ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারা বাতিলে আইনি নোটিশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৫
  • ৬০৬ বার

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার চেয়ে চার সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ। বুধবার সকালে এই নোটিশ পাঠানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে এই ধারা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করবেন তিনি।
বুধবার আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানিয়েছেন, সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব ও তথ্য সচিবকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দুইটি ধারা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে নাগরিকের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওা হয়েছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধানের এই অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক ফর্মে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করলে তিনি অনধিক ১৪ বছর ও কমপক্ষে ৭ বছর এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে ৮৬ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইন বা বিধির অধীনে সরল বিশ্বাসে করা কোনো কাজের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এজন্য সরকার, নিয়ন্ত্রক, উপনিয়ন্ত্রক, সহকারী নিয়ন্ত্রক বা তাদের পক্ষে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম নেয়া যাবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারা বাতিলে আইনি নোটিশ

আপডেট টাইম : ১১:০০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৫

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারা বাতিল বা প্রত্যাহার চেয়ে চার সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ। বুধবার সকালে এই নোটিশ পাঠানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে এই ধারা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করবেন তিনি।
বুধবার আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানিয়েছেন, সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব ও তথ্য সচিবকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দুইটি ধারা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে নাগরিকের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওা হয়েছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধানের এই অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক ফর্মে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করলে তিনি অনধিক ১৪ বছর ও কমপক্ষে ৭ বছর এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে ৮৬ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইন বা বিধির অধীনে সরল বিশ্বাসে করা কোনো কাজের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এজন্য সরকার, নিয়ন্ত্রক, উপনিয়ন্ত্রক, সহকারী নিয়ন্ত্রক বা তাদের পক্ষে কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম নেয়া যাবে না।