বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বইলেছেন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর প্রমুখ।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শেখ মুজিব হত্যার জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দায়ী করা হচ্ছে। অথচ হত্যার দিন আমি জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়ে দেখেছি তিনি তখন সেভ করছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয় সংসদে মোশতাক সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান যাননি। কোনো ধরনের লুটপাট করে তার ইউনিফর্মের সম্মান তিনি নষ্ট করেননি।
তথ্যপ্রযুক্তির আইনে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধারা মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থী, গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ধারাটি মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করে নেয়। তাই অবিলম্বে এই ধারা বাতিল করতে হবে।
সরকারের কর্মকাণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেশমাত্র নেই দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৭২ থেকে ‘৭৫ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির বক্তব্যের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা খুঁজে পাওয়া যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যারা কেবল নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য অন্যের চরিত্র হরণ করে। এদের কারণেই দেশ পিছিয়ে পড়ছে।