আন্দোলন জনগণের জন্য। এই আন্দোলনে না এসে ঘরে বসে থাকা হবে চরম হঠকারিতা। কারো ডাকের অপেক্ষায় না থেকে নিজে থেকেই বেরিয়ে আসার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের। অনেকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। ওনাদের ইতিবাচক সাড়া দেখে এই স্ট্যাটাস দিতে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার মনে হয় সময় এসেছে জনগণের সামনে প্রমাণ করার, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। অনেকে এই আন্দোলন করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করার আগ্রহও দেখিয়েছেন। আমি তাদের এই ত্যাগী মনোভাবকে শ্রদ্ধা করি। তাই আবারও মনে করাতে ইচ্ছা করবে “আসিতেছে শুভ দিন, দিন দিনে বাড়িয়াছে দেনা, শোধিতে হইবে ঋণ।”