ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুপুরের খাবার কেমন উচিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৭
  • ৩০৯ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ সকালের নাস্তা আর রাতের খাবারে কী খাওয়া উচিত তা নিয়ে সচেতন অনেকেই। অথচ ভাবা দরকার দুপুরের খাবার নিয়েও।
দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম থাকা ভালো। তবে এর মানে এই নয় যে কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দেবেন, তবে পাশাপাশি প্রোটিনও খেতে হবে।
ক্ষুধা পর্যন্ত অপেক্ষা করা : দুপুরে ক্ষুধাকে পূর্ণতা পেতে দিতে হবে। কম খিদে নিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দুপুরের খাবারের একটি সময় স্থির থাকা ভালো এবং সেই নির্দিষ্ট সময়েই খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
রেস্তোরাঁকে না বলুন : দুপুরের খাবারটা রেস্তোরাঁয় সেরে নিতে চায় বেশীরভাগ মানুষ। রেস্তোরাঁ থেকে যতই স্বাস্থকর সালাদ, সুপ অর্ডার করা হোক না কেনো ভুলে গেলে চলবে না, এতে আছে প্রচুর ক্যালরি। তাই বাসা থেকে নিজের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ভালো।
তাড়াহুড়ো নয় : প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে খেতে বসে গোগ্রাসে গিলতে শুরু করলেন, এটি ভালো অভ্যাস নয়। এমন করলে পেট যে ভরেছে তা অনুভব করার সময় পায়না মস্তিষ্ক। ফলে আপনি খেতেই থাকেন। শরীরের স্বাভাবিক ক্ষুধাচক্রের ভাসাম্যও নষ্ট করে এই বদভ্যাস।
কার্বোহাইড্রেট বাদ নয় : মস্তিষ্ক কর্মচঞ্চল এবং শরীরে কর্মোদ্যোম ধরে রাখতে দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট খুব জরুরি। কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে মাথা ঝিমঝিম আর শরীরে ম্যাজম্যাজে ভাব আসতে পারে।
দরকার আমিষ : মধ্যাহ্নভোজে আমিষ বাদ দেয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে দিন শেষে দুপুরের  আমিষ শরীরে যোগাবে সারাদিনের পুষ্টি।
চাই পর্যাপ্ত আঁশ : দুপুরের খাবারে কমপক্ষে ৮ গ্রাম আঁশ থাকা দরকার। এতে দৈনিক আঁশ গ্রহণের পরিমাণ বাড়বে।
দরকার সঠিক চর্বি : স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। আর তা থাকতে হবে দুপুরের খাবারে। এ জন্য বেছে নিতে পারেন বাদাম, বীজজাতীয় খাবার।
সঠিক সময় : সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবারের মাঝখানে ছোট্ট একটা স্ন্যাকস খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ সময় একটি ফল, এক গ্লাস দুধ কিংবা  কোল্ড কফি খেতে পারেন। এই নাস্তার এক থেকে দুই ঘণ্টা পর  খেতে হবে দুপুরের খাবার।
দুপুরের খাবারে যা খেতে পারেন : দুপুরের খাবারে অর্ধেক শাকসবজি থাকা দরকার আর এক-চতুর্থাংশ শর্করা এবং এক-চতুর্থাংশ কার্বোহাইড্রেট। এ রকম সহজ খাবার তালিকা থাকা ভালো।
পানি : শরীর তাজা রাখতে পানি পানের বিকল্প নেই। তবে লাঞ্চ শেষ করেই পানি খাওয়া ক্ষতিকর। লাঞ্চের পর অনেকটা পানি খেলে, তার প্রভাব পড়ে হজমের উপর। ফলে পেটের নানা রকম সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আলসারও হতে পারে। তাই পানি খাওয়া উচিত খাবার গ্রহণের অন্তত ২০ মিনিট পর।
