ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছেন আজ তাদের অনেক বড় জায়গায় দেখি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৫
  • ২৯০ বার

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, একসময় এক ব্যক্তি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন। আরও অনেকে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আজ তাদের আমরা অনেক বড় জায়গায় দেখি। ধিক বাংলাদেশ, ধিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু-সমতা-সা¤্রাজ্যবাদ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গ্রন্থের লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত। মুক্তবুদ্ধি প্রকাশনা গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে জনগণের তুলনায় বিচারক সংকট রয়েছে উল্লেখ করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, আমাদের দেশে প্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক রয়েছে। অথচ আমেরিকায় প্রতি ২০ হাজারে একজন। পূর্বে ভারতে এই সংখ্যা ছিল ৮০ হাজারে একজন। সম্প্রতি তারা টার্গেট নিয়ে সেই সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে এনেছে। এখন ভারতে ৬৭ হাজারে একজন বিচারক রয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে কোন টার্গেটই নেই। যদিও আশার কথা অনেক মামলার চাপ নিয়েও বিচারকরা জনগণের সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে ড. মিজানুর রহমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৩২ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ৪০ ভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন। যে ব্যক্তি সারা জীবন এই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছে, সেই দেশের মানুষেরা যদি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা না দেখায় তাদের আপনি কি বলবেন? বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে এতদিনে এই দেশ সোনার বাংলা হয়ে যেত। বঙ্গবন্ধুর ছবি যত্রতত্র ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সম্প্রতি কলাবাগানের একটি শোক সভা শেষে বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ করা হয়। সেই বিরিয়ানির প্যাকেটে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগানো হয়েছে। নির্লজ্জের বাংলাদেশ। তিনি বলেন, যারা শোক সভায় বক্তৃতা করছেন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধু যাদের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, সেই খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নি।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যারা বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছেন আজ তাদের অনেক বড় জায়গায় দেখি

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৫

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, একসময় এক ব্যক্তি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবেন। আরও অনেকে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আজ তাদের আমরা অনেক বড় জায়গায় দেখি। ধিক বাংলাদেশ, ধিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু-সমতা-সা¤্রাজ্যবাদ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গ্রন্থের লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত। মুক্তবুদ্ধি প্রকাশনা গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে জনগণের তুলনায় বিচারক সংকট রয়েছে উল্লেখ করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, আমাদের দেশে প্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক রয়েছে। অথচ আমেরিকায় প্রতি ২০ হাজারে একজন। পূর্বে ভারতে এই সংখ্যা ছিল ৮০ হাজারে একজন। সম্প্রতি তারা টার্গেট নিয়ে সেই সংখ্যা কিছুটা কমিয়ে এনেছে। এখন ভারতে ৬৭ হাজারে একজন বিচারক রয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে কোন টার্গেটই নেই। যদিও আশার কথা অনেক মামলার চাপ নিয়েও বিচারকরা জনগণের সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে ড. মিজানুর রহমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৩২ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ৪০ ভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন। যে ব্যক্তি সারা জীবন এই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছে, সেই দেশের মানুষেরা যদি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা না দেখায় তাদের আপনি কি বলবেন? বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে এতদিনে এই দেশ সোনার বাংলা হয়ে যেত। বঙ্গবন্ধুর ছবি যত্রতত্র ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সম্প্রতি কলাবাগানের একটি শোক সভা শেষে বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ করা হয়। সেই বিরিয়ানির প্যাকেটে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগানো হয়েছে। নির্লজ্জের বাংলাদেশ। তিনি বলেন, যারা শোক সভায় বক্তৃতা করছেন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধু যাদের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, সেই খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নি।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম প্রমুখ।