হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য আগামীকাল বুধবার (১ নভেম্বর)চারদিনের সফরে ঢাকা আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী সাইমন হ্যানশো। মিয়ানমার সফর শেষে বাংলাদেশে আসছে এই মার্কিন দলটি।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক ও মানবাধিকারের সংকট ও এর সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দলটি। ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী সাইমন হ্যানশো ছাড়াও দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মার্কিন পররাষ্ট্র দফপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী মন্ত্রী টম ভাজদা এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক প্যাট্রিসিয়া মাহনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবে।
বাংলাদেশ সফরের সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, দাতা ও মানবিক ত্রাণ সহায়তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার মতো সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করবেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের বক্তব্য শোনা ছাড়াও জরুরি মানবিক সহায়তার প্রভাব পর্যালোচনা ও সহযোগিতার ঘাটতি চিহ্নিত করবেন। একইসঙ্গে এসব পরিস্থিতি উন্নয়নে পরামর্শও দেবেন।
মার্কিন প্রতিনিধি দলটির এশিয়া সফর শুরু হয়েছে গত রোববার থেকে। বর্তমানে তারা মিয়ানমার সফরে রয়েছে। মিয়ানমারে তিনদিনের সফরে প্রতিনিধি দলটির কূটনীতিক সম্প্রদায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও এনজিও অংশীদারদের সঙ্গে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।
একইসঙ্গে রাখাইনে তারা শর্তহীনভাবে ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি চাইবেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সসম্মানে ও নিরাপদে রাখাইনে প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করবেন।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতনের মুখে ভিটামাটি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এ পর্যন্ত কক্সবাজারে গড়ে ওঠা উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এ ঘটনায় ইয়াংগুন সরকারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী হত্যার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো।