ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইবার অপরাধ দমনে আসছে নতুন আইন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৫৫ বার

সরকার সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরেকটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন এই নতুন আইনের নাম হবে ‘ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি এ্যক্ট’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে এই আইনটির খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বৈঠক এবং কমিটি গঠনের কাজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক একটি আইন নিয়ে যখন বিস্তর বিতর্ক চলছে তখন আরো বিস্তারিত একটি আইন প্রনয়নের এই উদ্যোগ নেয়া হলো।

প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, কিভাবে শিশু-কিশোরদের সাইবার ক্রাইম থেকে প্রতিরোধ করা যায় সেটা যেমন এই আইনে থাকবে, তেমনি থাকবে আরও নানা ধরণের সাইবার অপরাধ দমনে শাস্তির ব্যবস্থা। যেমন মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে বাংলাদেশে। কিন্তু এক্ষেত্রে ক্লোনিং, ফিশিং এর মাধ্যমে নানা প্রতারণা হচ্ছে। সেগুলোও এই আইনের আওতায় আসবে।

বাংলাদেশে যেখানে বর্তমান আইসিটি আইনের ধারায় সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেখানে নতুন আরেকটি আইনের প্রয়োজন কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় কেবল কারও সন্মানহানি হলে, রাষ্ট্র বা সমাজবিরোধী কোন তৎপরতা হলে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রতারণা বা অন্য অপরাধ, যেমন এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালাতে পারে, সে ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে কোন বিধান ছিল না।

এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, বর্তমান আইসিটি আইনের যে ৫৭ ধারাটি নিয়ে সমালোচনা চলছে, সেই সমালোচনা কতটা যৌক্তিক, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাইবার অপরাধ দমনে আসছে নতুন আইন

আপডেট টাইম : ১০:১০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৫

সরকার সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরেকটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন এই নতুন আইনের নাম হবে ‘ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি এ্যক্ট’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে এই আইনটির খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বৈঠক এবং কমিটি গঠনের কাজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক একটি আইন নিয়ে যখন বিস্তর বিতর্ক চলছে তখন আরো বিস্তারিত একটি আইন প্রনয়নের এই উদ্যোগ নেয়া হলো।

প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, কিভাবে শিশু-কিশোরদের সাইবার ক্রাইম থেকে প্রতিরোধ করা যায় সেটা যেমন এই আইনে থাকবে, তেমনি থাকবে আরও নানা ধরণের সাইবার অপরাধ দমনে শাস্তির ব্যবস্থা। যেমন মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে বাংলাদেশে। কিন্তু এক্ষেত্রে ক্লোনিং, ফিশিং এর মাধ্যমে নানা প্রতারণা হচ্ছে। সেগুলোও এই আইনের আওতায় আসবে।

বাংলাদেশে যেখানে বর্তমান আইসিটি আইনের ধারায় সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেখানে নতুন আরেকটি আইনের প্রয়োজন কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় কেবল কারও সন্মানহানি হলে, রাষ্ট্র বা সমাজবিরোধী কোন তৎপরতা হলে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রতারণা বা অন্য অপরাধ, যেমন এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালাতে পারে, সে ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে কোন বিধান ছিল না।

এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, বর্তমান আইসিটি আইনের যে ৫৭ ধারাটি নিয়ে সমালোচনা চলছে, সেই সমালোচনা কতটা যৌক্তিক, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।