বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেছেন, ‘বিএনপি এখনো আছে। ইনশা আল্লাহ আমরা থাকব। আমরা ইলেকশন করিনি বলে শেষ হয়ে যাইনি। গণতন্ত্র সাময়িকভাবে চলে যেতে পারে, অতীতে আমরাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। বিএনপি যতদিন আছে, দেশে গণতন্ত্র আসবে। আমরাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ১৬তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদ এ আলোচনার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘বিএনপিতে সালাম তালুকদারের মতো লোক আছে। আমরা তার মতো মহাসচিব তৈরি করব। দেশে গণতন্ত্র আসবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে না।’
তিনি এ সময় সালাম তালুকদারের জীবনীর ওপর বিশদ আলোচনা করেন। এ ছাড়া আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সালাম তালুকদার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের ৭ দলীয় জোটের সমন্বয়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একই ভাবে এই ভোটারবিহীন সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে পেলেও আজ গণতন্ত্র অনুপস্থিত। গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে কোনো জবাবদিহিতা নেই। সে জন্য ক্রমবর্ধমান হারে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং খুন বেড়েইে চলেছে। এই অবস্থায় জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে চলমান আন্দোলন জোরদার করতে হবে।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্র টিকে না থাকলে রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। রক্ত দিয়ে যে গণতন্ত্র এলো, অথচ সেই গণতন্ত্র এখন মুক্তির জন্য চিৎকার করছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য তালিকার প্রধান খাদ্য গণতন্ত্র। এটি ছাড়া অন্য কোনো খাদ্যে তার আসক্তি নেই।’
সালাম তালুকদারের স্মৃতিচারণ করে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সালাম তালুকদার বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় গঠন করা ৭ দলীয় জোটের সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেননি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ এস এম আবদুল হালিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, যুববিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী মনি প্রমুখ।
আবদুস সালাম তালুকদারের স্ত্রী মাহমুদা সালাম এবং তার জামাতা এম এ হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।