হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রোপা আমন ধানে ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। যেন মরার ওপর খাড়া ঘা’র মত অবস্থা।
গেল বন্যায় এ উপজেলায় কৃষকের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। আর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতেই নতুন করে ধান লাগানোর পর সেগুলোতে আবার ব্লাষ্ট রোগের প্রভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ধানের পাতা মরে যাচ্ছে। কেউ বলছে ধানের গোড়া পচে যাচ্ছে। লাগানো পাইজান, ৪৯, স্বর্না-৫, ২২, বিানা-৭ ও ৩৪ জাতের সহ সব ধানই এখন এ রোগে আক্রান্ত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তালম, বারুহাস, দেশীগ্রাম ও মাধাইনগর ইউনিয়নের প্রায় ২শত বিঘা জমিতে পাতা পচন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ক্রমেই এ রোগে আক্রান্ত অনেকের ধানী জমিতে।
তবে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় মাত্র ৩শত বিঘা জমির ধানের খেতে ব্যাকটরিয়া জনিত বিএলপি (ব্যাকসিডিয়াল লিফ ব্রাইট) বা পাতা পচন রোগ ধরেছে।
গত কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হওয়ার পর যারা ক্ষেতে সার দিয়েছে ও যে ধানক্ষেত গাছের ছায়ার নীচে সে সব ক্ষেতে এ সমস্যা হয়েছে। প্রতি ৫ শতাংশে ৬০ গ্রাম সালফার ও ৬০ গ্রাম পটাশ দিলে সেরে যাবে বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর ক্ষতি পুশিয়ে উঠতে ৬০ বিঘা জমিতে স্বর্না-৫, ২২, বিনা-৭ ও ৩৪ জাতের ধান লাগিয়েছেন। কিন্ত গত ৪/৫ হলো ৪০ বিঘা জমিতে পাতা মরা রোগ হয়ে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রতিবিঘা জমিতে বিভিন্ন বালাইনাশক কীটনাশকসহ ৫ কেজি ইউরিয়া সার, ১ কেজি দানাদার ও ১ কেজি করে থিয়োভিট দিচ্ছেন।
দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কুমাল্ল গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানিয়েছেন, তাদের মাঠে অনেকের জমিতে এ পোকার আক্রমন হয়েছে। তার নিজেও ২ বিঘা জমিতে বিনা-৭ ধান লাগিয়েছিলেন দুবিঘাতেই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাড়াশ উপজেলার জমির ধানে পাতা ও গোড়া পচন রোগে ধরেছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ রোগে ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার সর্বত্র।