ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

করলায় ফলনে ভাগ্য খুলেছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
  • ৩৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করলার বাম্পার ফলনে ভাগ্য খুলেছে শেরপুরের নকলা উপজেলার কমপক্ষে শতাধিক পরিবারের। এ সবজি চাষের মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভশীলতার পথ খুঁজে পেয়েছেন তারা। তাদের ভাগ্য খুলেছে, পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা, হয়েছে দিন বদল। তাদের উৎপাদিত করলার মান ভালো হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে করলা বিক্রি করে অনেকেই লাখপতি হয়েছেন। লাভ বেশি হওয়ায় উপজেলায় করলা চাষি ও চাষের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে চরঅষ্টধর, বানেশ্বরদী, টালকী, গৌড়দ্বার, পাঠাকাটা, চন্দ্রকোনা, গণপদ্দী, নকলা, উরফা ইউনিয়নে করলা চাষ হলেও চরঅষ্টধর, বানেশ্বরদী, গৌড়দ্বার, পাঠাকাটা, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নেই বেশি আবাদ করা হয়েছে।

করলার আবাদ করে ভাগ্য পরিবর্তনকারীদের মধ্যে একজন হলেন বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ছাল্লাতুলা এলাকার হাবিবুর রহমান।দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়ায় বেশি লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি তার। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত না হতে পারলেও সবজি চাষে তিনি মডেলে পরিণত হয়েছেন; বিশেষ করে করলা চাষে তিনি চমক দেখিয়েছেন। হাবিবুর ৩ বছর আগে প্রথমে অন্যের ৫ শতক বর্গা জমিতে করলাসহ শাকসবজি চাষ করে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর বর্গা জমির পরিমাণ বাড়িয়ে লাভবান হতে থাকেন। এরই মধ্যে করলা বিক্রি করেই তিনি লাখপতি হয়েছেন। হাবিবুরের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক করলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। করলা আবাদ হয় অল্প সময়ে। ব্যয় ও ঝামেলাও কম; কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় কৃষক অন্য আবাদ করা বাদ দিয়ে করলা চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে উপজেলায় দুই শতাধিক কৃষক মাচা ও বিছান পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে করলা চাষ শুরু করছেন।

সরেজমিন ছোট মোজারের কৃষক ফেরদৌস, আরফোজ ও মানিক; বানেশ্বরদীর হাসমত, সোহাগ, কেনু ও কাজল; কান্দাপাড়ার আজিজুল, গেন্দা মিয়া, ফরিদ, ফরহাদ ও ফারুক; ধুকুড়িয়ার হাশেম, হারুন ও নজরুল; বাছুর আলগার মোক্তার, আজিম ও মোকসেদ মাস্টার; ছালাতুল্লার মজনু, মোতালেব, ফোরকান, তমিজ উদ্দিন, ফয়সাল, আলীনাপাড়ার আনারুল, মিনারুল, ছাইদুল, মোসলেম উদ্দিন, হালিম, আবদুর রশিদ ও মান্নান; ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সদস্য কৃষানি তাহমিনা, কৃষক জবদুল, রায়হান, ছাইয়েদুল ও মোকলেছুর রহমানসহ অনেকে জানান, অন্য যে কোনো শাকসবজি বা শস্যের তুলনায় করলায় লাভ বেশি হয়। তাই আগামীতে চাষ উপযোগী জমিতে করলা চাষ বাড়াবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, নকলার মাটি করলা চাষের উপযোগী এবং করলা চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর উপজেলায় করলা চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একবার রোপণ করলে এক মাচা থেকে ৪৫ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষককে প্রয়োজনীয় বীজ, সার, উৎসাহ, পরামর্শ, সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণসহ প্রণোদনা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

করলায় ফলনে ভাগ্য খুলেছে

আপডেট টাইম : ০৪:১৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করলার বাম্পার ফলনে ভাগ্য খুলেছে শেরপুরের নকলা উপজেলার কমপক্ষে শতাধিক পরিবারের। এ সবজি চাষের মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভশীলতার পথ খুঁজে পেয়েছেন তারা। তাদের ভাগ্য খুলেছে, পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা, হয়েছে দিন বদল। তাদের উৎপাদিত করলার মান ভালো হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে করলা বিক্রি করে অনেকেই লাখপতি হয়েছেন। লাভ বেশি হওয়ায় উপজেলায় করলা চাষি ও চাষের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে চরঅষ্টধর, বানেশ্বরদী, টালকী, গৌড়দ্বার, পাঠাকাটা, চন্দ্রকোনা, গণপদ্দী, নকলা, উরফা ইউনিয়নে করলা চাষ হলেও চরঅষ্টধর, বানেশ্বরদী, গৌড়দ্বার, পাঠাকাটা, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নেই বেশি আবাদ করা হয়েছে।

করলার আবাদ করে ভাগ্য পরিবর্তনকারীদের মধ্যে একজন হলেন বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ছাল্লাতুলা এলাকার হাবিবুর রহমান।দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়ায় বেশি লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি তার। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত না হতে পারলেও সবজি চাষে তিনি মডেলে পরিণত হয়েছেন; বিশেষ করে করলা চাষে তিনি চমক দেখিয়েছেন। হাবিবুর ৩ বছর আগে প্রথমে অন্যের ৫ শতক বর্গা জমিতে করলাসহ শাকসবজি চাষ করে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর বর্গা জমির পরিমাণ বাড়িয়ে লাভবান হতে থাকেন। এরই মধ্যে করলা বিক্রি করেই তিনি লাখপতি হয়েছেন। হাবিবুরের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক করলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। করলা আবাদ হয় অল্প সময়ে। ব্যয় ও ঝামেলাও কম; কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় কৃষক অন্য আবাদ করা বাদ দিয়ে করলা চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে উপজেলায় দুই শতাধিক কৃষক মাচা ও বিছান পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে করলা চাষ শুরু করছেন।

সরেজমিন ছোট মোজারের কৃষক ফেরদৌস, আরফোজ ও মানিক; বানেশ্বরদীর হাসমত, সোহাগ, কেনু ও কাজল; কান্দাপাড়ার আজিজুল, গেন্দা মিয়া, ফরিদ, ফরহাদ ও ফারুক; ধুকুড়িয়ার হাশেম, হারুন ও নজরুল; বাছুর আলগার মোক্তার, আজিম ও মোকসেদ মাস্টার; ছালাতুল্লার মজনু, মোতালেব, ফোরকান, তমিজ উদ্দিন, ফয়সাল, আলীনাপাড়ার আনারুল, মিনারুল, ছাইদুল, মোসলেম উদ্দিন, হালিম, আবদুর রশিদ ও মান্নান; ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সদস্য কৃষানি তাহমিনা, কৃষক জবদুল, রায়হান, ছাইয়েদুল ও মোকলেছুর রহমানসহ অনেকে জানান, অন্য যে কোনো শাকসবজি বা শস্যের তুলনায় করলায় লাভ বেশি হয়। তাই আগামীতে চাষ উপযোগী জমিতে করলা চাষ বাড়াবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, নকলার মাটি করলা চাষের উপযোগী এবং করলা চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর উপজেলায় করলা চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একবার রোপণ করলে এক মাচা থেকে ৪৫ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষককে প্রয়োজনীয় বীজ, সার, উৎসাহ, পরামর্শ, সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণসহ প্রণোদনা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হয়।