সূত্র : বোল্ড স্কাই
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দুপুরের খাবার কেমন উচিত

আপডেট টাইম : ০৪:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ সকালের নাস্তা আর রাতের খাবারে কী খাওয়া উচিত তা নিয়ে সচেতন অনেকেই। অথচ ভাবা দরকার দুপুরের খাবার নিয়েও।
দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম থাকা ভালো। তবে এর মানে এই নয় যে কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দেবেন, তবে পাশাপাশি প্রোটিনও খেতে হবে।
ক্ষুধা পর্যন্ত অপেক্ষা করা : দুপুরে ক্ষুধাকে পূর্ণতা পেতে দিতে হবে। কম খিদে নিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দুপুরের খাবারের একটি সময় স্থির থাকা ভালো এবং সেই নির্দিষ্ট সময়েই খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
রেস্তোরাঁকে না বলুন : দুপুরের খাবারটা রেস্তোরাঁয় সেরে নিতে চায় বেশীরভাগ মানুষ। রেস্তোরাঁ থেকে যতই স্বাস্থকর সালাদ, সুপ অর্ডার করা হোক না কেনো ভুলে গেলে চলবে না, এতে আছে প্রচুর ক্যালরি। তাই বাসা থেকে নিজের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ভালো।
তাড়াহুড়ো নয় : প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে খেতে বসে গোগ্রাসে গিলতে শুরু করলেন, এটি ভালো অভ্যাস নয়। এমন করলে পেট যে ভরেছে তা অনুভব করার সময় পায়না মস্তিষ্ক। ফলে আপনি খেতেই থাকেন। শরীরের স্বাভাবিক ক্ষুধাচক্রের ভাসাম্যও নষ্ট করে এই বদভ্যাস।
কার্বোহাইড্রেট বাদ নয় : মস্তিষ্ক কর্মচঞ্চল এবং শরীরে কর্মোদ্যোম ধরে রাখতে দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট খুব জরুরি। কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে মাথা ঝিমঝিম আর শরীরে ম্যাজম্যাজে ভাব আসতে পারে।
দরকার আমিষ : মধ্যাহ্নভোজে আমিষ বাদ দেয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে দিন শেষে দুপুরের  আমিষ শরীরে যোগাবে সারাদিনের পুষ্টি।
চাই পর্যাপ্ত আঁশ : দুপুরের খাবারে কমপক্ষে ৮ গ্রাম আঁশ থাকা দরকার। এতে দৈনিক আঁশ গ্রহণের পরিমাণ বাড়বে।
দরকার সঠিক চর্বি : স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। আর তা থাকতে হবে দুপুরের খাবারে। এ জন্য বেছে নিতে পারেন বাদাম, বীজজাতীয় খাবার।
সঠিক সময় : সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবারের মাঝখানে ছোট্ট একটা স্ন্যাকস খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ সময় একটি ফল, এক গ্লাস দুধ কিংবা  কোল্ড কফি খেতে পারেন। এই নাস্তার এক থেকে দুই ঘণ্টা পর  খেতে হবে দুপুরের খাবার।
দুপুরের খাবারে যা খেতে পারেন : দুপুরের খাবারে অর্ধেক শাকসবজি থাকা দরকার আর এক-চতুর্থাংশ শর্করা এবং এক-চতুর্থাংশ কার্বোহাইড্রেট। এ রকম সহজ খাবার তালিকা থাকা ভালো।
পানি : শরীর তাজা রাখতে পানি পানের বিকল্প নেই। তবে লাঞ্চ শেষ করেই পানি খাওয়া ক্ষতিকর। লাঞ্চের পর অনেকটা পানি খেলে, তার প্রভাব পড়ে হজমের উপর। ফলে পেটের নানা রকম সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আলসারও হতে পারে। তাই পানি খাওয়া উচিত খাবার গ্রহণের অন্তত ২০ মিনিট পর।
সূত্র : বোল্ড স্কাই