ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত অতিথি পাখির আগমন করছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ৪৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একটু একটু কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতের শেষ বেলায়ও শীত পড়ছে বেশ। সকাল বেলা পথ হাঁটতেই পায়ে লাগছে শিশির কণা। কুয়াশার চাদর পরে নামছে শীত। চারিদিকে শীতের আনাগোনা। প্রকৃতির যখন এ অবস্থা ঠিক তখনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শীত একটু আগেই এসেছে। আর সেই সাথে আসতে শুরু করেছে হাজার হাজার অতিথি পাখি। অতিথি পাখিদের অন্যতম আশ্রয়স্থল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জলাশয়। ইতোমধ্যে স্থানগুলো অতিথি পাখিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। পাখি দেখতে ক্যাম্পাসে ভীড় করতে শুরু করেছে অনেক পাখিপ্রেমী।

ক্যাম্পাসের ছোট ও বড় আকারের জলজ পদ্ম সুশোভিত জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। কুয়াশাচ্ছন্ন ও শীতের আবহাওয়ায় সবুজে সুশোভিত বিশাল এই এলাকা অতিথি পাখিদের কলরব পাখিপ্রেমী দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলছে।

সাধারণত হিমালয়ের উত্তরের দেশ সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে এ সময়টায় প্রচুর তুষারপাত হয়। এ তুষারপাতে পাখিরা মানিয়ে নিতে না পেরে বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। শীতের শুরু আসে তারা আবার শীত চলে গেলে তারাও চলে যায় তাদের আপন ঠিকানায়। জাবির এ আঙিনায় যেসব অতিথি পাখি আসছে তার মধ্যে অন্যতম- সরালী, পিচার্ড, গার্গেনি, মুরগ্যাধি, মানিকজোড়, কলাই, নাকতা, জলপিপি, ফ্লাইপেচার, কোম্বডাক, পাতারি, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ গেট (ডেইরি গেই) দিয়ে পা রাখলেই মনে হবে এ যেন এক সবুজে ঘেরা প্রকৃতির অপরুপ লীলাভুমি। একটু সামনে আসলেই চোখে নজরে আসবে জলাশয়। যাতে ফুটে আছে অসংখ্য লাল শাপলা। তারপর শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে ডান দিকে একটু সামনে গেলেই চোখে পড়বে রাস্তার দুপাশের জলাশয়গুলোতে ফুটে থাকা লাল শাপলা। আর তাতে খেলা করছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অতিথি পাখিরা। তারা কখনো উড়ছে, কখনো ডুব দিচ্ছে, আবার কখনো চুপ মেরে বসে আছে।

ষড়ঋতুর এই দেশে শীত আসছে উৎসবের আমেজে। আর সে উৎসবটা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে জাবি ক্যাম্পাসে একটু বেশিই। এখন অতিথি পাখির কল-কাকলিতে ঘুম ভাঙছে শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসে ছোট-বড় ১২-১৫টি জলাশয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি জলাশয়ে অতিথি পাখি বেশি বসে। এবারও প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন লেক, বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশে ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের লেক এবং সুইমিং পুল সংলগ্ন সবচেয়ে বড় লেকে এরই মধ্যে পাখিরা আসতে শুরু করেছে। এই লেকগুলোকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ অতিথিদেরকে স্বাগত জানাতে নতুন রূপে সেজেছে জাবির জলাশয়গুলো। অসংখ্য রক্তিম ফুটন্ত লাল শাপলার সৌন্দর্যে মন মাতানো রূপ ধারণ করেছে জাবি ক্যাম্পাস। দূর থেকে তাকালেই প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। যে কারো নজর কাড়বে এ দৃশ্য। শহরের ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবন আর ইট পাথরে ঘেরা ধুলাবালি থেকে হাফ ছেড়ে বাচঁতে ইতিমধ্যে অসংখ্য দর্শণার্থী ভিড় করছে ক্যাম্পাসে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভুলে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার

জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত অতিথি পাখির আগমন করছে

আপডেট টাইম : ০৮:১৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একটু একটু কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতের শেষ বেলায়ও শীত পড়ছে বেশ। সকাল বেলা পথ হাঁটতেই পায়ে লাগছে শিশির কণা। কুয়াশার চাদর পরে নামছে শীত। চারিদিকে শীতের আনাগোনা। প্রকৃতির যখন এ অবস্থা ঠিক তখনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শীত একটু আগেই এসেছে। আর সেই সাথে আসতে শুরু করেছে হাজার হাজার অতিথি পাখি। অতিথি পাখিদের অন্যতম আশ্রয়স্থল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জলাশয়। ইতোমধ্যে স্থানগুলো অতিথি পাখিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। পাখি দেখতে ক্যাম্পাসে ভীড় করতে শুরু করেছে অনেক পাখিপ্রেমী।

ক্যাম্পাসের ছোট ও বড় আকারের জলজ পদ্ম সুশোভিত জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। কুয়াশাচ্ছন্ন ও শীতের আবহাওয়ায় সবুজে সুশোভিত বিশাল এই এলাকা অতিথি পাখিদের কলরব পাখিপ্রেমী দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলছে।

সাধারণত হিমালয়ের উত্তরের দেশ সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে এ সময়টায় প্রচুর তুষারপাত হয়। এ তুষারপাতে পাখিরা মানিয়ে নিতে না পেরে বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। শীতের শুরু আসে তারা আবার শীত চলে গেলে তারাও চলে যায় তাদের আপন ঠিকানায়। জাবির এ আঙিনায় যেসব অতিথি পাখি আসছে তার মধ্যে অন্যতম- সরালী, পিচার্ড, গার্গেনি, মুরগ্যাধি, মানিকজোড়, কলাই, নাকতা, জলপিপি, ফ্লাইপেচার, কোম্বডাক, পাতারি, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ গেট (ডেইরি গেই) দিয়ে পা রাখলেই মনে হবে এ যেন এক সবুজে ঘেরা প্রকৃতির অপরুপ লীলাভুমি। একটু সামনে আসলেই চোখে নজরে আসবে জলাশয়। যাতে ফুটে আছে অসংখ্য লাল শাপলা। তারপর শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে ডান দিকে একটু সামনে গেলেই চোখে পড়বে রাস্তার দুপাশের জলাশয়গুলোতে ফুটে থাকা লাল শাপলা। আর তাতে খেলা করছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অতিথি পাখিরা। তারা কখনো উড়ছে, কখনো ডুব দিচ্ছে, আবার কখনো চুপ মেরে বসে আছে।

ষড়ঋতুর এই দেশে শীত আসছে উৎসবের আমেজে। আর সে উৎসবটা অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে জাবি ক্যাম্পাসে একটু বেশিই। এখন অতিথি পাখির কল-কাকলিতে ঘুম ভাঙছে শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসে ছোট-বড় ১২-১৫টি জলাশয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি জলাশয়ে অতিথি পাখি বেশি বসে। এবারও প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন লেক, বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশে ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের লেক এবং সুইমিং পুল সংলগ্ন সবচেয়ে বড় লেকে এরই মধ্যে পাখিরা আসতে শুরু করেছে। এই লেকগুলোকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ অতিথিদেরকে স্বাগত জানাতে নতুন রূপে সেজেছে জাবির জলাশয়গুলো। অসংখ্য রক্তিম ফুটন্ত লাল শাপলার সৌন্দর্যে মন মাতানো রূপ ধারণ করেছে জাবি ক্যাম্পাস। দূর থেকে তাকালেই প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। যে কারো নজর কাড়বে এ দৃশ্য। শহরের ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবন আর ইট পাথরে ঘেরা ধুলাবালি থেকে হাফ ছেড়ে বাচঁতে ইতিমধ্যে অসংখ্য দর্শণার্থী ভিড় করছে ক্যাম্পাসে।