ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর বাসায় গিয়ে কেউ কিছু না খেয়ে আসতে পারতেন না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৭৮ বার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কেউ গেছেন, কিন্তু কিছু না খেয়েই চলে এসেছেন- এমন কখনও হয়নি। বিশেষ করে তিনি কবি-সাহিত্যিকদের খুবই কদর করতেন, বুকে জড়িয়ে ধরতেন। এত বড় মাপের রাজনীতিক বলেই তার মধ্যে এই গুণাবলী ছিল। আর এ কারণেই তিনি বাঙালি জাতির পিতা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আয়োজিত কবিতা উৎসবে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জাতীয় কবিতা পরিষদ- জাবি শাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে দিনব্যপী এই কবিতা উৎসবের আয়োজন করে।

জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দিনব্যাপী ওই কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করেন। উৎসবে দেশের স্বনামধন্য কবিরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সৈয়দ শামসুল হক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা স্মৃতিচারণ করেন।

স্মৃতিচারণের একপর্যায়ে তিনি বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের গলায় ক্যানসার হলে বঙ্গবন্ধু তাকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠান। সেখানে একজন বাঙালি চিকিৎসককে দেখে জয়নুল আবেদীন অবাক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সে কথা জানতে পেরে বলেছিলেন ‘একদিন বাঙালিরাই পুরো পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে’। কিন্তু কিছু বিপথগামী এই মহান নেতার নেতৃত্ব থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছে।

সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হননি। বঙ্গবন্ধু আত্মদান করেছেন। তার আত্মদান এদেশের মানুষ চিরদিন ম্মরণ করবে।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আবেগ থেকে চিন্তার স্বাধীনতা আসে। প্রাণের আবেগের সঙ্গে যুক্তির প্রাধান্য থাকলে বড় ধরনের ঘটনার জন্ম হয়। বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রামে আবেগ এবং যুক্তি ছিল।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়ের এবং রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি নুরুল হুদা, কাজী রোজী, অসীম সাহা, মুহাম্মদ সামাদ, আসলাম সানী, অঞ্জনা সাহা, আনিস মুহাম্মদ, পিয়াস মজিদ, সালাম সাকলাইন প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি ড. খালেদ হোসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল আজাদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বঙ্গবন্ধুর বাসায় গিয়ে কেউ কিছু না খেয়ে আসতে পারতেন না

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৫

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কেউ গেছেন, কিন্তু কিছু না খেয়েই চলে এসেছেন- এমন কখনও হয়নি। বিশেষ করে তিনি কবি-সাহিত্যিকদের খুবই কদর করতেন, বুকে জড়িয়ে ধরতেন। এত বড় মাপের রাজনীতিক বলেই তার মধ্যে এই গুণাবলী ছিল। আর এ কারণেই তিনি বাঙালি জাতির পিতা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আয়োজিত কবিতা উৎসবে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জাতীয় কবিতা পরিষদ- জাবি শাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে দিনব্যপী এই কবিতা উৎসবের আয়োজন করে।

জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দিনব্যাপী ওই কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করেন। উৎসবে দেশের স্বনামধন্য কবিরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সৈয়দ শামসুল হক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা স্মৃতিচারণ করেন।

স্মৃতিচারণের একপর্যায়ে তিনি বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের গলায় ক্যানসার হলে বঙ্গবন্ধু তাকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠান। সেখানে একজন বাঙালি চিকিৎসককে দেখে জয়নুল আবেদীন অবাক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সে কথা জানতে পেরে বলেছিলেন ‘একদিন বাঙালিরাই পুরো পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে’। কিন্তু কিছু বিপথগামী এই মহান নেতার নেতৃত্ব থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছে।

সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হননি। বঙ্গবন্ধু আত্মদান করেছেন। তার আত্মদান এদেশের মানুষ চিরদিন ম্মরণ করবে।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আবেগ থেকে চিন্তার স্বাধীনতা আসে। প্রাণের আবেগের সঙ্গে যুক্তির প্রাধান্য থাকলে বড় ধরনের ঘটনার জন্ম হয়। বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রামে আবেগ এবং যুক্তি ছিল।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়ের এবং রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি নুরুল হুদা, কাজী রোজী, অসীম সাহা, মুহাম্মদ সামাদ, আসলাম সানী, অঞ্জনা সাহা, আনিস মুহাম্মদ, পিয়াস মজিদ, সালাম সাকলাইন প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি ড. খালেদ হোসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল আজাদ।